তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি নিয়ে কত কাণ্ড! তাঁর নিষেধাজ্ঞা কমানোয় এক আম্পায়ার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিসিবিতে। এর পরও হুঁশ হয়নি তরুণ এ ক্রিকেটারের। গতকাল আউটের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করায় নতুন করে আরও ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন, জরিমানা গুনেছেন ১০ হাজার টাকা। 

আগের দিন নানা ঘটনায় নিষেধাজ্ঞার শাস্তি এক বছরের জন্য স্থগিত হওয়ায় গতকাল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মাঠে নামার সুযোগ পান হৃদয়। বিষয়টি নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। কিন্তু তাতে হৃদয়ের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। 

গতকাল দুবার জীবন পেয়ে ৩৭ রান করে ওয়াসি সিদ্দিকির বলে জীবনের হাতে ধরা পড়েন মোহামেডানের এ তারকা। কিন্তু পরিষ্কার করে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা উল্লাসে মাতলেও তিনি মাঠ ছাড়তে চাইছিলেন না, ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন উইকেটে। আউট হওয়ার পর দাঁড়িয়ে থাকাটা আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

এ ঘটনা নিয়ে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, হৃদয় গতকাল লেভেল ১ পর্যায়ের অপরাধ করেছেন। যার শাস্তি ১ ডিমেরিট পয়েন্ট। হৃদয়ের আগের ডিমেরিট পয়েন্ট আছে ৭টি। এখন আরও এক যোগ হলো। যার মানে তিনি চার ম্যাচ খেলতে পারবেন না। যদিও আইসিসির নিয়ম মানলে সেটা হবে পাঁচ ম্যাচ। 

এখন প্রশ্ন হলো, বিসিবির টেকনিক্যাল কমিটির দেওয়া দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার এক ম্যাচ এক বছরের জন্য স্থগিত করে দিলেও নতুন করে তিনি যে শাস্তি পেয়েছেন, সেটার কী হবে? হৃদয়ের এ অবস্থা দেখে বিসিবির এক পরিচালক অবশ্য বলেছেন, নিজের হুঁশ না থাকলে কেউ বাঁচাতে পারবে না!

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ