রক গায়িকা মিলা ইসলাম।  দীর্ঘদিন ধরেই সিঙ্গেল জীবন যাপন করছেন। তবে বিয়ের জন্য  ছেলে খুঁজে পাচ্ছেন না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত জীবন ও বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন এই তারকা। 

সাক্ষাৎকারে মিলা বলেন, ‘আমি অনেকদিন থেকে অপেক্ষা করছি, আমাকে কেউ কেন জিজ্ঞেস করছে না আপনার কী প্রেম হয়েছে কখন বিয়ে করছেন। আপনি এখন কী করছেন, আপনার বিয়ে কখন হবে।’

বিয়ে প্রসঙ্গে সংগীতশিল্পীর ভাষ্য, ‘সমস্যা হচ্ছে, আমার জন্য ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না। নিজে নিজে ছেলে খুঁজে প্রেম করাটা কঠিন কাজ। বিয়ে হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ না এই মুহূর্তে দরকার একজন জীবনসঙ্গী যে আমার বন্ধু হবে, আমাকে বুঝবে, আপনারা বায়োডাটা পাঠান। আমি চাই যে গুড লুকিং হ্যান্ডসাম হোক। পাশাপাশি দায়িত্বশীল হতে হবে। মায়া থাকতে হবে অনেক শেষে বলবো পশু-পাখির জন্য মায়া থাকতে হবে।’

মিলা আরও বলছেন, ‘আমাদের জেনারেশন পরিবর্তন হয়েছে, আমাদের বাবা-মায়ের সময় তারা এক রকমের সংসার করেছে। এখনকার জেনারেশন আরেকভাবে সংসার করে।’ এরপর বলেন, ‘যদি টাকা থাকে তাহলে আমার সব আছে। টাকা আয় করা গুরুত্বপূর্ণ তবে টাকাওয়ালা জামাই আমি চাই না।’

মিলার প্রথম একক অ্যালবাম ‘ফেলে আসা’ প্রকাশ হয় ২০০৬ সালে। এই অ্যালবামটি কয়েকজন সংগীত পরিচালক পরিচালনা করেন। ২০০৮ সালে তাঁর দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ফুয়াদ আল মুক্তাদির ফিচারিং মিলা চ্যাপ্টার-২ প্রকাশ হয়। এই অ্যালবামটির সুরকার ও রচয়িতা সংগীত পরিচালক ফুয়াদ। ২০০৯ সালে ফুয়াদ ফিচারিং মিলা রি-ডিফাইন্ড বের হয় এবং এই অ্যালবামটিরও সুরকার ও রচয়িতা সংগীত পরিচালক ফুয়াদ।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ