অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন মধ্যবামপন্থি লেবার নেতা প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। তবে আলবানিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা কতটুকু আছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ভোট গণনার ভিত্তিতে আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম। খবর বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্সের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্থির কূটনৈতিক নীতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকা অস্ট্রেলীয় ভোটারদের মধ্যে পরিবর্তনের প্রতি আগ্রহে ভাটা পড়েছে।

এদিকে নিজের পরাজয় মেনে নিয়েছেন কনজারভেটিভ লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশনের নেতা পিটার ডাটন। তিনি বলেন, ‘আমাদের লিবারেল পরিবার আজ রাতে সারাদেশে খুব কষ্টে আছে। এর মধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকা ডিকসনও রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের এই পরাজয়ই নির্ধারণ করবে না আমারা কে? এটি আমাদের আসল গল্প নয়।’ 

অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ। এর মধ্যে রেকর্ড ৮০ লাখ ভোটার আগেই ভোট দিয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদের ১৫০টি আসনের সবকটিতেই এবং সিনেটের ৭৬টির মধ্যে ৪০টি আসনে আজ নির্বাচন হয়। কোনো দলের সরকার গঠনের জন্য প্রতিনিধি পরিষদের অন্তত ৭৬টি আসন পেতে হবে।

নির্বাচনে দুই বড় দলই জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া-সংক্রান্ত চাপের বিষয়টিকে তাদের প্রচারের কেন্দ্রে ছিল। তবে জনমত জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে বিশ্বজুড়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, সেটি দ্রুত অস্ট্রেলিয়ার ভোটারদের কাছে নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান ইস্যু হয়ে ওঠে।

অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা মিত্র। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যে ঘাটতি থাকে। এরপরও অস্ট্রেলিয়াকে ট্রাম্পের শুল্কনীতি থেকে রেহাই দেওয়া হয়নি। অস্ট্রেলীয় পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল শুক্রবার দ্য অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত জনমত জরিপ অনুযায়ী, লেবার পার্টি ৫২ দশমিক ৫ শতাংশ ও লিবারেল ন্যাশনাল জোট ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পাবে।

রাজনৈতিক কৌশলবিদেরা আগেই বলেছিলেন, ট্রাম্প এ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রভাব ফেলবেন না। আলবানিজ দৃঢ়ভাবে প্রচার চালিয়েছেন। ডাটন ভুল করেছেন। তার ভুলগুলোর একটি ছিল, সরকারি কর্মীদের বাসায় থেকে কাজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব।

লেবার পার্টিকে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হতে পারে বলে কয়েকটি জনমত জরিপে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। জনমত বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান রয় মর্গান বলেছে, ২০০৭ সাল থেকে স্বতন্ত্র ও ছোট দলের ভোট দ্বিগুণ হয়েছে এবং প্রতিটি নির্বাচনে তা বাড়ছে।

২০২২ সালের নির্বাচনে প্রাথমিক ভোটের ভাগ প্রায় সমান ছিল। লেবার পেয়েছিল ৩২ দশমিক ৬ শতাংশ, লিবারেল-ন্যাশনাল জোট ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ ও অন্যরা ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আলব ন জ দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

তিন পারমাণবিক স্থাপনায় তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছিল না: ইরান

ইরানের যে তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র হামলার কথা বলছে, সেখানে এমন কোনো পদার্থ নেই যা তেজস্ক্রিয়তা সৃষ্টি করে। খবর আল-জাজিরার।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা।

ওই কর্মকর্তার মন্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ইরানি কর্তৃপক্ষ বোমা হামলার আগেই হয়তো ওই স্থাপনাগুলো থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বা তেজস্ক্রিয় উপাদান সরিয়ে ফেলেছিল।

এদিকে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) জানিয়েছে, সামরিক ও নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশজুড়ে জনসাধারণের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ আরও কঠোর করা হয়েছে।

এটি ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে নেওয়া পদক্ষেপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ