বিয়ের পাত্র খুঁজে পাচ্ছেন না মিলা, আগ্রহীদের বলছেন বায়োডাটা পাঠাতে
Published: 27th, April 2025 GMT
রক গায়িকা মিলা ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরেই সিঙ্গেল জীবন যাপন করছেন। তবে বিয়ের জন্য ছেলে খুঁজে পাচ্ছেন না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত জীবন ও বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন এই তারকা।
সাক্ষাৎকারে মিলা বলেন, ‘আমি অনেকদিন থেকে অপেক্ষা করছি, আমাকে কেউ কেন জিজ্ঞেস করছে না আপনার কী প্রেম হয়েছে কখন বিয়ে করছেন। আপনি এখন কী করছেন, আপনার বিয়ে কখন হবে।’
বিয়ে প্রসঙ্গে সংগীতশিল্পীর ভাষ্য, ‘সমস্যা হচ্ছে, আমার জন্য ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না। নিজে নিজে ছেলে খুঁজে প্রেম করাটা কঠিন কাজ। বিয়ে হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ না এই মুহূর্তে দরকার একজন জীবনসঙ্গী যে আমার বন্ধু হবে, আমাকে বুঝবে, আপনারা বায়োডাটা পাঠান। আমি চাই যে গুড লুকিং হ্যান্ডসাম হোক। পাশাপাশি দায়িত্বশীল হতে হবে। মায়া থাকতে হবে অনেক শেষে বলবো পশু-পাখির জন্য মায়া থাকতে হবে।’
মিলা আরও বলছেন, ‘আমাদের জেনারেশন পরিবর্তন হয়েছে, আমাদের বাবা-মায়ের সময় তারা এক রকমের সংসার করেছে। এখনকার জেনারেশন আরেকভাবে সংসার করে।’ এরপর বলেন, ‘যদি টাকা থাকে তাহলে আমার সব আছে। টাকা আয় করা গুরুত্বপূর্ণ তবে টাকাওয়ালা জামাই আমি চাই না।’
মিলার প্রথম একক অ্যালবাম ‘ফেলে আসা’ প্রকাশ হয় ২০০৬ সালে। এই অ্যালবামটি কয়েকজন সংগীত পরিচালক পরিচালনা করেন। ২০০৮ সালে তাঁর দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ফুয়াদ আল মুক্তাদির ফিচারিং মিলা চ্যাপ্টার-২ প্রকাশ হয়। এই অ্যালবামটির সুরকার ও রচয়িতা সংগীত পরিচালক ফুয়াদ। ২০০৯ সালে ফুয়াদ ফিচারিং মিলা রি-ডিফাইন্ড বের হয় এবং এই অ্যালবামটিরও সুরকার ও রচয়িতা সংগীত পরিচালক ফুয়াদ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।