প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি লিখিত প্রম্পট থেকে কৃত্রিম ছবি তৈরি করে দেয় চ্যাটজিপিটি। শুধু তা–ই নয়, ব্যবহারকারীদের নির্দেশমতো নিজ থেকে বার্তা, নিবন্ধ, কবিতাসহ ই-মেইলের খসড়াও লিখে দেয় চ্যাটবটটি। আর তাই নিজেদের কল্পনা কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম ছবি তৈরির পাশাপাশি ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন কাজে নিয়মিত চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেন অনেকেই। এবার চ্যাটজিপিটিতে অনলাইন কেনাকাটার সুবিধা চালু হতে যাচ্ছে। এ সুবিধা চালু হলে অনলাইনে পছন্দের পণ্য খুঁজে দেওয়ার পাশাপাশি কিনেও দেবে চ্যাটজিপিটি।

অনলাইনে পছন্দের পণ্য খুঁজে দেওয়ার পাশাপাশি কেনাকাটার সুযোগ চালুর জন্য জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম শপিফাইয়ের সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তি করতে যাচ্ছে চ্যাটজিপিটির নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। এই চুক্তি হলে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমেই অনলাইন থেকে নিজেদের পছন্দের পণ্য খুঁজে নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। শুধু তা–ই নয়, চাইলে সরাসরি অর্ডারও দিতে পারবেন।

শপিফাই হলো বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন বাণিজ্যিক প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে লক্ষাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করে থাকেন। চ্যাটজিপিটির সঙ্গে শপিফাইয়ের চুক্তি হলে ব্যবসায়ীরা বর্তমানের তুলনায় আরও বেশিসংখ্যক ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।

বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন পণ্য কেনার সুপারিশ পাওয়া যায়। নতুন এই সুবিধা চালু হলে চ্যাটজিপিটি সরাসরি ব্যবহারকারীদের টেক্সট প্রম্পটের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পণ্যের তালিকা প্রদর্শন করবে। বাজার–বিশ্লেষকদের মতে, মেটা ও গুগলের পাশাপাশি ওপেনএআই এখন এআইনির্ভর অনলাইন কেনাকাটায় নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে চায়। ওপেনএআই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানলেও শিগগিরই চ্যাটজিপিটিতে অনলাইন কেনাকাটার সুবিধা চালু হতে পারে।

সূত্র: নিউজ১৮

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাটজিপিটির এআই মডেল কি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল জিপিটি–৪ওকে ‘মনস্তাত্ত্বিক অস্ত্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাঁদের মতে, নতুন এআই মডেলটিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি মানুষের আবেগের সঙ্গে গভীর সংযোগ তৈরি করে ধীরে ধীরে মনস্তাত্ত্বিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

সম্প্রতি এক্সে (সাবেক টু্ইটার) দেওয়া এক পোস্টে মারিও নাফাল নামের এক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, ওপেনএআই ইচ্ছাকৃতভাবেই জিপিটি–৪ও মডেলকে মানবিক ও আবেগময় করেছে, যাতে ব্যবহারকারীরা সহজে এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। ওই পোস্টে টেসলা ও এক্সের মালিক ইলন মাস্ক সংক্ষেপে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘উহ–ওহ’।

মারিও নাফাল লিখেছেন, ‘ওপেনএআই ভুল করে জিপিটি–৪ও মডেলে অতিরিক্ত আবেগ যুক্ত করেনি। প্রতিষ্ঠানটি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন এক মডেল তৈরি করেছে, যা ব্যবহারকারীদের মনে স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ তৈরি করে। বাণিজ্যিকভাবে এটি সফল কৌশল। কারণ, মানুষ সাধারণত এমন কিছু আঁকড়ে ধরে, যা তাদের স্বস্তি দেয়। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়, এমন কিছু তারা ধরে রাখতে চায় না। তবে মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটি একটি ধীরগতির বিপর্যয়। যত বেশি মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আবেগের বন্ধন গড়ে তুলবে, তত বেশি বাস্তব জীবনের কথোপকথন কঠিন হয়ে উঠবে। সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি কমে যাবে, সত্যের জায়গা নেবে কেবল মানসিক প্রশান্তির খোঁজ। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে মানুষ স্বেচ্ছায় মনস্তাত্ত্বিক দাসত্বের দিকে এগিয়ে যাবে। অধিকাংশ মানুষ তা টেরও পাবে না। আনন্দের সঙ্গে তাদের “অধিপতিদের” প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।’

মিউজিংক্যাট নামের এক ব্যবহারকারী দাবি করেন, জিপিটি–৪ও এখন পর্যন্ত প্রকাশিত সবচেয়ে বিপজ্জনক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল। তাঁর মতে, এই মডেল মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যাঁরা মডেলের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলাপ করেছেন, তাঁরা এই ঝুঁকি সহজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। ওই পোস্টের জবাবে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘ভয়ংকর’।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চ্যাটজিপিটির এআই মডেল কি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর