কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সমতা দাস। ‘এক আকাশের নিচে’ টিভি ধারাবাহিকের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। কিন্তু মাঝে তাকে সেভাবে টিভি পর্দায় দেখা যায়নি।  

‘চিরসখা’ শিরোনামে নতুন ধারাবাহিকের মাধ্যমে টিভি পর্দায় ফিরছেন সমতা। অভিনয়ে না থাকার কারণ হিসেবে সমতা দাস বলেন, “একই ধরনের চরিত্রে কাজের প্রস্তাব আসছিল। অবশেষে মনের মতো একটা চরিত্র পেয়েছি।”  

বুদ্ধদেব দাসগুপ্ত নির্মিত ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ সিনেমা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। এতে ‘লতি’ চরিত্রে অভিনয় করেন সমতা। তাছাড়া ‘এক মুঠো ছবি’, ‘হিরো’, ‘নাগরদোলা’ প্রভৃতি সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। তবে নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি এই অভিনেত্রী। 

আরো পড়ুন:

‘কাউকে চড় মারলে অসুবিধা নেই, চুমু খেলেই যত দোষ’

‘মেয়েরা ৬টা প্রেম করলে বেশ্যা, ছেলেরা করলে লোকে বলে— এলেম আছে’

এ বিষয়ে সমতা দাস বলেন, “১৮ বছর বয়সে পালিয়ে বিয়ে করি। পরিবারের কেউ সেই সময়ে মেনে নেয়নি আমার সম্পর্ক। যার ফলে ব্যক্তিগতজীবন আলুথালু হয়ে গিয়েছিল। নিজের ক্যারিয়ারে মন দিতে পারিনি।” 

খানিকটা ব্যাখ্যা করে সমতা দাস বলেন, “এতটাই সমস্যার মধ্যে ছিলাম, তখন নিজের ক্যারিয়ারে মন দেওয়া সম্ভভ হয়নি। তারপর যখন ফিরলাম তখন অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। চেহারাও সেভাবে ধরে রাখতে পারিনি। এটা হয়তো আমারই দোষ।” 

নায়িকা না হতে পারলেও আফসোস নেই সমতার। কারণ জীবনের কোনো সিদ্ধান্তে অখুশি নন। তিনি একটা সুন্দর সংসার পেয়েছেন। তাদের দু’বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। তাই কোনো কিছু নিয়ে আক্ষেপ করতে রাজি নন এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ