ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ষষ্ঠ দিনের মতো গোলাগুলি
Published: 30th, April 2025 GMT
ভারত–পাকিস্তান সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে আবারও গোলাগুলি হয়েছে। ভারতের সেনাবাহিনী বলেছে, গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো দেশ দুটির মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল।
ভারতের সেনাবাহিনী বলছে, গতকাল মধ্যরাতে একাধিক পাকিস্তানি সেনাচৌকি থেকে ‘বিনা উসকানিতে’ গুলি চালানো হয়েছে। ভারত এর জবাব দিয়েছে। তবে এ ঘটনায় বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এ ব্যাপারে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে সাড়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনপেহেলগাম হামলার পর কাশ্মীর নিয়ে মোদির দাবি অসার হয়ে গেল২ ঘণ্টা আগেগত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনায় তিন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে চিহ্নিত করেছে ভারত। দেশটি বলছে, এর মধ্যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক।
নয়াদিল্লির অভিযোগ, এ হামলায় ইসলামাবাদ জড়িত। তবে ইসলামাবাদ তা নাকচ করে দিয়েছে। এ ঘটনায় স্বাধীন তদন্তও দাবি করেছে তারা।
আরও পড়ুন‘ভারতকে থামান’, জাতিসংঘকে শাহবাজ শরিফ২ ঘণ্টা আগেতবে এরই মধ্যে হামলার জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে করা ৬৫ বছরের পুরোনো সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। জবাবে পাকিস্তানও ভারতীয় বিমান সংস্থার জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করাসহ বিভিন্ন পাল্টা পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
পাকিস্তান বলেছে, ভারত শিগগিরই হামলার পরিকল্পনা করছে বলে তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য আছে। ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এ হামলা হতে পারে। পেহেলগামে হামলায় পাকিস্তানি সম্পৃক্ততার ভিত্তিহীন ও মনগড়া অভিযোগকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার ভারত এ হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ইসলামাবাদ।এদিকে আজ বুধবার পাকিস্তান বলেছে, ভারত খুব শিগগির সামরিক হামলার পরিকল্পনা করছে বলে তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য আছে। ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এ হামলা হতে পারে। পেহেলগামে হামলায় পাকিস্তানি সম্পৃক্ততার ভিত্তিহীন ও মনগড়া অভিযোগকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার ভারত এ হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ইসলামাবাদ।
আরও পড়ুনপাকিস্তান প্রথমে ভারতে আক্রমণ করবে না, আঘাত এলে জবাব দেবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী দার৩ ঘণ্টা আগেএ ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি।
আজ এক বিবৃতিতে পাকিস্তান বলেছে, তারা সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানায়। ভারতের যেকোনো সামরিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নিশ্চিতভাবে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার দিয়েছে তারা।
আরও পড়ুনভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় গুতেরেসের উদ্বেগ, শাহবাজ ও জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনালাপ২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম ব দ
এছাড়াও পড়ুন:
হেফাজতে ইসলামের আমিরের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল জামায়াতে ইসলামী
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের আজ সোমবার গণমাধ্যমে এ–সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, দৈনিক ইনকিলাবের ১৫ সেপ্টেম্বর সংখ্যার প্রথম পাতায় ‘জামায়াত সরকারে আসতে পারলে কওমি, দেওবন্দি ও সুন্নিয়াত মাদ্রাসার অস্তিত্ব রাখবে না’ শিরোনামে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অসত্য ও মনগড়া। তাঁর এ বক্তব্যের মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই। তাঁর এই বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাঁর মতো একজন বরেণ্য আলেমের মুখে এমন ভিত্তিহীন মন্তব্য শোভা পায় না। আমি তাঁর এই বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও ইসলামি ধারার রাজনৈতিক দল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামায়াতে ইসলামী দেশে অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছে। জামায়াতের বহু নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষী কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দ্বীনি খেদমতে নিয়োজিত রয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতা বা কর্মী কোনো দিন কওমি, দেওবন্দি কিংবা সুন্নিয়াত মাদ্রাসার বিরোধিতা করেছেন—এমন প্রমাণ নেই।
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর দুজন মন্ত্রী ক্ষমতায় ছিলেন। তাঁরা কওমি, দেওবন্দি ও সুন্নিয়াত মাদ্রাসার বিরোধিতা করেছেন, এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবেন না। বরং তাঁরা ওই ধরনের মাদ্রাসাকে মুক্তহস্তে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর আশঙ্কা অসত্য ও অমূলক। অতএব এ ধরনের প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার) চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
বিবৃতিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অসত্য ও মনগড়া মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।