‘ড্রাই আই সিনড্রোম’ কেন হয়, করণীয় কী
Published: 27th, April 2025 GMT
চোখের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত আদ্রতা। এর ব্যতিক্রম ঘটলে চোখ শুকিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, টিয়ার ফিল্মের তিনটি স্তর রয়েছে। যেমন—তৈলাক্ত (বাহ্যিক), জল/জলীয় স্তর (মাঝখানে) এবং প্রোটিন (অভ্যন্তরীণ)। চোখ শুষ্ক হয়ে গেলে এর প্রত্যেক স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুষ্ক চোখের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হচ্ছে দীর্ঘ সময় এয়ার কন্ডিশন বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকা। এয়ার কন্ডিশনের বাতাস তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটায়। এতে শরীরের বড় অঙ্গ - ত্বক থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। প্রথমে প্রভাবিত হয় শরীরের সূক্ষ্ম অঙ্গ চোখ। এছাড়াও আরও কিছু কারণে ড্রাই আই সিনড্রোম দেখা দেয়।
১.
২. নারীদের মেনোপজের সমস্যা
৩. ডায়াবেটিস
৪. থাইরয়েড
৫. ভিটামিন এ-এর অভাব
৬. অ্যান্টিহিস্টামিনজাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
৭. লেজার আই সার্জারি
বায়ু দূষণ বেশি রয়েছে এমন শহরে বসবাস করলেও চোখ শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। চোখ শুকিয়ে গেলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। যেমন— অস্বস্তি, চুলকানি, ব্যথা সংবেদন, ভারী হওয়া, চোখ থেকে পানি পড়া এবং দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা।
ড্রাই আই সিনড্রোমের উপসর্গ প্রতিরোধে করণীয়
আরো পড়ুন:
গাড়িতে উঠলেই ‘মোশন সিকনেস’ হয়, কী করবেন
বয়স যখন ত্রিশ
চিন্তা স্মৃতি বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে কী করবেন?
১. শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকতে হলে এসির তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং তার উপরে সেট করতে হবে। এয়ার কন্ডিশনের দিকে মুখ করে বসা এড়িয়ে চলুন। এয়ার কন্ডিশন চলাকালে যেখানে বসবেন সেখানে একটি বাটিতে পানি রাখুন। এতে চোখ শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
২.রোদে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
৩.কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করতে হলে কিছু সময় পর পর বিরতি নিন।
চোখে শুষ্কতা দেখা দিলে সংক্রমণও হতে পারে। এমনকি কর্নিয়ার আলসারও হতে পারে। তাই চোখে শুষ্কতা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: ডা. আগরওয়াল আই হসপিটাল
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক