Samakal:
2025-05-01@05:14:54 GMT

হঠাৎ হাটে উটকো বিপদ

Published: 24th, April 2025 GMT

হঠাৎ হাটে উটকো বিপদ

নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম পশুর হাট হিসেবে পরিচিতি রয়েছে হাতিয়ার হরনী ইউনিয়নে অবস্থিত হাতিয়া বাজারের। প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার এখানে আশপাশের ব্যাপারী ও কৃষকরা গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন।

বৃহত্তর নোয়াখালীর বাইরেও চট্টগ্রাম-কুমিল্লার ক্রেতারাও আসেন এখানে। সরকারের হাটবাজারের তালিকায় এ হাটের ইজারার বার্ষিক দরও উঠেছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। এরই মধ্যে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে মঙ্গলবার থেকে বসানো হয়েছে আরেকটি অনুমোদনহীন হাট। এ নিয়ে স্বার্থের সংঘাতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আশঙ্কা দেখছেন এলাকাবাসী।

নতুন হাটটি বসানো হয়েছে পাশের সুবর্ণচর উপজেলার ভূঁইয়ারহাট বাজারে। মঙ্গলবার হাতিয়া হাটে আসা কিছু পশু ব্যবসায়ীকে ওই বাজারের লোকজন সেখানে বিক্রির জন্য চাপ প্রয়োগ ও ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এমন অভিযোগ করেছেন হাতিয়া বাজারের ইজারাদার আমিরুল ইসলাম মতিন। একই রকম তথ্য দিয়েছেন কয়েকজন 
পশু ব্যবসায়ীও।

আমিরুল ইসলাম মতিনের ভাষ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় হাতিয়া পশুর হাটের ইজারা নিয়েছেন। আশপাশে কোনো পশুর হাট ছিল না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভূঁইয়ারহাট বাজারের লোকজন সেখানে অনুমোদনহীন হাট বসিয়েছেন। এমনকি হাতিয়া হাটে আসা ব্যাপারীদের সেখানে পশু বিক্রিতেও বাধ্য করছেন। ইজারাদার হিসেবে তিনি বিপুল টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। এ বিষয়ে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

হাতিয়া বাজারে দীর্ঘদিন ধরে গরু নিয়ে আসা নাসির উদ্দিনের ভাষ্য, তিনি নোয়াখালী সদরের দত্তেরহাট এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার হাতিয়া বাজারে আসার সময় রাস্তার ওপর থামিয়ে দেয়। তারা ভূঁইয়ারহাটে গরু বিক্রি করতে চাপ দেন।

এ বিষয়ে ভূঁইয়ারহাট বাজারের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী অলি উদ্দিন সওদাগরের দাবি, এ বছর বাজারটি ইজারা নিয়েছেন রাবিয়া খাতুন রুবি। ২০০৮ থেকে কোরবানির ঈদ ছাড়া এখানে গরু-ছাগল তেমন বিক্রি হয় না। ভূঁইয়ারহাট ও হাতিয়া বাজার একই দিনে বসায় তাদের বাজারে গরু উঠত না। তারা ব্যাপারীদের বুঝিয়ে বাজারে গরু-ছাগল উঠানোর চেষ্টা করছেন।

সুবর্ণচরের ইউএনও রাবেয়া আফসার সায়মা বলেন, ইজারাদার আমিরুল ইসলাম জেলা প্রশাসক বরাবর যে অভিযোগ দিয়েছেন তা পেয়েছেন। বুধবার বিকেলে দুই পক্ষকে নিয়ে বসেছিলেন। উভয় পক্ষকে বাজারের দিনক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দিয়েছেন; সংযম প্রদর্শন করতে বলেছেন। 

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

জব্দ করা জাটকা এতিমখানায় বিতরণ, সেই মাছ লুট করলেন আড়তদারেরা

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জব্দ করা ৭০ কেজি জাটকা দুটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছিল। তবে সেই মাছ লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন আড়তদারের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে মৎস্য কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত জাটকা রক্ষার অভিযানে আমিরাবাদ ও দশানী বাজার থেকে ৭০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস। পরে আমিরাবাদ এলাকায় জব্দ করা জাটকা উপজেলার হাজীপুর ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় কিছু দুস্থ মানুষকেও কিছু জাটকা দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই জাটকা নিয়ে ওই দুই মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কমিটির লোকজন সন্ধ্যায় আমিরাবাদের বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছান। তখন আমিরাবাদ বাজারের মাছের আড়তদার আবুল প্রধান, আরিফ গাজী, সেরু প্রধানিয়া, দেলু বেপারীসহ আরও কয়েকজন তাঁদের পথরোধ করেন এবং জাটকাগুলো লুট করে নিয়ে যান।

হাজীপুর মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আল আমিন অভিযোগ করেন, মাছের ওই আড়তদারেরা তাঁদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে জাটকা লুট করে নিয়ে যান। বাধা দিয়েও কাজ হয়নি। বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন।

এ অভিযোগের বিষয়ে আবুল প্রধান, আরিফ গাজী ও সেরু প্রধানিয়ার মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তবে দেলু ব্যাপারী মুঠোফোনে বলেন, জাটকা লুট করা তাঁদের উচিত হয়নি। ওই জাটকা আজ (বৃহস্পতিবার) তাঁরা ফেরত দেবেন। এটি তাঁদের বড় ভুল হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। জাটকা উদ্ধারে ব্যবস্থাপনা নেওয়া হচ্ছে।

ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর জাটকা উদ্ধারে তিনি থানার ওসি ও মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতিমদের জাটকা লুট হওয়ার বিষয়টি খুব দুঃখজনক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ