জনপ্রিয় দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকা করে ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন দুই জন। তারা হলেন—নোয়াখালীর বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী কামরুল হাসান ও একই জেলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম। আসন্ন ঈদ উৎসবকে ঘিরে সারা দেশে চলমান মার্সেলের ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২’ এর আওতায় ফ্রিজ কিনে এ সুবিধা পেয়েছেন তারা। এর আগে মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেয়েছিলেন কুষ্টিয়ার মিঠুন আলী। 

উল্লেখ্য, সিজন-২২ এর আওতায় দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন ও সিলিং ফ্যান কিনে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়াও পাচ্ছেন লাখ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত উপহার। চলতি বছরের ঈদুল আজহা পর্যন্ত এসব সুবিধা পাবেন গ্রাহকগণ। 

গত ৯ এপ্রিল কুমিল্লার রাজেন্দ্রপুরের শ্রীপুরে ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারের অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই ক্রেতার হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের সাউথ জোনের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম রুবেল, ব্র্যান্ড ম্যানেজার উদ্দাম হোসেন মৃধা, মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘হিমালয় ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেকনলোজি’ ও ‘ঢাকা ইলেকট্রনিক্স’ এর স্বত্বাধিকারী যথাক্রমে ইমান হোসেন এবং রাজীব চন্দ্র দাস প্রমুখ।

১ লাখ টাকা ক্যাশ ভাউচার বিজয়ী কামরুল হাসান জানান, তার বাড়ি সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরায়। স্ত্রী ও এক ছেলেসহ চার সদস্যের পরিবার তার। সৌদি আরবে চাকরি করেন প্রায় চার বছর ধরে। ছুটিতে বাড়িতে এসে গত ১১ মার্চ বাসায় ব্যবহারের জন্য ৪০ হাজার টাকায় মার্সেল ব্র্যান্ডের একটি ফ্রিজ কেনেন। সোনাইমুড়ীতে মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘হিমালয় ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেকনলোজি’ থেকে ফ্রিজটি কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে ১ লাখ টাকা ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ পান তিনি। সেই ক্যাশ ভাউচার দিয়ে মার্সেল ব্র্যান্ডের ওয়াশিং মেশিন, সিলিং ফ্যান ও এসি কেনেন। এতগুলো প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্য এক সঙ্গে ঘরে তুলে মহাখুশি তার পরিবার।

একই দিনে নোয়াখালীর সেনবাগের সেবারহাটে মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘ঢাকা ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ৩৩ হাজর ৩৯০ টাকা দিয়ে মার্সেলের একটি ফ্রিজ কেনেন আমিরুল ইসলাম। তিনিও একইভাবে পণ্যটি কেনার পর বারকোড দিয়ে মার্সেল ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে অংশ নেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি ১ লাখ টাকা ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ পান। ওই ক্যাশ ভাউচারের বিপরীতে মার্সেল শোরুম থেকে একটি করে ওয়াশিং মেশিন, সিলিং ফ্যান ও টেবিল ফ্যান নিয়েছেন আমিরুল।

ক্রেতারা দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যান কেনার সময় পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতার দেওয়া মোবাইল নম্বরে মার্সেল থেকে ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে উপহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।

ঢাকা/সাহেল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র স ল ড স ট র ব উটর

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা করার অভিযোগ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে নারী অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বারকে জুতাপেটা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে মধুপুরের আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত বছরের এপ্রিলে আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন আব্দুল জব্বার। গতকাল দুপুরে হঠাৎ করেই কয়েকজন নারী অভিভাবক তাঁর কক্ষে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা করেন। এ সময় সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগমসহ কয়েকজন তাদের হাত থেকে শিক্ষককে রক্ষার চেষ্টা করেন। এতে তাদের ওপরও ক্ষিপ্ত হন হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।

হামলায় অংশ নেওয়া জাহিন ওরফে জাহি ও ঝুমা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার পড়ানোর সময় মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। একই অভিযোগ করেন সুমি বেগম নামে আরেকজন।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগম বলেন, ‘আমি বিষয়টি সকালেই জানতে পেরে স্যারকে জানিয়েছিলাম। স্যার তখন অফিস কক্ষেই ছিলেন। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা অফিসে প্রবেশ করে হামলা করেন। এক পর্যায়ে জুতা দিয়ে পেটাতে থাকেন। আমরা অনেক কষ্টে তাঁকে হামলাকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করি।’

মারধরের শিকার প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, ‘আমার মেয়েকে স্থানীয় এক যুবক উত্ত্যক্ত করত। তাকে বিভিন্ন সময়ে বোঝানো হয়েছে। কথা না শোনায় তাকে শাসন করা হয়েছিল। সেই ছেলে ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের সন্তানের মতো দেখি। সেভাবেই আদর-শাসন করি। তদন্ত করে সঠিক বিষয়টি বের করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

মধুপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের ভাষ্য, বিষয়টি জেনে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ