গণসংগীতশিল্পীরা মহান মে দিবসে শ্রমজীবী মানুষের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও কাজের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার গানে গানে দিবসটি পালনের আয়োজন করে বাংলাদেশ গণসংগীত শিল্পী সমন্বয় পরিষদ।

দিবসটি উপলক্ষে বিকেল পাঁচটায় শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত নন্দন মঞ্চে আলোচনা ও গণসংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শিল্পী কাজী মিজানুর রহমান। আলোচনা করেন সহসভাপতি শিল্পী ফকির সিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী। মে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনায় বক্তারা জীবন ধারণের জন্য শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিতের দাবি জানান।

পরে ছিল ‘ওরা কাজ করে, নগরে বন্দরে’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দলীয় ও একক শিল্পীদের গণসংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি দিয়ে সাজানো হয়েছিল মেহনতি মানুষের মুক্তির প্রত্যয়দীপ্ত এই অনুষ্ঠান।

সম্মেলক গানে প্রতিটি দল দুটি করে সংগীত পরিবেশন করে।  ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনা ছিল ‘১৮৮৬-এর পয়লা মে’ ও ‘বুক বেঁধে লড়তে হবে’। বহ্নিশিখা পরিবেশন করে ‘ঢেউ উঠেছে কারা টুটেছে’, ‘আরও দূরে যেতে হবে’। সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর গান ছিল ‘হেই নয়া জামানা হেইও’, ‘প্রিয় ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য’। সুরতাল সংগীত একাডেমির পরিবেশনা ছিল, ‘এই পতাকা শ্রমিকের রক্ত পতাকা’, ‘লাঞ্ছিত নিপীড়িত জনতার জয়’। উঠোন পরিবেশন করে ‘এ লড়াই বাঁচার লড়াই, এ লড়াইয়ে জিততে হবে’, ‘দুনিয়ার মজদুর ভাই সব’। সুরনন্দনের পরিবেশনা ছিল ‘জাগো অনশন বন্দী’।

একক শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন কাজী মিজানুর রহমান, আলোক দাশগুপ্ত, সমর বড়ুয়া, প্রলয় সাহা, ফয়জুল বারী, সুরাইয়া পারভীন, আবিদা রহমান ও এস এম মেজবাহ। আবৃত্তি করেন মাসুদুজ্জামান, সৈয়দ ফয়সাল, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী ও মাহফুজা আক্তার।

অনিক বসুর পরিচালনায় স্পন্দনের শিল্পীরা ‘হেই সামালো ধান হো, কাস্তেটা দাও  শান হো’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন গণস গ ত

এছাড়াও পড়ুন:

নর্ডিক স্কলারশিপে সম্পূর্ণ অর্থায়নে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির সুযোগ

উত্তর ইউরোপের দেশগুলোর আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণার সুযোগ নিয়ে এসেছে নর্ডিক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ২০২৬। এই প্রোগ্রাম ঘোষণা করেছে সুইডেনের নর্ডিক আফ্রিকা ইনস্টিটিউট (NAI)। সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক বিষয়ে যাঁরা আফ্রিকান স্টাডিজ বা সমসাময়িক আফ্রিকা নিয়ে গবেষণা করছেন, তাঁদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি উন্মুক্ত।

এই বৃত্তির মাধ্যমে সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত মাস্টার্স, পিএইচডি ও পোস্টডক্টরাল গবেষকেরা এক মাসের জন্য নর্ডিক আফ্রিকা ইনস্টিটিউটে গবেষণার সুযোগ পাবেন। এই প্রোগ্রাম আবেদনকারীর নাগরিকত্বের ওপর নির্ভরশীল নয়। মূল লক্ষ্য হলো, আফ্রিকা–বিষয়ক গবেষণায় নর্ডিক অঞ্চলে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং নর্ডিক গবেষকদের মধ্যে সহযোগিতার নেটওয়ার্ক তৈরি করা।

নর্ডিক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ২০২৬–এর শেষ তারিখ আগামী ১২ অক্টোবর ২০২৫।

সম্পর্কিত নিবন্ধ