টাঙ্গাইলে প্রাইভেটকারে গুলি করে ৭৮ লাখ টাকা ডাকাতির মূলহোতা সাগর বাড়ইকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

সোমবার (৫ মে) সকালে ঢাকার খিলগাঁও এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মোট তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। 

সাগর বারুইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো.

মিজানুর রহমান জানান, গত ২২ মার্চ সন্ধ্যায় ডাকাতরা মির্জাপুরের বাঁশতৈল পাঁচগাঁওয়ে ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে ফাঁকা গুলি করে ৭৮ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ২৩ মার্চ রাতে মির্জাপুর থানায় মামলা করা হয়। পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও মির্জাপুর থানা পুলিশের একাধিক টিম ডাকাতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। 

১১ এপ্রিল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকা হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের চালক বরিশালের দুধল মৌ গ্রামের  মো. আজিউদ্দিনের ছেলে মো. মিলন (৪৬) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ডাকাতির ১২ হাজার টাকা ও মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠালে বিচারক তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মিলনকে ১৬ এপ্রিল আদালতে পাঠালে নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবাবন্দি দেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, পরবর্তীতে ১৮ এপ্রিল ডাকাতির ঘটনায় সেকেন্ড ইন কমান্ড রাজবাড়ী সদরের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন মামুন (৫০) ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠালে বিচারক ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তার দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে বুধবার রাতে মির্জাপুরের বেলতৈল এলাকা হতে ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে মামুনের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় পুলিশ বাদি হয়ে অস্ত্র মামলা দায়ের করেন।

তিনি জানান, ডাকাতদের কাছ থেকে ম্যাগজিনসহ ১৭টি গুলি ও একটি বিদেশি পিস্তল, নগদ ৩ লাখ ১২ হাজার টাকা, ৩টি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/কাওছার/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটে ক্লাস শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা

প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রোববার ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। কিন্তু ক্লাসে না ফেরার সিদ্ধান্তে অনঢ় রয়েছে শিক্ষক সমিতি। লাঞ্ছিতকারীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। এ অবস্থায় কবে নাগাদ ক্লাস শুরু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।

কুয়েট প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এখন নতুন করে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৮ এপ্রিল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় শিক্ষকদের লাঞ্ছিতকারীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।
  
কুয়েট শিক্ষকরা জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সংঘর্ষে কুয়েটের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। ওই দিন বিকেল থেকে পরদিন বিকেল পর্যন্ত কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারে বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অবরুদ্ধ করে রাখে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী। তারা বিদায়ী উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষককে মারধর, লাঞ্ছিত ও গালাগাল করে। পরবর্তীতে গত ২ মাসে আন্দোলন চলাকালে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী শিক্ষকদের নিয়ে কটূক্তি করে। এ নিয়ে শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ।

কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন জানান, গত ১৮ এপ্রিল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় অধ্যাপক ড. আবদুল্লা আল ফারুককে সভাপতি করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে শিক্ষকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ও তাদেরকে নিয়ে সাইবার বুলিংয়ের প্রতিটি ঘটনার তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দোষীদের বিচারের জন্য তা প্রশাসনের কাছে উপস্থাপন করা হবে।

এ ব্যাপারে কুয়েটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ভুল-ত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের দপ্তর ও ১৬টি বিভাগের প্রধানের দপ্তরে লিখিত চিঠি দিয়েছি। আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে বিদ্বেষমূলক কোনো আচরণে যেতে চাই না। রোববার আবারও শিক্ষকদের কাছে গিয়ে আমরা ক্ষমা চাইবো।

তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন ছিল কুয়েটের উপাচার্যের বিরুদ্ধে, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আমরা কোনো আন্দোলন করিনি। ইতোমধ্যে ২ মাসেরও বেশি সময় ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি। আমরা চাই দ্রুত ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক।
 
তবে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে একাধিকবার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

কুয়েটের রেজিস্ট্রার মো. আনিসুর রহমান ভুঞাকেও একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, উপাচার্য শুক্রবার ও শনিবার বিভিন্ন বিভাগের ডিনদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। কিন্তু শিক্ষকরা ক্লাসে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। রোববার আবারও তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বরিশালে আদালত কর্মচারীদের ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি
  • দ্বিতীয় দিনেও ক্লাসে যাননি কুয়েটের শিক্ষকরা, আজ বৈঠক
  • আমরা এটা সহ্য করব না, কঠোর প্রতিশোধ নেব: নেতানিয়াহু
  • সেল্টাকে হারিয়ে শিরোপা দৌড়ে বার্সাকে চাপে রাখলো রিয়াল
  • শ্রদ্ধার আকাশচুম্বী পারিশ্রমিক
  • শিক্ষক সমিতির আন্দোলন: কুয়েটের অচলাবস্থা নিরসন নিয়ে অনিশ্চয়তা
  • বাবা-মা হতে যাচ্ছেন নাগা-শোভিতা?
  • গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নেতানিয়াহুর ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান কাতারের
  • কুয়েটে ক্লাস শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা