শেকৃবিতে ৯ শিক্ষকের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত
Published: 24th, April 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ও আন্দোলন দমনে সংশ্লিষ্টতার দায়ে ৯ শিক্ষকের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) প্রশাসন। একই কারণে এর আগে ১২ আওয়ামীপন্থি শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন কারণে অভিযুক্ত ২৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নতুনভাবে কার্যক্রম স্থগিতকৃত শিক্ষকরা হলেন, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর দমন-নিপীড়ন ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়েরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সিন্ডিকেটের ১০৪তম সভার সিদ্ধান্ত মতে ৯ শিক্ষককে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স ও পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া যাচ্ছে।
ইতোপূর্বে বহিষ্কৃত শিক্ষকরা হলেন– অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ, দেব কুমার ভট্টাচার্য্য, অলি আহাদ সেতু, শরমিন চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন, আয়েশা আক্তার, রুহুল আমিন, চৈতী দে পূজা, ছাবেরা ইয়াছমীন, ওমর আলী মল্লিক, শাহ জহির রায়হান ও জিয়াউর রহমান ভূঁঞা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে নতুন কর্মসূচি
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। আগামী শুক্র ও শনিবার (১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর) গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং রবি ও সোমবার (২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর) জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অর্ধদিবস অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা এম এ সালাম নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এম এ সালাম বলেছেন, “বাগেরহাটের চারটি আসন অক্ষুণ্ন রাখার দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে, তবে জনগণের দাবি প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
এর আগে আসন কমানোর প্রতিবাদে জেলা জুড়ে হরতাল, বিক্ষোভ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে।
ঢাকা/শহিদুল/রফিক