অতীত জেনে মাধুরীকে বিয়ে করিনি: শ্রীরাম নেনে
Published: 28th, April 2025 GMT
১৯৯৯ সালে কোটি ভক্তের হৃদয় ভেঙে ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করেন বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’ মাধুরী দীক্ষিত। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ফলে রুপালি জগতের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়ে। ২০১১ সালে ভারতে ফিরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন নেনে। মাধুরীও আবার নিজ অঙ্গনে ফিরেন। এ দম্পতি দুই সন্তানের জনক-জননী।
কয়েক দিন আগে ভারতের জনপ্রিয় ইউটিউবার রণবীর আলাহাবাদিয়াকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মাধুরীর স্বামী। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, একজন সুপারস্টারকে বিয়ে করে অনুভূতি কেমন এবং জীবন কতটা বদলেছে। জবাবে নেনে বলেন, “আমেরিকাতেও এমনটা হয়েছিল! আমি তাকে সেভাবে চিনতাম না। সে আমার স্ত্রী এবং পার্টনার।”
বিয়ের পরের চ্যালেঞ্জিং সময়ের কথা জানিয়ে নেনে বলেন, “পরিচয় গোপন রাখাটা কঠিন ছিল, সাধারণ মানুষের মতো আচরণ করতে পারার ব্যাপার ছিল। ভাগ্যের বিষয় হলো— আমরা দুজনেই এটা উপভোগ করি। আমরা সবকিছুর জন্য খুবই কৃতজ্ঞ। মাধুরী খুবই সরল মনের মানুষ। ভক্ত ও অন্য মানুষের সঙ্গে তার আচরণই প্রমাণ। আমার ক্ষেত্রেও একই কথা। আমরা কেবল ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি।”
আরো পড়ুন:
১৫ দিন নিজের প্রস্রাব নিজে পান করেছি: পরেশ রাওয়াল
‘সাজিদ খান আমার পোশাক খুলতে বলেন’
মাধুরীর অতীত জেনে বিয়ে করেননি নেনে। মাধুরীও ঠিক তাই। নেনে বলেন, “আমরা পরস্পরের যত্ন নিই। আমি কখনো তার অতীত জানিনি এবং সেও আমারটা না। আমরা ভিন্ন অঙ্গন থেকে এসেছি। কিন্তু আমরা একই সময়ের, একই অঞ্চলের। আমরা দুজনেই মহারাষ্ট্রের। কেউই ভাবিনি যে আমরা বিয়ে করব। এটি ছিল ভাগ্য। এটি আমার জীবনের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা।”
ভারতে ফিরে আপনি কি আরো বেশি সুখী? জবাবে নেনে বলেন, “আমি আরো সুখী এটা বলতে পারব না। এটা আলাদা ব্যাপার। সেখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) আপনি অপরিচিত, স্বাধীন। অনেকটাই স্ব-চালিত। ভারতে আমাদের সংস্কৃতি আছে, অনেক বন্ধন রয়েছে, তাই এটি আলাদা।”
১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মাধুরী। এই সিনেমায় তার নায়ক ছিলেন বাঙালি অভিনেতা তাপস পাল। ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ সিনেমার মাধ্যমে দর্শকমহলের সর্বত্র বিপুল সাড়া ফেলে দেন এই অভিনেত্রী।
আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে নব্বই দশকের শেষ পর্যন্ত বলিউড কাঁপান মাধুরী। এই সুন্দরী অভিনেত্রীর ঝোলায় জমা পড়েছে— ‘রাম লক্ষ্মণ’, ‘তেজাব’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘কোয়লা’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘খলনায়ক’–এর মতো অজস্র সুপারহিট সিনেমা। সর্বশেষ ‘ভুল ভুলাইয়া থ্রি’ সিনেমায় দেখা যায় মাধুরীকে। এটি গত বছর মুক্তি পায়।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট