২০১৫ সালে এস. এস. রাজামৌলির সিনেমা ‘বাহুবলী’ মুক্তি পাওয়ার পর ভারতীয় সিনেমার চিত্রই বদলে যায়। চোখ ধাঁধানো ভিজ্যুয়াল, মহাকাব্যিক যুদ্ধের দৃশ্য, গভীর অভিনয় আর টানটান গল্প বলার মাধ্যমে ভারতীয় চলচ্চিত্রের জন্য এক নতুন মাইলফলক স্থাপন হয়েছিল।

প্রায় দুই বছর পর মুক্তি পায় এর সিকুয়েল ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন’- যা বৈশ্বিকভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় সিনেমা হয়ে ওঠে।

‘বাহুবলী ১’-এ দেখানো হয় কীভাবে এক যুবক হঠাৎ জানতে পারে তার রাজপরিবারের উত্তরাধিকারের কথা এবং কীভাবে তার পিতা বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছিলেন। ‘বাহুবলী ২’-তে সেই যুবক প্রতিশোধ নেওয়ার, তার মাকে উদ্ধার করার এবং তার বাবার হারানো সম্মান পুনরুদ্ধারের সংকল্পের গল্প বলা হয়।

২০১৮ সালে জনপ্রিয় ভারতীয় নির্মাতা করণ জোহর তাঁর টক শো কফি উইথ করণ-এ বাহুবলী সিরিজের তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানান। তারা হলেন এস.

এস. রাজামৌলি, প্রভাস এবং রানা দাগ্গুবতী। র‍্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে করণ জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনার প্রিয় সিনেমা কোনটি? ‘বাহুবলী-১’ নাকি ‘বাহুবলী-২’?

কিছুক্ষণ ভেবে রাজামৌলি উত্তর দেন, ‘বাহুবলী-১’। তার খোলামেলা ও দ্রুত উত্তর শুনে প্রভাসও অবাক হয়ে যান এবং স্বীকার করেন যে তিনিও জানতেন না রাজামৌলির কাছে প্রথম ‘বাহুবলী’ সিনেমাটিই বেশি প্রিয়। অথচ ভারতের ইতিহাসে ‘বাহুবলী-২’ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা। 

রাজামৌলি ‘বাহুবলী ১’ সিনেমাকে প্রিয় বলার কারণ, সেখানেই প্রথমবারের মতো মহিষ্মতী সাম্রাজ্যের জাদুকরী জগত নির্মিত হয়েছিল। এখানেই অমরেন্দ্র বাহুবলী, বল্লালদেব ও কাটাপ্পার মতো মহাকাব্যিক চরিত্রগুলোর পরিচয় দর্শকদের সামনে আসে।

একজন নির্মাতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, কিছু নতুন করে তৈরি করার আনন্দই আলাদা। সম্ভবত সেই কারণেই ‘বাহুবলী ১’ তার হৃদয়ের সবচেয়ে কাছের সিনেমা। সূত্র: কইমই।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব হ বল

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডে চার নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রূপসী কাজীপাড়া এলাকার জৈনপুরী আশরাফিয়া টেক্সটাইল কারখানায় (মঞ্জু টেক্সটাইল) এ ঘটনা ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মে দিবসের কারণে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ। এ জন্য লাইনে গ্যাসের উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয়ে মিটারে বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে আগুন ধরে চারজন নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

এ ঘটনায় দগ্ধ আবদুল হান্নান (৫০), কবির হোসেন (৪৫) ও সাইফুল ইসলামকে (২৫) রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ অন্যজনের নাম জানা যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

হাসপাতালের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের শরীরের ৩৪ থেকে ৫৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতের ডিউটি (দায়িত্ব) শেষে সকাল আটটার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস কক্ষে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। তখনই চারজন দগ্ধ হন। পরে কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ দাবি করে কারখানার মালিক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর আপাতত কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের সব চিকিৎসার ব্যয় কারখানা থেকে বহন করা হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ