নির্মাতা সঞ্জয় সমাদ্দারের নির্মাণে আসছে নতুন সিনেমা ‘ইনসাফ’। সিনেমাটি কাজ প্রায় শেষের পথে। এরই মধ্যে গতকাল এলো সিনেমার দুটি পোস্টার। প্রথম পোষ্টারে রক্তমাখা হাতে একটি কুড়াল। কুড়ালেও লেগে আছে রক্তের দাগ। গতকাল নির্মাতা দুপুরে সামাজিক মাধ্যমে এটি শেয়ার করে তাতে লিখেছেন ‘ইনসাফ’ কাগজে নয়, রক্তে লেখা হয়। তাতে মুহূর্তেই ভরে যায় মন্তব্যের ঘর।

এতে একজন লিখেছেন, ‘শোষিত এ সমাজে চাই ইনসাফ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আগুন হইছে।’ রাতে দ্বিতীয় পোষ্টারে সেই হাতটি কার তা খোলাসা করা হয়। ওই পোষ্টারে শরীফুল রাজকে ভিন্নরূপে উপস্থাপন করেছেন নির্মাতা। সেই রক্তমাখা কুড়াল হাতে রহস্যময় চাহনীতে নজর কেড়েছেন রাজ। পোষ্টারে লেখা ‘‘ ‘ইনসাফ’শুধু একটি শব্দ নয় ! এটি একটি জীবনবোধ ’’ সিনেমাটিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন মোশাররফ করিম। শুধু তাই নয়, একই সিনেমায় নায়ক হিসেবে থাকবেন শরীফুল রাজ; নায়িকা হিসেবে থাকছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।

সঞ্জয় সমাদ্দার বলেন, ‘সিনেমার প্রথম পোস্টারে বেশ সাড়া পচ্ছি। আশা করছি, অ্যাকশন থ্রিলার গল্পের সিনেমাটি দর্শকের ভালো লাগবে। 
এ পরিচালক ওপার বাংলার নায়ক জিৎকে নিয়ে ‘মানুষ’ নামে একটি ছবিও বানিয়েছেন। এবার ‘ইনসাফ’ নিয়ে ব্যস্ততা তাঁর। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সম্প্রতি তিনি এ প্রসঙ্গে জানান, এখনই কাস্ট সম্পর্কে পুরোপুরি কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন মোশাররফ করিম। তিনি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করছেন বলে জানা গেছে।

নির্মাতা আরও বলেন, ‘সিনেমা নির্মাণের আগে তো অনেকের সঙ্গেই কথা হয়। অডিশন পর্ব হয়। যাঁর সঙ্গে ব্যাটে-বলে মিলে যায়, তখনই তাঁকে কাস্ট করা হয়। শিগগিরই অফিসিয়ালি জানাব।’ চলতি বছর সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে জানান নির্মাতা। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত ইনস ফ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ