রিশাদ ফিরলেন রিশাদের মতো, গড়লেন রেকর্ডও, তবে জেতেনি লাহোর
Published: 5th, May 2025 GMT
প্রথম চার ম্যাচ ৮ উইকেট নিয়েও লাহোর কালান্দার্সের একাদশ থেকে ছিটকে পড়েছিলেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের লেগ স্পিনার এরপর টানা তিনটি ম্যাচ দেখেছেন বেঞ্চে বসে। সেই রিশাদ অবশেষে রোববার আবার একাদশে সুযোগ পেলেন। তবে সুযোগ পেয়েই দারুণ বোলিং করেও অবশ্য দলকে জেতাতে পারেননি।
লাহোরে করাচি কিংসের বিপক্ষে ৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। যারা খেলা দেখেননি এই বোলিং বিশ্লেষণ দেখে ভুল বুঝতে পারেন। বৃষ্টিতে ১৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে লাহোরের বেশির ভাগ বোলার মার খেয়েছেন আরও বেশি। ১৬৮ রানের লক্ষ্য করাচি ছুঁয়ে ফেলে ৩ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে।
রিশাদের দল ১৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬০ রান তোলার পর নামে বৃষ্টি। রিশাদ তখন ১ বলে শূন্য রানে অপরাজিত। লাহোরের ইনিংস শেষ সেখানেই। বৃষ্টি থামার পর আবার যখন খেলা শুরু হলো করাচির লক্ষ্য ১৬৮ রান।
এমন ম্যাচে যেভাবে শুরু করা দরকার ডেভিড ওয়ার্নার ও টিম সাইফার্ট তেমন শুরুই এনে দেন করাচিকে। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ওয়ার্নার (১৩ বলে ২৪) যখন ফেরেন করাচির রান ৪০। ১০ বলে ২৪ করা সাইফার্ট ফেরেন ৪.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”
তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী