আওয়ামী লীগ পরিচয়ে মুক্তি, বিএনপির পদ পেতে মরিয়া
Published: 24th, April 2025 GMT
রৌমারীতে বিএনপির দুই নেতাকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালে নিজেদের আওয়ামী লীগ পরিবারে সদস্য পরিচয়ে চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্রে একটি মামলা থেকে মুক্তি পান তারা।
আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে সেই তারাই আবার বিএনপির পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীর। এ ঘটনা কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের।
‘আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য’ পরিচয়ে প্রত্যয়নপত্র নেওয়া বিএনপির দুই নেতা হলেন– ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। তারা দু’জনই নয়াচর বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তবে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজীবপুর থেকে মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন আজিজুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেনসহ ১১ নেতাকর্মী। পথিমধ্যে শেরপুরের শ্রীবরদী থানা এলাকায় পুলিশের তল্লাশিতে আটক হন তারা। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি অবিস্ফোরিত ককটেল ও ১০টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করে আলামত হিসেবে জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে পুলিশ। ওই মামলায় আজিজুর ৩ নম্বর ও দেলোয়ারকে ৬ নম্বর আসামি করা হয়।
মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলামের ভাষ্য, আজিজুর ও দেলোয়ার মাস্টার বিএনপির পদে থেকেও মামলা থেকে বাঁচতে ও চাকরি বাঁচাতে আওয়ামী পরিবারের সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার অপর নেতাকর্মীকে মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হয়নি। এখন আবারও পদ পেতে মরিয়া হয়েছে উঠেছেন তারা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শ্রীবরদী থানার তৎকালীন এসআই রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, গ্রেপ্তারের দিন বিএনপি নেতাকর্মীর গাড়িতে করে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন আজিজুর ও দেলোয়ার। তাদের বিরুদ্ধে ওই মামলায় জড়িত থাকার কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া চিকিৎসাপত্র ও ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র পর্যালোচনা করে চার্জশিট থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
চার্জশিটের তথ্যমতে, বিএনপি নেতা আজিজুর ও দেলোয়ার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা থেকে বাঁচতে রাজীবপুরের মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি প্রত্যয়নপত্র নেন। চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আজিজুর ও দেলোয়ার দু’জনই আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। তারা কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যকলাপে জড়িত নন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আজিজুর ও দেলোয়ার। তাদের দাবি, তাদের বংশে কেউ আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত নেই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেন এবং কীভাবে তাদের চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছেন তা জানা নেই তাদের।
ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ভাষ্য, আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য পরিচয় উল্লেখ করে তারাই প্রত্যয়নপত্র তৈরি করে এনেছিলেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন তিনি।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘তারা বিএনপি হিসেবে জেল খেটেছেন। জেল থেকে বের হওয়ার পরও বিএনপিতে ছিল। তারা যদি এমন কিছু করে থাকে, সেটা আমরা ভালোভাবে দেখব না।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আজ জ র ও দ ল য় র ল গ পর ব র ন ত কর ম পর ব র র ব এনপ র সদস য আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির তথ্য
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত ভর্তি নীতিমালা ২০২৫-২৬ অনুযায়ী একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখায় মোট ১ হাজার ৯০০ ছাত্রছাত্রী ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা—বাংলা মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য:
১. বিজ্ঞান বিভাগ:
সাধারণ শিক্ষার্থীর জিপিএ ৫.০০, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জিপিএ ৪.৭২, বিজিবির শিক্ষার্থী জিপিএ ৪.৫০।
আসনসংখ্যা রয়েছে: ছাত্রী-প্রভাতি- ৪৪০টি, ছাত্র-দিবা- ৪৪০টি।
২. ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ:
সাধারণ শিক্ষার্থী জিপিএ ৪.০০, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জিপিএ ৩.৩৩, বিজিবির শিক্ষার্থী জিপিএ ৩.০০।
আসনসংখ্যা রয়েছে: ছাত্রী-প্রভাতি- ১৫০টি, ছাত্র-দিবা- ১৫০টি।
৩. মানবিক বিভাগ:
সাধারণ শিক্ষার্থী জিপিএ ৩.৭৮, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জিপিএ ৩.০০, বিজিবির শিক্ষার্থী জিপিএ ৩.০০।
আসনসংখ্যা রয়েছে: ছাত্রী-প্রভাতি- ৯০টি, ছাত্র-দিবা- ৯০টি।
আরও পড়ুননটর ডেম কলেজ: একাদশে ভর্তিতে যোগ্যতার শর্ত প্রকাশ, ও লেভেল শিক্ষার্থীদের আবেদন নয়, আসন ৩২৯০টি২৬ জুলাই ২০২৫ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য:১. বিজ্ঞান বিভাগ:
সাধারণ শিক্ষার্থীর জিপিএ ৫.০০, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জিপিএ ৪.৭২, বিজিবির শিক্ষার্থী জিপিএ ৪.৫০।
আসনসংখ্যা রয়েছে: ছাত্রী-প্রভাতি- ২০০টি, ছাত্র-দিবা- ২০০টি।
২. ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ:
সাধারণ শিক্ষার্থী জিপিএ ৪.০০, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জিপিএ ৩.৩৩, বিজিবির শিক্ষার্থী জিপিএ ৩.০০।
আসনসংখ্যা রয়েছে: ছাত্রী-প্রভাতি- ৭০টি, ছাত্র-দিবা- ৭০টি।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫দরকারি তথ্য—১. আবেদনের সময় থানা ‘লালবাগ’ নির্বাচন করতে হবে।
২. আবেদন করা যাবে: ১১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।
৩. ভর্তি: ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।
৪. ক্লাস শুরু হবে: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে।
৫. অনলাইনে আবেদনের পদ্ধতি: আবেদন ফি ২২০ টাকা জমা দেওয়ার পর আবেদনকারীকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে ।
৬. বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে পছন্দক্রমের তালিকায় অত্র কলেজকে অবশ্য ১ নম্বরে রাখতে হবে।
৭. বিশেষ নির্দেশনা: ১০ আগস্টের আগে নিজ নিজ ইউনিট হতে বিজিবি সন্তানের প্রত্যয়নপত্র প্রতিষ্ঠানের ১০১ নম্বর কক্ষে বা প্রতিষ্ঠানের ই-মেইলে ([email protected]) পাঠাতে হবে। প্রত্যয়নপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক SQ কোটা নিশ্চায়ন করা হবে। প্রত্যয়নপত্রে অবশ্যই শিক্ষা বোর্ডের নাম, এসএসসি রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও মোবাইল ফোন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। নিশ্চায়ন ব্যতীত SQ কোটায় নির্বাচিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
*বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট:
আরও পড়ুনভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ: একাদশে ভর্তিতে যোগ্যতার শর্ত প্রকাশ, আসন ২৩৯০টি২৯ জুলাই ২০২৫