রংপুরে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে গ্রাহকদের বিক্ষোভ
Published: 30th, April 2025 GMT
লোডশেডিং কমানোর দাবিতে রংপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন গ্রাহকরা। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সামেন এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে আসা গ্রাহকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তীব্র গরম ও অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে সাধারণ মানুষ যেমন নানা সমস্যায় পড়ছেন, তেমনি সেচ সংকটের কারণে ক্ষতির মুখে পড়ছে ফসলের ক্ষেত। এ কারণে সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের বাসিন্দা সোহাগ হাসান বলেন, “শুরু থেকেই আমরা রংপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর আওতায় রয়েছি। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে আমরা অতিষ্ঠ। গরমের এই সময়ে আধা ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুৎ না থাকায় পরিবারের বয়স্কদের যেমন কষ্ট বেড়েছে তেমনি শিক্ষার্থীরও পড়ালেখা করতে পারছে না।”
আরো পড়ুন:
পর্তুগাল ও স্পেনে নজিরবিহীন বিদ্যুৎ বিপর্যয়, পর্যুদস্তু জনজীবন
মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র: ৩০ বছরে ব্যয় হবে ২ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা
তিনি আরো বলেন, “আমাদের বাড়ি যেহেতু নীলফামারী। আমরা চাই নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হোক। কেননা যেকোন সমস্যায় রংপুর আসা আমাদের জন্য কষ্টকর। আমরা কোনো সমস্যায় পড়লে রংপুর পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও সহজে পাই না।”
একই ইউনিয়নের বাসিন্দা আতিকুর রহমান চৌধুরি বলেন, “এখন ক্ষেতে বোরোসহ বিভিন্ন ফসল রয়েছে। এসব ফসলের জন্য ক্ষেতে সেচ দিতে হয়। যে কারণে আমাদের পল্লী বিদ্যুতের ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে, আমরা কোনো রকম বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। দীর্ঘক্ষণ পর যদি বিদ্যুৎ আসে পানি ছাড়লে সে পানি জমিতে যাওয়ার আগেই আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমরা নীলফামারীর মানুষ। আমরা চাই, আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে দেওয়া হোক, তাতে যদি কিছুটা সমস্যা কমে।”
ফুয়াদ বসুনিয়া বলেন, “দিনে ৮ থেকে ১০ বার বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করে। আমরা এই সমস্যার সমাধান চাই।”
রবিউল হোসেন সুজন নামে অপর গ্রাহক বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং কমানোর দাবি জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়েই আজ বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে মানববন্ধন করছি।”
তিনি বলেন, “তিন প্রজন্ম ধরে আমরা রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় জিম্মি হয়ে আছি। আমরা এই জিম্মি দশা থেকে মুক্তি চাই। বর্তমান যে গরম তাতে মানুষের কষ্টের শেষ নেই, তার ওপর সারাদিন বিদ্যুৎ থাকে মাত্র দেড় থেকে দুই ঘণ্টা।”
লোডশেডিংয়ের কথা স্বীকার করে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার খোরশেদ আলম বলেন, “আমরা সবসময় গ্রাহকদের ভালো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। লোডশেডিংয়ে গ্রাহকদের কষ্ট হয়, আমরা তা বুঝি, কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। ঝড়, বৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। নীলফামারিতে আরো একটি সাবষ্টেশন নির্মাণ করার পরিকল্পনা চলছে। সেটি নির্মাণ হলে সমস্যা কিছুটা কমবে আশা করি।”
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র প র পল ল আম দ র র আওত সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
সিমন্সের চোখে মিরাজের অসুস্থতা ‘মধুর সমস্যা’
গলের মেঘলা আকাশ আর টানা বৃষ্টির মাঝে বাংলাদেশ টেস্ট দলের প্রস্তুতি শুরু হলো রোববার। শুরুর দিনেই একটি দুশ্চিন্তা—অসুস্থতার কারণে অনুশীলনে ছিলেন না ওয়ানডে অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের চোখে এটি আবার ‘মধুর সমস্যা’।
বাংলাদেশ কোচের মতে, মিরাজের সমস্যা সুযোগ করে দেবে অন্য কারও। তবে মিরাজও যে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন, সেটিও জানিয়েছেন সিমন্স। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন মিরাজের সর্বশেষ অবস্থা, ‘গত দুই দিনে সে অনেকটাই ভালো আছে। আমরা দেখব সন্ধ্যায় ওষুধের পর সে কেমন থাকে। আশা করি, কাল অনুশীলন করতে পারবে এবং খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’
সিমন্স যোগ করেছেন, ‘এটা (মিরাজের অসুস্থতা) নিশ্চয়ই চিন্তার। তবে একজনের সমস্যা অন্যজনের জন্য সুযোগ এনে দেয়। দলের সবাই চায় মিরাজ সুস্থ হয়ে উঠুক, কিন্তু তারা এ–ও জানে, যদি মিরাজ না-ও খেলতে পারে, তাহলে অন্য কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। এটা সমস্যা, তবে সমস্যাটা মধুর।’
মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবেমেহেদী হাসান মিরাজএদিন অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে নিয়েও কথা বলেন সিমন্স। ২০১৩ সালে গলে ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিকের কাছে বড় কিছু প্রত্যাশা করছেন না কোচ। তাহলে কী চাওয়া সিমন্সের? বাংলাদেশ কোচ বললেন, ‘আমি চাই সে যেন খেলাটা উপভোগ করে। ওই ইনিংস যেমন সে আনন্দ নিয়ে খেলেছিল, এবারও যেন সেটাই করে, তা-ই চাই। মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবে।’
সম্প্রতি ওয়ানডে অধিনায়কত্বে হঠাৎ পরিবর্তন এনে নাজমুল হোসেনের বদলে মিরাজকে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। সিমন্স মনে করেন, টেস্টে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নাজমুলের ওপর পড়বে না, ‘আমি একেবারেই মনে করি না যে এটি ওকে প্রভাবিত করবে। মাঠে নামলে নাজমুল শুধু ক্রিকেট নিয়েই ভাবে, বাইরের বিষয় আমরা দেখি। তাই এটা ওর পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে না।’
বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স