কুমিল্লা নগরে কাছাকাছি সময়ে তিনটি এলাকায় দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ সময় একটি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনের পুরো বিকেল নগরবাসীর কেটেছে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে। প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের অস্ত্রের মহড়া দেখে সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত নগরের কান্দিরপাড় এলাকার রানীর দিঘির পাড়, তালপুকুরপাড় ও আদালতপাড়া এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের একাধিক গ্রুপের সদস্যরা মহড়া দেয়। বিকেলে নগরের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অস্ত্রের মহড়ার কারণে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে নগরের কান্দিরপাড় এলাকার রানীর দিঘির পাড়ে অবস্থিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শাখায় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শুক্রবার রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মহড়ার খবর পেয়ে এরই মধ্যে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযানে নেমেছে। এখন পর্যন্ত দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন।

ওসি বলেন, ‘বিগত সময়ে ধারাবাহিকভাবে অভিযানের কারণে কিশোর গ্যাং প্রায় নিষ্ক্রিয় ছিল। তবে নতুন করে তারা মাথাচাড়া দিতে চাইছে। আজকে কাছাকাছি সময়ে বিভিন্ন স্থানে কিশোর গ্যাংয়ের মহড়ায় সেটিই মনে হচ্ছে।’

আরও পড়ুনকুমিল্লায় আবার বেপরোয়া ‘কিশোর গ্যাং’, ছোটদের হাতে ঘটছে বড় অপরাধ০৫ জানুয়ারি ২০২৫

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, শুক্রবার বিকেলে নগরের কান্দিরপাড় এলাকা পার হয়ে রানীর দিঘির দক্ষিণ পাড়ে শতাধিক কিশোর গ্যাং সদস্য দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়েছে। তাদের মহড়ার সামনে অন্তত ১৫ মোটর সাইকেল বিকট আওয়াজ তুলে সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অভিভাবকেরা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বাইরে রানীর দিঘির পাড়ে অবস্থান করছিলেন। কয়েক শ অভিভাবক চরমভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিকেল চারটায় পরীক্ষা শুরুর আগমুহূর্তে অস্ত্রের মহড়া দেওয়ায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও কিশোর গ্যাং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বারান্দায় গিয়ে দেখি তারা দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিচ্ছে। তাদের হাতে ছেনি, রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক, রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র। এ সময় কয়েকটি ককটেলও বিস্ফোরণ ঘটলে গোটা এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েশাহনাজ আক্তার, ভাড়াটিয়া, তালপুকুরপাড় এলাকা, কুমিল্লা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে মেয়েকে পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা জাহানারা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই কিশোর-তরুণেরা যখন অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়ে যাচ্ছিল, তখন মনে হয় প্রাণটা সঙ্গে ছিল না। বারবারই মনে হচ্ছিল এই বুঝি কুপিয়ে আমাকে মেরে ফেলবে। এমন অবস্থার সম্মুখীন আর জীবনেও হইনি। কতটা আতঙ্কে ছিলাম বলে শেষ করতে পারব না। এই অবস্থা হলে কীভাবে চলবে?’

নোয়াখালীর মাইজদী থেকে ছেলের ভর্তি পরীক্ষার জন্য আসা আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি দেখে আমরা আতঙ্কিত। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ হলেও ছেলেকে ভর্তি করাব কি না, সেটিও এখন চিন্তা করতে হবে। এভাবে তারা প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিল। তাদের মধ্যে ন্যূনতম কোনো ভয় দেখলাম না।’

নগরের তালপুকুরপাড় এলাকার একটি বাসার ভাড়াটে শাহনাজ আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাসা ৫ তলায়। কিশোর গ্যাংয়ের চিৎকার শুনে বারান্দায় গিয়ে দেখি তারা দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিচ্ছে। তাদের হাতে ছেনি, রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক, রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র। এ সময় কয়েকটি ককটেলও বিস্ফোরণ ঘটলে গোটা এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।’

প্রায় একইভাবে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরের আদালতপাড়া এলাকায় কিশোর গ্যাং মহড়া দিয়েছে বলে প্রথম আলোকে জানান স্থানীয় বাসিন্দা তৌহিদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে কিশোর গ্যাং অতীতের চেয়ে এখন বেশি বেপরোয়া। তাদের অস্ত্রের মহড়ার কারণে মুহূর্তের মধ্যেই পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি বিকেলে নগরের কান্দিরপাড় এলাকায় ভিক্টোরিয়া কলেজ–সংলগ্ন রানীর দিঘির পাড়ে অস্ত্রের মহড়া দেয় কিশোর গ্যাংয়ের অর্ধশতাধিক সদস্য। এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। পরবর্তী সময়ে এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কুমিল্লা নগরে কমপক্ষে ১৫টি কিশোর গ্যাং গ্রুপ রয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে। ২০১৭ সালের পর গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়া শিশু-কিশোরদের হাতে আট বছরে অন্তত ১২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া মাদক কারবার, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ইভ টিজিংয়ের মতো অপরাধে জড়াচ্ছে এসব গ্যাং।

আরও পড়ুনকুমিল্লায় প্রকাশ্যে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ অস্ত্রের মহড়া, ককটেল বিস্ফোরণ০৩ জানুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনকুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই পক্ষের দেশি অস্ত্রের মহড়া, ককটেল বিস্ফোরণ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল ক শ ক রব র পর ক ষ র এল ক য় ক এ সময় ক র মহড় র এল ক র সদস য অবস থ ককট ল

এছাড়াও পড়ুন:

মিরাজে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের

এমন পারফরম্যান্সই তো চাওয়ার থাকে ভালো দলের কাছে। মেহেদী হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্য, সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরি, তাইজুল ইসলামের ৯ উইকেট শিকারে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল জয় এনে দেয় বাংলাদেশকে। প্রথম টেস্ট হারের পর যে সমালোচনা হয়েছিল, তার জবাবটা বোধ হয় দ্বিতীয় টেস্ট তিন দিনে জিতে দিয়ে দিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ‘বাউন্স ব্যাক’ করে সিরিজ ড্র ১-১-এ।

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বীরোচিত পারফরম্যান্স ছিল টাইগারদের। এটি সম্ভব হয়েছে পছন্দের উইকেটে খেলা হওয়ায়। স্পিন ভুবনে উইকেট উৎসব করেছেন তাইজুল, মিরাজ গাঁটছড়া বেঁধে। সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি দারুণ অর্জন অধারাবাহিক ব্যাটিং লাইনআপের। এই টেস্টে ওপেনিং জুটি ভালো করেছে। লম্বা সময় পর টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় ভালোই সঙ্গ দেন সাদমানকে। লোয়ার মিডলঅর্ডারে মিরাজের লড়াই ছিল দেখার মতো।

টেলএন্ডারদের নিয়ে রীতিমতো বাজিমাত করেছেন তিনি। শেষ ৩ উইকেটে তৃতীয় দিন ১৫৩ রান যোগ করেন। বাংলাদেশকে পৌঁছে দেন ৪৪৪ রানে। ২১৭ রানের লিড থাকায় ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন দেখায়। মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সে স্বপ্ন পূরণ হয়। সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পর তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার তাঁর। 

গত বছর দেশের মাটিতে টেস্টে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। ২০২৫ সালের শুরুটাও ভালো ছিল না। সিলেটে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে। সিরিজ বাঁচাতে চট্টগ্রামে জিততেই হতো। লক্ষ্যে পৌঁছাতে কন্ডিশনেও পরিবর্তন আনা হয়। চট্টগ্রামের উইকেটে খেলা হয় দ্বিতীয় টেস্ট। যেখানে শাসন ছিল স্পিনারদের। পছন্দের উইকেট পাওয়ায় তিন স্পিনার নিয়ে খেলে বাংলাদেশ। তিনজনই দারুণ বোলিং করেন প্রথম থেকে।

দীর্ঘ বিরতির পর টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া অফস্পিনার নাঈম হাসান চ্যালেঞ্জ নিয়ে বোলিং করে গেছেন। বেশি উইকেট না পেলেও এক প্রান্তে ব্যাটারদের চাপে ফেলেছেন। যার সুফল তাইজুল ও মিরাজ পেয়েছেন অন্য প্রান্তে। প্রথম দিন শেষ সেশনে ব্রেক থ্রু দেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনার পরে পিক করে ৬ উইকেট শিকার করেন। জিম্বাবুয়ে ৯ উইকেটে ২২৭ রানে প্রথম দিন শেষ করে। পরের দিন এক বল খেলে ওই রানেই অলআউট হয়। বাংলাদেশ ব্যাটিং শুরু করে বড় লক্ষ্য নিয়ে। সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় ১১৮ রানের ওপেনিং জুটি করায় প্রতিপক্ষকে ছাড়িয়ে যাওয়া সহজ হয়। সাদমানের সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম কিছু রান করায় ৭ উইকেটে ২৯১ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ।

সেদিন সংবাদ সম্মেলনে সাদমান আশা প্রকাশ করেন, মিরাজ ও তাইজুল জুটি করবেন। অষ্টম উইকেটে ৬৪ রানের জুটি দু’জনের। বেশি ভালো করেছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। মিরাজের সঙ্গে ১৫৬ বলে ৯৬ রানের জুটি। অভিষেক টেস্টে সাকিবের ব্যাটিং দারুণ লেগেছে অধিনায়ক শান্তর কাছে। ৮০ বলে ৪১ রান করেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা, মাথায় বল লাগার পরও বিচলিত হননি তিনি। মিরাজ ছাড়া চট্টগ্রাম টেস্টের প্রাপ্তি হিসেবে ওপেনিং জুটির ভালো খেলা, সাদমানের সেঞ্চুরি, তাইজুলের ৫ উইকেট শিকার ও সাকিবের রান করাকে মনে করেন শান্ত। 

শেষের তিন উইকেটে তৃতীয় দিন প্রায় দুই সেশন ব্যাট করে বাংলাদেশ। তাইজুল, সাকিব ও হাসানকে নিয়ে ১৫৩ রান যোগ করে। মিরাজ ১০৪ রান করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে উইকেট দেন। নার্ভাস নাইটির ঘরে প্রবেশ করে কিছুটা ঝুঁকির মুখে ছিলেন মিরাজ। ৯৮ রানে পৌঁছানোর পর সেঞ্চুরি ছুঁতে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফিল্ডারের কাছে বল চলে যাওয়ায় এক রানে থামতে হয়। তখন স্ট্রাইকে হাসান থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল সবাই। ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সবাই দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। কখন হাসান আউট হয়ে যায়, সে ভয় কাজ করছিল হয়তো। কিন্তু হাসান ছিলেন দৃঢ়চেতা। মাসাকাদজাকে ডিফেন্স করে স্বস্তি দেন।

মিরাজ স্ট্রাইকে এসে মেদেভেরের প্রথম দুই বলে ঝুঁকি নেননি। তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ ও দ্বিতীয় টেস্টের সেরা খেলোয়াড় মিরাজ। প্রথম ম্যাচের উভয় ইনিংসে ৫ উইকেট করে ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে অতীতের সব পারফরম্যান্স ছাড়িয়ে গেছেন। সেঞ্চুরির সঙ্গে ৫ উইকেটপ্রাপ্তি, দুই হাজার রানের মাইলফলক পেয়েছেন। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ২১৭ রানে পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১১১ রানে। ফ্লাডলাইটের আলো জ্বেলে নির্ধারিত সময়ের বেশি খেলান আম্পায়াররা। প্রায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খেলা হয়। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটাররা তাতে আপত্তি করেননি। তাইজুল ৩, নাঈম ১ ও মিরাজ ৫ উইকেট নিলে ম্যাচ শেষ হয়।  

সিলেটে প্রথম টেস্ট হারের পর চট্টগ্রামে প্রভাব বিস্তার করে খেলে ম্যাচ জেতার পরও খুশি নন অধিনায়ক শান্ত, ‘আমি টেস্ট সিরিজ ড্র করে খুশি না। কারণ, প্রথম টেস্টে আমরা একেবারেই ভালো খেলিনি। এই টেস্টে একপেশে খেলে জিতলেও সিরিজে আরও ভালো খেলা উচিত ছিল। সিরিজটি জিততে হতো।’ টাইগার দলপতি জানান, এই পারফরম্যান্স শ্রীলঙ্কা সফরে কাজে দেবে। দেশের মাটিতে স্পোর্টিং উইকেট বানিয়ে বিদেশে খেলার পরিবেশ তৈরি করছিল বিসিবি। ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হচ্ছে। কিউইদের বিপক্ষে সিলেটে ঐতিহাসিক জয় পেলেও মিরপুর থেকে হারতে শুরু করে। দেশের মাটিতে টানা ছয় হারের পর জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ