চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশন খারাপ যায়নি বাংলাদেশের। ৭২ রানে টস জিতে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ের দুই উইকেট নিয়েছিল স্বাগতিকরা। এরপর দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত কর্তৃত্ব করে সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে জয় পাওয়া জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় সেশনের শুরুতে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ফিফটি করা নিক ওয়েলস। এরপরই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান একের পর এক ধাক্কা দিয়ে ৯০ ওভারে ২২৭ রানে জিম্বাবুয়ের ৯ উইকেট তুলে নিয়েছে। 

এক সেশনে ৭ উইকেট: চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের শেষ সেশনে ৭ উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। এই সেশনের ১৮ ওভারে নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম ধসিয়ে দেন সফরকারী জিম্বাবুয়েকে। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন ১৭৭ রানে আউট হয়ে যান। জিম্বাবুয়ে নবম উইকেট হারায় ২১৭ রানে। অর্থাৎ ৪০ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারায় তারা। শেষ উইকেটে দৃঢ়তা দেখান উইকেটরক্ষক তাফাদওয়া সিগা। তিনি ৫৯ বল খেলে ১৮ রান করে দিন শেষ করেন। এই সেশনে তাইজুল ৪টি ও নাঈম হাসান তুলে নেন ২ উইকেট।

ওয়েলস ও উইলিয়ামসনের ফিফটি: চট্টগ্রাম টেস্টে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার ব্যাটার নিক ওয়েলস ও চারে নামা শন উইলিয়ামসন ফিফটি তুলে নেন। তাদের ব্যাটে কর্তৃত্বও করছিল জিম্বাবুয়ে। নিক ওয়েলস ৫৪ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে উঠে যান। অষ্টম উইকেট পড়ার পরে ক্রিজে ফিরলেও কোন রান যোগ করতে পারেননি তিনি। তার ব্যাট থেকে তিনটি চার ও দুটি ছক্কা আসে। উইলিয়ামসন ১৬৬ বল খেলে ৬৭ রান করে ফিরে যান। সাতটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি।

ওয়েলসের রিটায়ার্ড হার্ট টার্নিং পয়েন্ট: প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারানোর পর তিনে নামা নিক ওয়েলস ও চারে নামা শন উইলিয়ামসন ৯০ রানের জুটি গড়েন। ৫৬ ওভার শেষে চা পানের বিরতিতে যান তারা। দ্বিতীয় সেশনের পরের প্রথম ওভারেই ওয়েলসের হাতে ক্র্যাম্প হয়। তিনি রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান। তার নামের পাশে তখন ৫৪ রান। তিনি উঠে যাওয়ার পর ক্রিজে আসেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন। তিনি ৬৮তম ওভারে আউট হন। প্রথম ব্রেক থ্রু পায় বাংলাদেশ। পরেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ।

অভিষিক্ত তানজিমের প্রথম উইকেট: চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের জার্সিতে টেস্ট অভিষেক হয়েছে পেসার তানজিম সাকিবের। তিনি দিনের ১১তম ওভারে জিম্বাবুয়ে ওপেনার ব্রায়ান বেনেটকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন। বেটেন ২১ রান যোগ করেন। অন্য ওপেনার বেন কারেনও ২১ রান করে তাইজুলের বলে আউট হন। তানজিম প্রথম দিন ১০ ওভার বোলিং করে ৪৯ রান দিয়েছেন। ওভারপ্রতি প্রায় ৫ রান দেওয়ায় খরুচে ছিলেন তিনি। তবে নতুন বলে উইকেট নেওয়ার মতো ভালো কিছু ডেলিভারি তিনি দিয়েছিলেন।

তাইজুলের ফাইফার: টেস্টে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম আরও একবার পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ৫৩তম টেস্ট খেলতে নামা তাইজুল ২২৪ উইকেট নিয়েছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারে ১৬তম বার ফাইফারের কীর্তি গড়েছেন। ক্যারিয়ারে দু’বার দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে তার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইল য় মসন উইক ট ন য় র প রথম ত ইজ ল র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ