আসামিদের নেওয়া হয় রিমান্ডে, স্বীকারোক্তিতে মিলল পিস্তল-গুলি-রামদা
Published: 26th, April 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ অস্ত্র মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হলে বিদেশি পিস্তল থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাছের ঘের থেকে শুক্রবার গভীর রাতে একটি আমেরিকান পিস্তল, ম্যাগজিন, এক রাউন্ড গুলি ও চারটি রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই আসামির নাম পিয়াল মাহমুদ ওরফে সাদ্দাম। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মজিদের ছেলে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, সাদ্দামের নামে মাদকদ্রব্য, ডাকাতি, ছিনতাই, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২৭টি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে গত ৮ এপ্রিল রাতে মাছের ঘেরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই সময় সাদ্দাম ও তার সহযোগী আতাউর রহমান রকিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
ওসি মাসুদুর রহমান আরও জানান, পরে তাদেরকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর মধ্যে রকি স্বীকার করেন মাছের ঘেরে টিনের ঘরের পাশে মাটিতে পুতে রাখা বিদেশি পিস্তল রয়েছে। পরে সেখান থেকে একটি আমেরিকান পিস্তল, ম্যাগজিন, এক রাউন্ড গুলি ও চারটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নতুন করে একটি মামলা করা হবে। তদন্ত ও অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান আলমডাঙ্গা থানার ওসি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।