রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন শনিবার। নিজের ভালোবাসার স্থান ব্যাসিলিকা অব সেন্ট মেরি মেজরে সমাহিত করা হবে তাঁকে। গির্জাটি ভ্যাটিকানের বাইরে রোমে অবস্থিত। এক শতাব্দীর বেশি সময়ের মধ্যে ফ্রান্সিসই প্রথম পোপ, যাঁর শেষ ঠিকানা ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় হচ্ছে না।

ভ্যাটিকানে নিজ বাসভবন কাসা সান্তা মার্তায় সোমবার মৃত্যু হয় ৮৮ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিসের। পোপ হিসেবে প্রায় ১২ বছর দায়িত্ব পালনের সময় সেখানেই অবস্থান করেছেন তিনি। মৃত্যুর পর উন্মুক্ত কফিনে শোয়ানো লাল পোশাকে পোপের মরদেহ রাখা হয় সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায়। তিন দিন পর শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত আটটায় ধর্মীয় আচারের মধ্য দিয়ে বন্ধ করা হয় কফিন।

পোপের কফিন বন্ধ করার একটি বিশেষ রীতি রয়েছে। এই কর্মযজ্ঞে অংশ নেন আটজন কার্ডিনাল। কফিন বন্ধ করার আগে পোপের মুখ ঢেকে দেওয়া হয় সাদা রেশমের কাপড়ে। শরীরে দেওয়া হয় পবিত্র পানি। কফিনের ভেতরে দেওয়া হয় পোপের দায়িত্বকালে তাঁর জন্য তৈরি বিভিন্ন মুদ্রা ও স্মারক। এ ছাড়া তাঁর ১২ বছরের দায়িত্বকালের বিভিন্ন অর্জনের কথাযুক্ত একটি দলিলও কফিনে রাখা হয়।

কফিন বন্ধ করার আগের তিন দিনে ধর্মীয় নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভ্যাটিকানে ছুটে যান হাজার হাজার মানুষ। ভ্যাটিকানের হিসাবে, গতকাল দিনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ পোপের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাঁদের একজন ফিলিপাইন থেকে আসা মিশেল অ্যালকেইড। তিনি বলেন, ‘আমরা পোপকে ভালোবাসি। শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে পেয়ে ধন্য বোধ করছি।’

আরও পড়ুনঅন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার যে প্রথা ভাঙছেন পোপ ফ্রান্সিস১৪ ঘণ্টা আগে

পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আচারেও বিপুলসংখ্যক ভক্তের অংশ নেওয়ার কথা। শনিবার পোপের মরদেহ সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা থেকে বের করার পর স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এ আচার শুরু হবে। তাতে অংশ নেবেন ২২০ জন কার্ডিনাল এবং ৭৫০ জন বিশপ ও ধর্মযাজক। ধর্মীয় এ আচারের নেতৃত্বে দেবেন ইতালির কার্ডিনাল জিওভান্নি বাতিস্তা রে।

এরপর পোপের কফিন সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা থেকে রোমের ব্যাসিলিকা অব সেন্ট মেরি মেজরে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দেওয়া হবে হাঁটার গতিতে। পথে পড়বে কলোসিয়ামসহ রোমের বিখ্যাত সব পুরাকীর্তি। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কফিনের সঙ্গে থাকবে দরিদ্র মানুষদের একটি দল। দরিদ্রদের প্রতি পোপের ভালোবাসা তুলে ধরতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনপোপের মৃত্যুতে দেওয়া শোকবার্তা মুছে ফেলল ইসরায়েল২৪ এপ্রিল ২০২৫

সবশেষ ১৯০৩ সালে পোপ লিও ত্রয়োদশকে ভ্যাটিকানের বাইরে সমাহিত করা হয়েছিল। আর এবার পোপ ফ্রান্সিস ব্যাসিলিকা অব সেন্ট মেরি মেজরে সমাহিত হচ্ছেন। তাঁর এ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন অন্তত ৫০টি দেশের প্রধানেরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প।

এদিকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে আসবে নতুন পোপ বেছে নেওয়ার পালা। জটিল এ প্রক্রিয়া ‘কনক্লেভ’ নামে পরিচিত। পোপ ফ্রান্সিসের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা জ্যঁ–ক্লাউদি হোলেরিচের ভাষ্যমতে, ৫ অথবা ৬ মে থেকে নতুন পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। নতুন পোপ হিসেবে সবচেয়ে জোরালোভাবে যাঁর নাম সামনে আসছে, তিনি হলেন ইতালির কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোলিন।

আরও পড়ুনপ্রেমিকাকে না পেয়ে যেভাবে পোপ হয়েছিলেন ফ্রান্সিস ২১ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ত য ষ ট ক র য়

এছাড়াও পড়ুন:

কোটার অধিনায়ক বাভুমা ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে করমর্দন

আর মাত্র এক রান!

লর্ডস তখন থমথমে উত্তেজনায় ঠাসা। গ্যালারির প্রায় সব দক্ষিণ আফ্রিকান দাঁড়িয়ে, যেন নিশ্বাস আটকে রেখেছেন। ব্যালকনিতে সবাই উঠে দাঁড়ালেও একজন তখনো বসে—টেম্বা বাভুমা। গালে হাত, চোখ মাঠের ভেতরে। ঠিক যেন একটা জীবন ধরে যে স্বপ্নটা দেখে এসেছেন, সেই মুহূর্তটা এখন তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে।

মিচেল স্টার্কের ফুলটস বলটা কাইল ভেরেইনার ব্যাটে লেগে ফাঁকা জায়গায় ছুটতেই কী যেন হলো। কেউ চিৎকার দিলেন, কেউ দিলেন লাফ, কেউ পাশের জনকে জড়িয়ে ধরলেন, কারও–বা চোখে জল। সেই উন্মাদনার কেন্দ্রে, ঠিক মাঝখানে, বাভুমা মাথাটা নিচু করে ফেললেন। যেন আড়াল করতে চাইলেন কিছু। জয় এসেছে। অবশেষে। একের পর ‘কাছে তবু কত দূরের’ যন্ত্রণা, ‘চোকার্স’ তকমার গ্লানি, আর একজন কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়কের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া মৌন সংশয়—সবকিছুই যেন সেই নত মাথার আড়ালে লুকিয়ে। চারপাশের হইচইয়ের মধ্যে ওই নিঃশব্দতায় তখন দুনিয়া–কাঁপানো চিৎকারও যেন নগণ্য।

কয়েক সেকেন্ড পর বাভুমা মাথা তুললেন। হয়তো আরেকটু সময় নীরবেই কাটিয়ে দিতেন। কিন্তু তাঁর চারপাশে তখন জড়ো হয়েছেন দলের অন্যরা। কেউ কাঁধে হাত রাখছেন, কেউ জড়িয়ে ধরছেন। লর্ডসের ব্যালকনিতে তখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের উদ্‌যাপন শুধু নয়, একটি জাতির আর একটি মানুষের জয়ের গল্পও লেখা হচ্ছিল।

বাভুমার গল্পে অনেক অধ্যায়। একটি কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান পরিবারে এমন এক সময়ে তাঁর জন্ম, যখন বর্ণবাদের থাবায় ক্ষতবিক্ষত দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্ধকারে মানুষ আলো খোঁজে, হতাশায় খোঁজে আশা। সে কারণেই কি না দাদি তাঁর নাম রেখেছিলেন টেম্বা। সোজা বাংলায় বললে ‘আশা’ বা ‘বিশ্বাস’।

পরিবারের বাইরে, নিজের পাড়ার বাইরে আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে বাভুমাকে নিয়ে সবচেয়ে বড় আশাবাদের শুরুটা ২০১৪ সালে। সে বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্ট অভিষেক তাঁর। দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলে সেটিই ছিল কোনো কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানের প্রথম ম্যাচ। তখন থেকেই বাভুমার বড় চ্যালেঞ্জটা হয়ে পড়ে দুটি।

প্রথমত, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো করা। খুব বিশেষ কিছু নয়, জাতীয় দলের হয়ে খেলা সব ক্রিকেটারের জন্যই এমন চ্যালেঞ্জ থাকে। কিন্তু বাভুমার জন্য এর চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানরাও যে ক্রিকেট খেলতে পারে, ব্যাটিং করতে পারে, দলের জন্য কিছু এনে দিতে পারে, সেটি প্রমাণ করা। আরও স্পষ্ট করে বললে দক্ষিণ আফ্রিকার জটিল সমাজব্যবস্থায় সেই চ্যালেঞ্জ জেতা, যেখানে প্রতিনিয়ত অনুচ্চারে প্রশ্ন ওঠে—কে খেলতে পারে আর কে পারে না, কে ব্যাট করতে পারে আর কে পারে না, কে অধিনায়ক হতে পারে আর কে পারে না, কে জিততে পারে আর কে পারে না।

দক্ষিণ আফ্রিকা দলের চাপের মধ্যে ভেঙে পড়া, নকআউট ম্যাচে হেরে যাওয়ার ঘটনা ১৯৯২ বিশ্বকাপ থেকেই ঘটে আসছে। বিভিন্ন ম্যাচে বিভিন্ন ধরনের কারণ। কোথাও নিজেদের ভুল, কোথাও আবহাওয়া–দুর্ভাগ্য। এর মধ্যে ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হার নিয়ে আলোচনা কিছুটা ব্যতিক্রম। বলা হয়ে থাকে, সেদিন কোটাপ্রথার কারণেই নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

ফাইনালে জায়গা করার ম্যাচটিতে কাইল অ্যাবোটকে বসিয়ে ভারনন ফিলান্ডারকে খেলিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একাদশে অশ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়াতেই বোর্ড কর্তারা টিম ম্যানেজমেন্টকে চাপ দিয়ে তা করিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এটি অস্বীকার করলেও ২০১৬ সালে রীতিমতো ঘোষণা দিয়েই কোটাপ্রথা প্রবর্তনের ঘোষণা দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড সিএসএ। দলের মধ্যে ন্যূনতম ৫৪ শতাংশ অশ্বেতাঙ্গ রাখতে হবে, যার মধ্যে ১৮ শতাংশ হবে কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান (এ সিদ্ধান্ত পরে পর্যালোচনা করা হয়)।

ওই কোটাব্যবস্থাই বাভুমার জন্য হয়ে ওঠে হিতে বিপরীত। দলে জায়গা করার মতো যথেষ্ট পারফরম্যান্স করলেও অনেকের চোখেই তিনি হয়ে ওঠেন ‘কোটার খেলোয়াড়’। ধারণাটা তীব্রতর হয়ে ওঠে ২০২১ সালের মার্চে বাভুমা অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর। শুরুতে ছিলেন টি–টোয়েন্টি ও ওয়ানডের অধিনায়ক, ২০২২ বিশ্বকাপের পর টি–টোয়েন্টি ছেড়ে দিয়ে টেস্টের দায়িত্ব নেন। বাভুমার নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা

২০২১, ২০২২ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনোটিতে ভালো করেনি। দুই আসরেই বাদ পড়ে সুপার টুয়েলভ থেকে। ভালো খেলেননি বাভুমা নিজেও। তবে এ ধরনের ঘটনায় অন্যদের সমালোচনাটা সামর্থ্যকেন্দ্রিক হলেও বাভুমার জন্য তা ‘কোটা’র দিকে মোড় নেয়। এত কিছুর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড তাঁর ওপর আস্থা রেখেছে ভালোমতোই। ‘কোটার অধিনায়ক’ নামে ফিসফাস থাকলেও বাভুমাই থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের নেতৃত্বে। বিশেষ করে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে কুইন্টন ডি ককের হাঁটু মুড়ে সংহতি না জানানোর ঘটনায় ভূমিকা এবং দলের মধ্যে ঐক্য রক্ষার জন্য প্রশংসা কুড়ান একজন নেতার মতোই।

এরপর ২০২৩ সালে রানের মধ্যে থেকেই ভারতে বিশ্বকাপে খেলতে যান বাভুমা। এই আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা লিগ পর্বে ৯ ম্যাচের ৭টিতে জিতে সেমিফাইনালে ওঠে। তবে বাভুমা ব্যাট হাতে রান না পাওয়ায় আর টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন ‘ক্যাপ্টেনস ডে’ অনুষ্ঠানে ঘুমিয়ে পড়ার ছবি ছড়িয়ে পড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়ে ওঠেন ‘মিম ক্যারেক্টার’।

তবে সেসব ট্রল, ব্যর্থতা আর সংশয়—সব পেছনে ফেলে বাভুমা এখন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে গর্বিত মুহূর্তের কেন্দ্রীয় চরিত্র। ২০২৪ সালের ১৪ জুন, লর্ডসের মাঠে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট—একটি মুহূর্ত, যা এনে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত আইসিসি ট্রফি। ১২টি সেমিফাইনাল ও ১টি ফাইনালে হারের পর শেষমেশ আইসিসির শিরোপা জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা।

তবে বাভুমার জন্য মুহূর্তটি দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়িয়েও কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের জয়ে নিহিত। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথমবার যে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন, সেখানে বলেছিলেন, ‘প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান হিসেবে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার গভীর তাৎপর্য আমি বুঝি।’ সেদিন খেলার দৃষ্টিকোণ থেকে নিজেকে একজন ‘লিগ্যাসি তৈরি করা’ অধিনায়ক হিসেবে পরিচিত করতে চাওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন বাভুমা। সেই লিগ্যাসিই তৈরি করেছেন লর্ডসে।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কেপটাউনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন বাভুমা। এর কয়েক দিন পর নিউল্যান্ডসের এসএসি জুনিয়র স্কুলে বছরের প্রথম টার্মের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের জন্য একটা লেখা নিয়ে আসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। লেখাটি এই স্কুলের পুরোনো এক ম্যাগাজিন থেকে নেওয়া। ২০০১ সালে নিউল্যান্ডসের এসএসি জুনিয়র স্কুলে গ্রেড সিক্সের শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছিল, ১৫ বছর পর তুমি নিজেকে কোথায় দেখতে চাও, লেখো। একটি ছেলে লিখেছে, ১৫ বছর পর আমি নিজেকে দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সি গায়ে দেখি, এ জন্য মিস্টার এমবেকির (দক্ষিণ আফ্রিকার তখনকার প্রেসিডেন্ট) সঙ্গে করমর্দন করছি।’

দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখা সেই ছেলেটার নাম টেম্বা বাভুমা। সেই বাভুমা দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন এত দিন। এবার জিতেছেন ট্রফি, যে ট্রফির জন্য দেশের অপেক্ষা দশকের পর দশকের। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা নিশ্চয়ই করমর্দন করবেন তাঁর সঙ্গে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার দিনই প্রেসিডেন্ট একটা টুইট করেছেন। সেই টুইটে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পাশাপাশি বিশেষভাবে আছে বাভুমার নামও, ‘আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় প্রোটিয়াদের অভিনন্দন। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। এই জয় তোমার, এই জয় গোটা জাতির।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ