অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল ফটোস অ্যাপে যুক্ত হয়েছে আলট্রা এইচডিআর নামে ছবি সম্পাদনার নতুন একটি সুবিধা। এই সুবিধাটি ব্যবহার করলে স্মার্টফোনে তোলা পুরোনো ছবি এখন দেখতে আরও উজ্জ্বল, রঙিন ও ডিটেইল হবে।

আলট্রা এইচডিআর গুগলের নিজস্ব একটি উন্নতমানের ছবি ফরম্যাট। যদিও এটি সাধারণ জেপিজি এক্সটেনশনেই থাকবে। তবে এর প্রযুক্তি আলাদা। ছবিতে আলোর মাত্রা, রঙের ঘনত্ব ও ছায়ার ভারসাম্য আরও নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হবে এই ফরম্যাট। এতে ছবির সূক্ষ্ম বিবরণ স্পষ্ট হবে এবং যেকোনো আলো-পরিবেশে তোলা ছবিও অনেক বেশি প্রাণবন্ত দেখাবে। নতুন এই সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের পুরোনো ছবিগুলোকেও আলট্রা এইচডিআর ফরম্যাটে রূপান্তর করতে পারবেন। এতে ছবির গঠনগত দিক অপরিবর্তিত থাকলেও এর উজ্জ্বলতা ও রঙের প্রাণবন্ততা বহুগুণ বেড়ে যাবে।

গুগল ফটোসের ৭.

২৪.০.৭৪৭৫৩৯০৫৩ সংস্করণে এই সুবিধা ‘অ্যাডজাস্ট’ অংশে যুক্ত হয়েছে। সেখানে আগে থাকা এইচডিআর ইফেক্টের স্থানে এখন দেখা যাচ্ছে ‘আলট্রা এইচডিআর’। তবে এটি সবার ফোনে একসঙ্গে চালু হচ্ছে না। গুগল ধাপে ধাপে এই সুবিধা উন্মুক্ত করছে। সুবিধাটি চালু হলে ব্যবহারকারীরা ‘আলট্রা এইচডিআর’ অপশনটি খুঁজে পাবেন।

আলট্রা এইচডিআর ফরম্যাটের আরেকটি বড় সুবিধা হলো এটি প্রচলিত জেপিজি ফাইলের চেয়ে কম স্টোরেজ নেবে। ফলে স্মার্টফোন বা ক্লাউডে জায়গা বাঁচবে। পাশাপাশি, এই ফরম্যাটের ছবি এমন ডিভাইসেও দেখা যাবে, যেগুলো এইচডিআর সাপোর্ট করে না। তবে ওই যন্ত্রে ছবিগুলো সাধারণভাবে দেখা গেলেও আলট্রা এইচডিআরের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলো দৃশ্যমান হবে না। কোনো ছবি আলট্রা এইচডিআর ফরম্যাটে আছে কি না, তা জানতে চাইলে ছবিটি ওপেন করে ওপরের দিকে সোয়াইপ করে বিস্তারিত তথ্যের অংশে যেতে হবে। সেখানে ছবির পিক্সেল তথ্যের পাশে ‘আলট্রা এইচডিআর’ লেখাটি দেখা যাবে।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই স ব ধ ব যবহ র ফরম য ট আলট র

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা

জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।

হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—

১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

আবেদনে যোগ্যতার শর্ত

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—

—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।

—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।

—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা

—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।

—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।

—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।

—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।

বৃত্তির সুবিধা

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:

১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।

২। মাসিক ভাতা।

—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।

—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।

—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।

—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।

—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।

—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।

—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা