রক্তমাখা কুড়াল হাতে রাজ, ইনসাফের পোষ্টারে কিসের ইঙ্গিত দিলেন
Published: 26th, April 2025 GMT
নির্মাতা সঞ্জয় সমাদ্দারের নির্মাণে আসছে নতুন সিনেমা ‘ইনসাফ’। সিনেমাটি কাজ প্রায় শেষের পথে। এরই মধ্যে গতকাল এলো সিনেমার দুটি পোস্টার। প্রথম পোষ্টারে রক্তমাখা হাতে একটি কুড়াল। কুড়ালেও লেগে আছে রক্তের দাগ। গতকাল নির্মাতা দুপুরে সামাজিক মাধ্যমে এটি শেয়ার করে তাতে লিখেছেন ‘ইনসাফ’ কাগজে নয়, রক্তে লেখা হয়। তাতে মুহূর্তেই ভরে যায় মন্তব্যের ঘর।
এতে একজন লিখেছেন, ‘শোষিত এ সমাজে চাই ইনসাফ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আগুন হইছে।’ রাতে দ্বিতীয় পোষ্টারে সেই হাতটি কার তা খোলাসা করা হয়। ওই পোষ্টারে শরীফুল রাজকে ভিন্নরূপে উপস্থাপন করেছেন নির্মাতা। সেই রক্তমাখা কুড়াল হাতে রহস্যময় চাহনীতে নজর কেড়েছেন রাজ। পোষ্টারে লেখা ‘‘ ‘ইনসাফ’শুধু একটি শব্দ নয় ! এটি একটি জীবনবোধ ’’ সিনেমাটিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন মোশাররফ করিম। শুধু তাই নয়, একই সিনেমায় নায়ক হিসেবে থাকবেন শরীফুল রাজ; নায়িকা হিসেবে থাকছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।
সঞ্জয় সমাদ্দার বলেন, ‘সিনেমার প্রথম পোস্টারে বেশ সাড়া পচ্ছি। আশা করছি, অ্যাকশন থ্রিলার গল্পের সিনেমাটি দর্শকের ভালো লাগবে।
এ পরিচালক ওপার বাংলার নায়ক জিৎকে নিয়ে ‘মানুষ’ নামে একটি ছবিও বানিয়েছেন। এবার ‘ইনসাফ’ নিয়ে ব্যস্ততা তাঁর। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সম্প্রতি তিনি এ প্রসঙ্গে জানান, এখনই কাস্ট সম্পর্কে পুরোপুরি কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন মোশাররফ করিম। তিনি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করছেন বলে জানা গেছে।
নির্মাতা আরও বলেন, ‘সিনেমা নির্মাণের আগে তো অনেকের সঙ্গেই কথা হয়। অডিশন পর্ব হয়। যাঁর সঙ্গে ব্যাটে-বলে মিলে যায়, তখনই তাঁকে কাস্ট করা হয়। শিগগিরই অফিসিয়ালি জানাব।’ চলতি বছর সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে জানান নির্মাতা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সেন্ট মার্টিনে একটি ইলিশ বিক্রি হলো ৪ হাজার ৫০ টাকায়
কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে মোহাম্মদ আলম নামের এক ট্রলারমালিকের জালে ধরা পড়েছে ২ কেজি ৩৩০ গ্রাম ওজনের একটি বড় ইলিশ। মাছটি বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫০ টাকায়।
আজ সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেন্ট মার্টিন ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আজিম।
মো. আজিম জানান, সেন্ট মার্টিন দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা সোলতান আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আলমের মালিকানাধীন একটি ছোট ট্রলারে পাঁচজন মাঝিমল্লা আজ ভোরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিমে ‘আটবাইন’ নামের এলাকায় জাল ফেলেন। দুপুর ১২টার দিকে জাল তুললে ওই বড় ইলিশসহ ছয়টি ইলিশ মাছ পাওয়া যায়, যেগুলোর ওজন ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম করে।
বেলা দুইটার দিকে ট্রলারটি সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে পৌঁছালে বড় ইলিশ ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন জেটিতে ভিড় করেন মাছটি দেখতে।
ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ আলম বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরতে গিয়ে এত বড় ইলিশ পেয়ে তিনি খুবই খুশি। প্রথমে প্রতি কেজি ২ হাজার টাকা দর হাঁকানো হলেও পরে স্থানীয় ইউরো বাংলা রেস্টুরেন্টের মালিক জিয়াউল হক প্রতি কেজি ১ হাজার ৭৫০ টাকা দরে মাছটি ৪ হাজার ৫০ টাকায় কিনে নেন।
মোহাম্মদ আলম আরও জানান, অবশিষ্ট ছয়টি ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ১ হাজার ১০০ টাকা দরে মোট ৫ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে সাতটি মাছ বিক্রি করে তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ২৫০ টাকা।
মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘এক বছর আগেও এক মণ ইলিশ বিক্রি করে এত টাকা পাওয়া যায়নি।’
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, সাগরে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর থেকেই জেলেরা মাছ ধরতে বের হচ্ছেন। তবে সাগর এখনো কিছুটা উত্তাল থাকায় তাঁরা দ্বীপের আশপাশে মাছ ধরছেন। অনেকে খালি হাতে ফিরলেও মোহাম্মদ আলমের এবার ভাগ্য খুলে গেছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সেন্ট মার্টিনে সাতটি ইলিশ ধরা পড়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি। সরকারনির্ধারিত নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় এখন জেলেদের জালে নানা প্রজাতির মাছ উঠছে। এতে জেলে পরিবারগুলো লাভবান হচ্ছে।’