Prothomalo:
2025-06-15@20:25:01 GMT

মহানবী (সা.)-কে কতটা মানতে হবে

Published: 29th, April 2025 GMT

আল্লাহ-তাআলা বলেন, ‘আমি একমাত্র এ-উদ্দেশ্যেই রাসুল প্রেরণ করেছি, যেন আল্লাহর নির্দেশ-অনুযায়ী তাঁকে মেনে চলা হয়।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৬৪)

সকল রাসুলের ক্ষেত্রে আল্লাহর একই রীতি, তারা যে-বিধান নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন তা পৌঁছে দেবেন এবং অনুসারীদের কর্তব্য হলো, তাকে মান্য করবে এবং নির্দেশ বাস্তবায়ন করবে। কোরআনের অনেক আয়াতে নবীজির আনুগত্য করতে বলা হয়েছে। অধিকাংশ তাকে মান্য করতে বলা হয়েছে আল্লাহর আদেশ মানার কথার সঙ্গে মিলিত হয়ে।

যেমন, আল্লাহ-তাআলা বলেছেন, ‘ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ ও তার রাসুলকে মানো’ (সুরা আনফাল: ২০)। ‘বলুন, তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের মান্য করো’ (সুরা আলে ইমরান: ৩২)। ‘আর তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের আদেশের অনুগত থাকো, যাতে তোমাদের ওপর দয়া করা হয়’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩২)। ‘যে ব্যক্তি রাসুলকে মান্য করল, সে আল্লাহকে মানল’ (সুরা নিসা: ৮০)।

আরও পড়ুনসাহসী সাহাবি হজরত যুবাইর (রা.

)০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এই অনুগত থাকা বা মান্য করার অর্থ কী, সে-বিষয়টিও কোরআনে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, ‘রাসুল তোমাদের যা দিয়েছেন তা গ্রহণ করো এবং তোমাদের যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকো।’ ‘সুরা হাশর, আয়াত: ৭)

কোরআনের পাশাপাশি অনেক হাদিসেও আল্লাহ ও রাসুলের আদেশ মানতে বলা হয়েছে। কতটা? তা বোঝার জন্য একটি ঘটনা উল্লেখ করা যায়। আবু সাইদ ইবনে মুয়াল্লা (রা.) বলেন, ‘‘মসজিদে নামাজ পড়ছিলাম, এমন সময় নবীজি আমাকে ডাকলেন, আমি সাড়া দিলাম না। নামাজ শেষে বললাম, আল্লাহর রাসুল, আমি তো নামাজ পড়ছিলাম।’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহ কি বলেননি, ‘তোমরা আল্লাহ ও তার রাসুলের ডাকে সাড়া দাও, যখন তিনি তোমাদের ডাকেন, কেননা, তাতে রয়েছে তোমাদের জীবন’ (সুরা আনফাল: ২৪)।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪,৪৭৪)

আবার বিদায় হজের সময় যাদের কোরবানির পশু ছিল না, তাদের বললে ইহরামমুক্ত হয়ে যেতে এবং হজের বদলে ওমরা করে নিতে। অনেকে ইতস্তত করছিল। নবীজি (সা.) রাগ করলেন, কেন তারা তারা গড়িমসি করেছে। সাহাবিদের দ্বিধাও ছিল রাসুলের কাছে অবাধ্যতা। ফলে তিনি আল্লাহর অভিশাপ পড়ার আশঙ্কা করেছিলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১.২১১)

মহানবীর (সা.) আদেশ মানলে এবং তার আনীত বিধানে অনুগত থাকলে কী প্রতিদান পাবে, তা-ও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আর যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের আদেশ মান্য করবে, তারা তাদের সঙ্গী হবে যাদের প্রতি আল্লাহ পুরস্কার দিয়েছেন। তারা হলেন নবী, সত্যবাদী, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৬৯)

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমার প্রতিটি উম্মত বেহেশতে প্রবেশ করবে; তবে সে নয়, যে অস্বীকারকারী।’ সাহাবিগণ বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল, অস্বীকারকারী কে?’ তিনি বললেন, ‘যে আমার আনুগত্য করবে সে বেহেশতে যাবে। যে আমার অবাধ্যতা করবে, সে-ই অস্বীকারকারী।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৭,২৮০)

আরও পড়ুনভালো প্রতিবেশী আল্লাহর প্রিয়জন১৩ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ন য কর আল ল হ ও

এছাড়াও পড়ুন:

পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল

ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।

গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র

গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।

গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানের

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।

ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।

ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ