১৯৯৯ সালে কোটি ভক্তের হৃদয় ভেঙে ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করেন বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’ মাধুরী দীক্ষিত। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ফলে রুপালি জগতের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়ে। ২০১১ সালে ভারতে ফিরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন নেনে। মাধুরীও আবার নিজ অঙ্গনে ফিরেন। এ দম্পতি দুই সন্তানের জনক-জননী।

কয়েক দিন আগে ভারতের জনপ্রিয় ইউটিউবার রণবীর আলাহাবাদিয়াকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মাধুরীর স্বামী। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, একজন সুপারস্টারকে বিয়ে করে অনুভূতি কেমন এবং জীবন কতটা বদলেছে। জবাবে নেনে বলেন, “আমেরিকাতেও এমনটা হয়েছিল! আমি তাকে সেভাবে চিনতাম না। সে আমার স্ত্রী এবং পার্টনার।”

বিয়ের পরের চ্যালেঞ্জিং সময়ের কথা জানিয়ে নেনে বলেন, “পরিচয় গোপন রাখাটা কঠিন ছিল, সাধারণ মানুষের মতো আচরণ করতে পারার ব্যাপার ছিল। ভাগ্যের বিষয় হলো— আমরা দুজনেই এটা উপভোগ করি। আমরা সবকিছুর জন্য খুবই কৃতজ্ঞ। মাধুরী খুবই সরল মনের মানুষ। ভক্ত ও অন্য মানুষের সঙ্গে তার আচরণই প্রমাণ। আমার ক্ষেত্রেও একই কথা। আমরা কেবল ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি।”

আরো পড়ুন:

১৫ দিন নিজের প্রস্রাব নিজে পান করেছি: পরেশ রাওয়াল

‘সাজিদ খান আমার পোশাক খুলতে বলেন’

মাধুরীর অতীত জেনে বিয়ে করেননি নেনে। মাধুরীও ঠিক তাই। নেনে বলেন, “আমরা পরস্পরের যত্ন নিই। আমি কখনো তার অতীত জানিনি এবং সেও আমারটা না। আমরা ভিন্ন অঙ্গন থেকে এসেছি। কিন্তু আমরা একই সময়ের, একই অঞ্চলের। আমরা দুজনেই মহারাষ্ট্রের। কেউই ভাবিনি যে আমরা বিয়ে করব। এটি ছিল ভাগ্য। এটি আমার জীবনের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা।”

ভারতে ফিরে আপনি কি আরো বেশি সুখী? জবাবে নেনে বলেন, “আমি আরো সুখী এটা বলতে পারব না। এটা আলাদা ব্যাপার। সেখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) আপনি অপরিচিত, স্বাধীন। অনেকটাই স্ব-চালিত। ভারতে আমাদের সংস্কৃতি আছে, অনেক বন্ধন রয়েছে, তাই এটি আলাদা।”

১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মাধুরী। এই সিনেমায় তার নায়ক ছিলেন বাঙালি অভিনেতা তাপস পাল। ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ সিনেমার মাধ্যমে দর্শকমহলের সর্বত্র বিপুল সাড়া ফেলে দেন এই অভিনেত্রী।

আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে নব্বই দশকের শেষ পর্যন্ত বলিউড কাঁপান মাধুরী। এই সুন্দরী অভিনেত্রীর ঝোলায় জমা পড়েছে— ‘রাম লক্ষ্মণ’, ‘তেজাব’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘কোয়লা’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘খলনায়ক’–এর মতো অজস্র সুপারহিট সিনেমা। সর্বশেষ ‘ভুল ভুলাইয়া থ্রি’ সিনেমায় দেখা যায় মাধুরীকে। এটি গত বছর মুক্তি পায়।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ