‘দ্য গডফাদার’ নির্মাতা আজীবন সম্মাননা পেলেন
Published: 27th, April 2025 GMT
নির্মাতা ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলাকে আজীবন সম্মাননা দিয়েছে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট (এএফআই)। গত শনিবার রাতে লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে কপোলার হাতে ৫০তম এএফআই আজীবন সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন নির্মাতা জর্জ লুকাস ও স্টিভেন স্পিলবার্গ।
অনুষ্ঠানে কপোলাকে প্রশংসায় ভাসান স্পিলবার্গ। ‘দ্য গডফাদার’ নির্মাতাকে ‘সাহসী’ উল্লেখ করেন স্পিলবার্গ। ১৯৬৭ সালে দুই নির্মাতার প্রথম দেখা। কপোলাকে নির্মাতাদের প্রেরণা উল্লেখ করে স্পিলবার্গ এদিন বলেন, ‘স্বাধীন ঘরানার শিল্পীদের জন্য আপনি একজন যোদ্ধা। নিজের কাজে সব সময়ই সেরা। তবে কেবল নিজের কাজ নয়, নতুন নতুন আইডিয়া, দর্শন তুলে ধরে অন্যদের অনুপ্রাণিত করেন।’
অন্য নির্মাতাদের সঙ্গে কপোলার ‘অ্যাপোক্যালিপস নাউ’ দেখেছিলেন স্পিলবার্গ। সিনেমার প্রাথমিক কাটটির দৈর্ঘ্য ছিল পাঁচ ঘণ্টা। সেই স্মৃতি মনে করে স্পিলবার্গ বলেন, ‘যখন সিনেমাটির সম্পাদনা চলে, আপনি আমাদের সেটা দেখার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। দেখে খোলাখুলি নিজের মত জানাতে বলেছিলেন। তখন সিনেমাটি দেখতে দেখতে অনেক কিছু শিখেছিলাম, আপনার সুপারপাওয়ার সম্পর্কে ধারণা হয়েছিল।’
কপোলার দ্য গডফাদার সম্পর্কে স্পিলবার্গ বলেন, ‘আমার কাছে “দ্য গডফাদার” সর্বকালের সেরা আমেরিকান সিনেমা। আমরা যখন ছোট থাকি, তখন মা-বাবাকে গর্বিত করতে চাই, পরে বন্ধুদের, এখন সমবয়সীদের।
নির্মাতা ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলাকে আজীবন সম্মাননা দিয়েছে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট (এএফআই)। রয়টার্স.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ য গডফ দ র আম র ক
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।