পৃথিবী থেকে চাঁদের অন্য পাশ দেখা যায় না কেন
Published: 2nd, May 2025 GMT
রাতের আকাশে বিশাল গোলাকার চাঁদ নিয়ে আমাদের অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। মজার বিষয় হচ্ছে, আমরা হাজার বছর ধরে শুধু চাঁদের এক পাশের ছবি দেখে আসছি। আর তাই অনেকেরই মনে প্রশ্ন, পৃথিবী থেকে চাঁদের পেছনে থাকা অন্য অংশ দেখা যায় না কেন। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, চাঁদ তার নিজ অক্ষের চারপাশে একবার ঘুরতে প্রায় ২৭ দশমিক ৩ দিন সময় নেয়। একই সময়ে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতেও চাঁদের প্রায় একই সময় প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ দুটি ঘূর্ণনের সময়কাল প্রায় মিলে যাওয়ার কারণেই পৃথিবী থেকে চাঁদের শুধু এক পাশের ছবি দেখা যায়।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, কোটি কোটি বছর আগে চাঁদের বয়স যখন কম ছিল, তখন এটি দ্রুতগতিতে নিজের অক্ষের চারপাশে ঘুরত। পৃথিবী তখন শক্তিশালী মহাকর্ষীয় টানের মাধ্যমে চাঁদের ওপর জোয়ার-ভাটার প্রভাব সৃষ্টি করত। পৃথিবীর মহাকর্ষণ শক্তি চাঁদের কঠিন অংশে তেমন প্রভাব ফেলতে না পারলেও তরল ম্যাগমা বা আংশিক গলিত অংশে প্রবল আলোড়ন তৈরি করত। এই জোয়ার-ভাটার ঘর্ষণের ফলে চাঁদের ঘূর্ণনের গতি ধীরে ধীরে কমতে থাকে। পরে চাঁদের ঘূর্ণনের গতি কমে প্রদক্ষিণ গতির সঙ্গে মিলে যায়। এ কারণেই চাঁদের এক পাশ সব সময় পৃথিবীর দিকে মুখ করে থাকে। আর তাই বলা যায়, চাঁদের অন্য পাশ চিরদিনই আমাদের দৃষ্টির আড়ালে থেকে যাবে।
আরও পড়ুনচাঁদ আসলে কী২৮ ডিসেম্বর ২০২৪১৯৬০ সালে লুনা–৩ মহাকাশযান প্রথম পৃথিবীর বিপরীত দিকে থাকা চাঁদের ছবি তুলতে সক্ষম হয়। স্থানটি চাঁদের অন্ধকার দিক নামে পরিচিত। ছবিতে দেখা যায়, সেখানে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত ও উঁচু পর্বতমালা রয়েছে। পৃথিবী থেকে পাঠানো কোনো তরঙ্গ চাঁদের সেই অংশে পৌঁছাতে পারে না।
আরও পড়ুন চাঁদে কি সত্যিই মানুষের পা পড়েছে২০ জুন ২০২৪পৃথিবী থেকে চাঁদের যে অংশ দেখা যায়, সেখানে মারিয়া নামের বৃহৎ ও অন্ধকার সমভূমির প্রাধান্য রয়েছে, যা প্রাচীন আগ্নেয়গিরির মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। এই সমভূমি নিকটবর্তী অংশের পৃষ্ঠের প্রায় ৩১ শতাংশজুড়ে বিস্তৃত ও ব্যাসাল্টিক উপাদানে সমৃদ্ধ। অন্যদিকে পেছনের অংশে প্রচুর পরিমাণে গর্ত রয়েছে।
সূত্র: সিএনএন ও স্পেস ডটকম
আরও পড়ুনপৃথিবীর আকাশে দেখা যাবে দ্বিতীয় চাঁদ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র অন
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদি আরবের কাছে ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
সৌদি আরবের কাছে ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরের আগে শুক্রবার এ অনুমোদন দেওয়া হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি তারা কংগ্রেসকে জানিয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে থাকবে মধ্যপাল্লার ১ হাজার ‘এআইএম–১২০’ ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশে থাকা লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার জন্য কোনো আকাশযান থেকে (এয়ার টু এয়ার) এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া যায়।
আগামী ১৩ থেকে ১৬ মে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে সম্প্রতি প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে ইতালির রাজধানী রোমে সংক্ষিপ্ত সফর করেছিলেন তিনি। এটিই ছিল দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম বিদেশ সফর।
তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবের সঙ্গে বড় ধরনের বাণিজ্যচুক্তি করার কথা আগে থেকেই বলে আসছিলেন ট্রাম্প। এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে মস্কো ও কিয়েভের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করছে রিয়াদ।