তিন দিন আগেই ফেডারেশন কাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরেছে আবাহনী লিমিটেড। অনেক আশা নিয়েও ফেডারেশন কাপ ঘরে তুলতে পারেনি তারা। নানা সংকটে থাকলেও ফেডারেশন কাপের শিরোপা ধরে রেখে কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে কিংস। তারই ধারাবাহিকতায় আজ গুরুত্বপূর্ণ লিগ লড়াইয়ে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে কিংস।

তবে ম্যাচের শেষটা সুখকর ছিল না। একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে মাঠে। আবাহনীর অভিযোগ, তাদের খেলোয়াড় ডিফেন্ডার শহীন আহমেদকে মেরেছেন কিংসের দুই খেলোয়াড় সাদ উদ্দিন ও সোহেল রানা। শাহীনও পাল্টা মারধরে অংশ নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রেফারি ভুবন মোহন তরফদার একসঙ্গে তিনজনকেই লাল কার্ড দেখান।

কিংসের সিনিয়র সোহেল রানা ও সাদ উদ্দিনের সঙ্গে রেফারি লাল কার্ড দেখান আবাহনীর শাহীনকেও। ম্যাচ শেষ হতে তখন মিনিটখানেক বাকি। কিংস ৯ জনের দল, আবাহনী ১০ জনের।

শেষ বাঁশির পর দুই পক্ষে লেগে যায় তুমুল গোলমাল। আবাহনীর অভিযোগ, কিংস তাদের ঘরের মাঠে গায়ের জোর দেখাচ্ছে।  কিংস শিবির থেকে দুটি ছেলে আবাহনীর খেলোয়াড়দের সঙ্গে মারামারিতে জড়ান। ওই দুজনের অবশ্য দাবি, তাঁদের কর্মকর্তাকে গালি দিয়েছে আবাহনী। এ নিয়েই দুই পক্ষ অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে। আবাহনীর দু–একজন সমর্থক চেয়ার ছুড়ে মারেন গ্যালারির দিকে। অবস্থা বেগতিক দেখে আবাহনীর খেলোয়াড়দের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। আবাহনীর সহকারী ম্যানেজার নজরুল ইসলাম ও কিংসের সহকারী কোচ মাহবুব হোসেন রক্সিকে বেশ উত্তেজিত দেখা যায় এই সময়।

গোলমালের এই ম্যাচ জিতে কিংসের যতটা লাভ হয়েছে, তার চেয়ে বেশি লাভ হয়েছে মোহামেডানের। ১৩ ম্যাচ শেষে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর চেয়ে ৭ পয়েন্ট এগিয়ে গেছে মোহামডান। হাতে আছে পাঁচটি ম্যাচ। বড় কোনো অঘটন না হলে এবারের প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা এখন উজ্জ্বল।

কিংসের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা কাগজে–কলমে হয়তো আছে। তবে বাস্তবে আসলে নেই। কারণ, শীর্ষে থাকা মোহামেডানের চেয়ে তারা এখনো ১১ পয়েন্ট পেছনে আছে। আজ আবাহনীকে হারিয়ে কিংসের পয়েন্ট হলো ১৩ ম্যাচ ২৪, সমান ম্যাচে আবাহনীর ২৭, মোহামেডানের ৩৪।

নিজেদের মাঠে কিংস আজ জিতেছে সুযোগ কাজে লাগিয়ে। ১৬ মিনিটে বক্সের একটু ভেতর থেকে দারুণ শটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম করেন ১-০। ৫০ মিনিটে ফাহিমের প্লেসিং গোলকিপার মিতুল মারমার উচিত ছিল আটকানো; কিন্তু তিনি বলে হাত লাগালেও বলটা আটকাতে পারেননি। মিতুল তাঁর সেরা ছন্দে ছিলেন না আজ। ফলে আবাহনীকে হার নিয়েই ছাড়তে হয়েছে মাঠ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা চেয়ারম্যানের

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সংস্থাটির সবাইকে একত্রিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ অনুরোধ জানান।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনের মাল্টিপারপাস হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএসইসির কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, দেশের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতিসহ জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় এই সংস্থার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পরিপূর্ণ দায়িত্বশীল হয়ে ও শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সভায় কর্মকর্তাদের দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, সবাই একসঙ্গে কাজ করলে বিএসইসির কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।

বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা আগের সব ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি কমিশনের বিভিন্ন সমস্যার সুরাহা করার বিষয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আশ্বাস দেন তাঁরা।

বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কমিশনের সঙ্গে পূর্ণ উদ্যম ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাকসু নির্বাচনের আগে বিচার চান শিক্ষার্থীরা
  • সন্তানদের টানে বিচ্ছেদ থেকে বন্ধন, আদালত চত্বরে আবার বিয়ে
  • ভারত-পাকিস্তানকে একসঙ্গে কাজ করতে বললো যুক্তরাষ্ট্র
  • ‘আগে সাকিব ভাই করতেন, এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি’
  • বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা চেয়ারম্যানের
  • নোবিপ্রবির পুকুরে ছাত্র-ছাত্রীদের গোসলের ছবি ভাইরাল, ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন