এনআইডির সাবেক ডিজি সাহেলেরই এনআইডি ব্লকের নির্দেশ
Published: 27th, April 2025 GMT
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) সুলতানুজ্জামান মো. সাহেল উদ্দিনের এনআইডি ব্লক করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ফলে তার এনআইডি ব্লক করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সংস্থাটি।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) ইসির এনআইডি শাখার কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইসিতে দুদকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশনের উপ-পরিচালক মো.
আরো পড়ুন:
জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা
হাসিনা-রেহানাসহ ২২ জনের গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত প্রতিবেদন ১২ মে
সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি করে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে দরখাস্ত মঞ্জুর করে দুদক। এক্ষেত্রে জনস্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচায়পত্র ব্লক করার নির্দেশনা দেয় সংস্থাটি।
সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন বিএমটিএফ-এর দায়িত্ব নেওয়ার আগে এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ছিলেন। তার সময়েই স্মার্ট কার্ডের জন্য ফরাসি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অবার্থারের সঙ্গে চুক্তি করা হয়, যে প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্ড দিতে না পারার খেসারত এখনো দিতে হচ্ছে ইসিকে।
সম্প্রতি শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের ১০ সদস্যের এনআইডি ব্লক করে ইসি। এনআইডি ব্লক করা হলে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হয়।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ