ভারতের সঙ্গে পানি নিয়ে সমস্যা, সরকার ও বিএনপি কি আশা দেখাচ্ছে
Published: 27th, April 2025 GMT
আবারও গরমকাল চলে এসেছে। কয় দিন আগে পত্রিকান্তরে জানতে পারলাম, শুধু ফেনীতেই ১ লাখ ৬৭ হাজার নলকূপে পানি উঠছে না। যদি ঠিকমতো খবর নেওয়া হয়, সারা দেশে এমন করুণ বাস্তবতা পাওয়ার কথা।
পানি নিয়ে আমাদের দুটি সমস্যা। প্রথমত, গরমকালে আমরা পানি একেবারেই পাচ্ছি না। আবার বর্ষায় অতিরিক্ত পানি আমাদের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। এটা ঠিক, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। সঙ্গে আছে পাশের দেশ ভারতের নজিরবিহীন অসহযোগিতা; আর আমাদের নিজেদের গাফিলতি তো আছেই। এভাবে যদি দেশ চলতে থাকে, তাহলে বন্যা বা খরার জন্য এই দেশ কখনো দাঁড়াতেই পারবে না।
গত ২৯ আগস্ট প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত ‘বন্যা সমস্যার অনেক সমাধান আমাদের হাতেই’ লেখায় আমি এই পানি সমস্যা কীভাবে আন্তর্জাতিক ও প্রযুক্তিগতভাবে মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এ নিয়ে আরও লেখালেখি করেছি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আসলে মেগা প্রকল্প আশা করা যায় না, তাদের থেকে আমাদের আশা আন্তর্জাতিক সমাধানগুলো শুরু করা, যাতে পরবর্তী সরকার এলে সেই ধারাবাহিকতায় কাজ করতে পারে। প্রযুক্তিগত সমাধান নিয়ে আসবে পরবর্তী সরকার।
১৭ এপ্রিল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, বাংলাদেশ জাতিসংঘ পানি কনভেনশন ১৯৯২ স্বাক্ষর করার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে। এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানও তাঁর বক্তব্যে তিস্তা প্রকল্প ও খাল খনন প্রকল্প গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। প্রস্তাবিত গঙ্গা ব্যারাজ প্রকল্প নিয়ে এখনো কেউ কথা বলেনি, কিন্তু উত্তর-দক্ষিণবঙ্গকে বাঁচাতে হলে এই প্রকল্প গ্রহণের বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে আশা করি অন্য রাজনৈতিক দলগুলাও নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে আসবে।
কিন্তু কথা হচ্ছে, আমাদের ১৯৯২ সালের কনভেনশনে স্বাক্ষর করে কি লাভ হবে? জাতিসংঘের আন্তদেশীয় পানিপ্রবাহ নিয়ে দুটি কনভেনশন আছে। শুরুতেই ওগুলো সম্পর্কে একটু জেনে নিই।
আরও পড়ুনবন্যার অনেক সমাধান আমাদের হাতেই২৯ আগস্ট ২০২৪দেরিতে হলেও সরকার এবং বিএনপি আমাদের পানি সমস্যা নিয়ে কাজ ও কথা বলা শুরু করেছে। তারা যত এটা নিয়ে কথা বলবে, তত আমরা সমাধানের কাছে পৌঁছাতে পারব। অন্য রাজনৈতিক দলও এগিয়ে আসবে আশা করি। আমাদের সুপেয় পানির প্রাপ্তি কমে আসছে। অন্যের দয়ার ওপর নির্ভর না করে পানির ব্যবস্থা আমাদের নিজেদেরকেই করতে হবে।১৯৯২ সালের কনভেনশনের পূর্ণ নাম হলো ‘কনভেনশন অন দ্য প্রটেকশন অ্যান্ড ইউজ অব ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াটারকোর্সেস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল লেকস’। এটি ইউরোপীয় অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনইসিই) উদ্যোগে হেলসিঙ্কিতে গৃহীত হয়। মূলত ইউরোপ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্তসীমান্ত পানিপ্রবাহ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশগত সুরক্ষার লক্ষ্যে এ চুক্তি তৈরি হয়। কনভেনশনটি ১৯৯৬ সালে কার্যকর হয় এবং ২০১৬ সাল থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ চুক্তির মাধ্যমে সদস্যদেশগুলোকে যৌথভাবে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, তথ্য বিনিময়, আগাম সতর্কতা এবং দূষণ প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
অন্যদিকে ১৯৯৭ সালের কনভেনশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয় এবং এর পূর্ণ নাম হলো ‘কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য নন-নেভিগেশনাল ইউজেস অব ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটারকোর্সেস’। এই চুক্তির লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক পানিপ্রবাহের নৌযান ব্যতীত অন্যান্য ব্যবহার (যেমন কৃষি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পানি সরবরাহ ইত্যাদি) সংক্রান্ত আইন নির্ধারণ এবং এসব ব্যবহারে ন্যায্যতা ও যৌক্তিকতার ভিত্তিতে বণ্টন নিশ্চিত করা। এই চুক্তি ২০১৪ সালে কার্যকর হয়, যখন প্রয়োজনীয় ৩৫টি দেশ এটিকে অনুমোদন করে। এতে ন্যায্য ও যৌক্তিক ব্যবহার এবং অন্য দেশকে গুরুতর ক্ষতি না করার নীতি অন্যতম মূল দিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
১৯৯২ সালের চুক্তি পরিবেশগত সুরক্ষা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে অধিক গুরুত্ব দেয়, যেখানে ১৯৯৭ সালের চুক্তি আইনগত কাঠামোর মাধ্যমে পানির যৌক্তিক ও ন্যায্য ব্যবহারে জোর দেয়। ১৯৯৭ সালের কনভেনশনে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার নিয়ম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেখানে ১৯৯২ সালের চুক্তিতে মূলত আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে জোর দেওয়া হয়েছে।
আমাদের তাহলে কোনটি দরকার? হ্যাঁ! ভারতের পানি প্রত্যাহারের জন্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রতিবছর খরায় ক্ষতি গড়ে ২ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা (কালের কণ্ঠ, ১৬ নভেম্বর ২০২২) এবং বন্যায় প্রতিবছর গড়ে ক্ষতি হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা (জাগোনিউজ২৪, ২৮ জুন ২০২২)। প্রাণহানির কথা তো বাদই দিলাম। ১৯৯২ সালের চুক্তির মাধ্যমে কি আমরা আলোচনা করে এই ক্ষতিপূরণ আনতে পারব? এটা অসম্ভব এবং অবাস্তব চিন্তা। তবে গত বছরের মতো নোটিশ ছাড়া ভারত পানি ছেড়ে দিলে আমরা সেই ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারব।
আমাদের দরকার ১৯৯৭ সালের কনভেনশনের স্বাক্ষর করে পানির ন্যায্য হিস্যা আনা। যদি আমরা ঠিকমতো পানি পাই, আমাদের অনেক পরিবেশগত সমস্যাই কমে যাবে। ভারতের অভিন্ন ৫৪টি নদীর ৫৩টিতেই দেওয়া বাঁধ দিয়ে যে পানি প্রত্যাহার করছে, আমরা তার প্রতিবাদ করার অধিকার আন্তর্জাতিকভাবে পাব। ইতিমধ্যে ভারতের ২২টি রাজ্যের নদী অববাহিকায় নির্মাণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ টি বাঁধ। আরও অনেকগুলো বাঁধ পাইপলাইনে আছে। (ইন্টারন্যাশনাল রিভার্স ডট ওআরজি) জিবিএম অববাহিকার দেশগুলোর পরিকল্পনাধীন বাঁধের সংখ্যা ৪১৪। এর মধ্যে নেপালে ২৮৫টি, ভারতে ১০৮টি, ভুটানে ১২টি, চীনে ৮টি ও বাংলাদেশে ১টি। (বণিক বার্তা, ২৯ এপ্রিল ২০২৩)
ব্রহ্মপুত্র নদের চীনা অংশ ইয়ারলুং স্যাংপো থেকে পীত নদীতে বছরে ২০ হাজার কোটি ঘনফুট পানি সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে চীনের। অন্য দিকে ন্যাশনাল রিভার লিংকিং প্রজেক্টের (এনআরএলপি) আওতায় ৯ হাজার ৬০০ কিলোমিটার খাল খননের মাধ্যমে নিজ সীমানার ৪৪টি নদীকে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। তারা এই বাঁধের ফলে যে আয় করছে, তার ভাগও আইনমতো আমাদের প্রাপ্য।
যেহেতু ১৯৯৭ সালের কনভেনশনে স্বাক্ষর করলে আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে পারব। যৌথ নদী কমিশনের সভাগুলোতে আমরা ভালো দেনদরবার করার অবস্থানে থাকব। আমাদের আমলা ও কূটনীতিকেরা যে দেনদরবারে খুব একটা দক্ষ নন, অতীতে বিভিন্ন চুক্তির ক্ষেত্রে আমরা তা দেখেছি। এখন পর্যন্ত যৌথ নদী কমিশন থেকে আমাদের প্রাপ্য খুব নগণ্য।
দেরিতে হলেও সরকার এবং বিএনপি আমাদের পানি সমস্যা নিয়ে কাজ ও কথা বলা শুরু করেছে। তারা যত এটা নিয়ে কথা বলবে, তত আমরা সমাধানের কাছে পৌঁছাতে পারব। অন্য রাজনৈতিক দলও এগিয়ে আসবে আশা করি। আমাদের সুপেয় পানির প্রাপ্তি কমে আসছে। অন্যের দয়ার ওপর নির্ভর না করে পানির ব্যবস্থা আমাদের নিজেদেরকেই করতে হবে। সেই সামর্থ্য আমাদের আছে। শুধু দরকার সঠিক পরিকল্পনা এবং আমলাতন্ত্র ভেঙে দ্রুত বাস্তবায়ন।
সুবাইল বিন আলম টেকসই উন্নয়নবিষয়ক কলামিস্ট।
ই–মেইল: [email protected]
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র প প রকল প ব যবহ র ব যবস থ পর ব শ অন য র র জন য সরক র সমস য ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি দিল র্যাব, চায় সাইবার ইউনিট
অপরাধের ধরন বদলে যাচ্ছে। অভিনব কৌশলে সক্রিয় সাইবার অপরাধীরা। প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলা করা নতুন চ্যালেঞ্জ। এ জন্য স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট চেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন গতকাল বুধবার কর্মপরিকল্পনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। সেখানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), র্যাবসহ একাধিক ইউনিট একুশ শতকের জটিল অপরাধ ও তা নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির বিষয়টি সামনে আনে। গতকাল পুলিশের যে ইউনিটগুলো পরিকল্পনা তুলে ধরেছে, তা হলো হাইওয়ে পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), নৌ পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), শিল্প পুলিশ, র্যাব, অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট, রেলওয়ে পুলিশ ও সিআইডি।
কীভাবে প্রত্যন্ত এলাকার ভুক্তভোগী র্যাবের সহযোগিতা পেতে পারেন, সে বিষয়টি উপস্থাপন করেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান। তিনি দ্রুত গুজব প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থার ওপর জোর দেন। র্যাবের জন্য আলাদা একটি সাইবার ইউনিটের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। র্যাব জনবান্ধব হওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিজি বলেন, ‘কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও মানবাধিকার বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ র্যাব। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে তদন্ত সেলকে শক্তিশালী করা হয়েছে। একটি মানবাধিকার সেলও গঠন করা হয়েছে।’
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উপস্থিত সূত্রের মতে, র্যাব ডিজির উপস্থাপনায় মূলত বাহিনীর অর্জনগুলো তুলে ধরা হয়।
সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিআইডি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়। সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি (ভারপ্রাপ্ত) গাজী জসীম অনুষ্ঠানে জানান, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী মামলার অনুসন্ধানে সিআইডি বিশেষ টিম গঠন করেছে। সাবেক মন্ত্রী, প্রভাবশালীদের সন্দেহজনক সম্পদের উৎস ও প্রকৃতি নিয়ে নিবিড়ভাবে চলছে তদন্ত। এস আলম, বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, নাবিল, ইউনিক, সিকদার গ্রুপসহ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা ও অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এ সময় প্রায় ৫ হাজার ৮০০ শতাংশ জমি ও হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ শনাক্ত করা হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফের একটি মামলায় ১০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।
সিআইডির উপস্থাপনায় আরও বলা হয়, ফরেনসিক শাখা দিন দিন অপরাধ বিশ্লেষণের নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। জনবল, সরঞ্জাম এবং অর্থের সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি সিআইডিতে আছে কাঠামোগত ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ। কোনো জেলা ইউনিটে একটিও অপারেশনাল যানবাহন নেই। এ ছাড়া অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে অনিয়মিত বদলি আতঙ্ক রয়েছে। সাইবার পুলিশ সেন্টারে রয়েছে সরঞ্জামের অভাব। ফরেনসিক ল্যাবে সফটওয়্যারের জন্য বাজেট-স্বল্পতার কথা তুলে ধরেন তারা।
হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া হয়। মহাসড়কে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কের সিসিটিভি থেকে হাইওয়ে পুলিশ ডিজিটাল অটো ফাইন সিস্টেম, ট্রাফিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ক্লোন নাম্বারপ্লেট শনাক্ত, হাইস্পিড ডিটেকশন করে থাকে।
এর আগে মঙ্গলবার পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পক্ষ থেকে তাদের কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। সেখানে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(২) ধারায় তালিকাভুক্ত ব্যক্তিকে ডিটেনশনে (নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনা বিচারে আটক রাখা) নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং পরিস্থিতির অবনতি যেন না ঘটে, সে জন্য তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের ডিটেনশনে নেওয়া উচিত। সরকারের অনুমতি পেলে এসবির পক্ষ থেকে তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের বিস্তারিত জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। ডিটেনশনে নেওয়ার জন্য যাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, তাদের কেউ কেউ পেশাদার অপরাধী।