রিয়ালের সঙ্গে সমঝোতা, ব্রাজিলের দায়িত্ব নিচ্ছেন আনচেলত্তি?
Published: 6th, May 2025 GMT
রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ছেন কার্লো আনচেলত্তি—এই গুঞ্জন বেশ কিছুদিন ধরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে ইউরোপীয় গণমাধ্যমে। বলা হচ্ছিল, তার পরবর্তী গন্তব্য হতে যাচ্ছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল জাতীয় দল। তবে রিয়ালের সঙ্গে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি থাকায় আনচেলত্তির রিয়াল ছাড়ার পথটা সহজ ছিল না। বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ ও চুক্তি সংক্রান্ত জটিলতা এই পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
তবে সেই জটিলতায় এবার নতুন মোড়। প্রভাবশালী ক্রীড়া মাধ্যম দ্য অ্যাথলেটিক জানিয়েছে, আনচেলত্তি ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যকার আলোচনায় সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত। এতে করে চলতি মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ছাড়তে যাচ্ছেন এই ইতালিয়ান কোচ। ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সঙ্গে আলোচনায় চুক্তি শেষ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রিয়ালের সঙ্গে নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন আনচেলত্তি, যার মেয়াদ ছিল ২০২৬ পর্যন্ত। আগেভাগে তাকে ছেড়ে দিতে হলে এক বছরের বেতন পরিশোধের বাধ্যবাধকতা ছিল ক্লাবটির ওপর। ধারণা করা হচ্ছে, পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সেই শর্ত কিছুটা নমনীয় করা হয়েছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী রোববার বার্সেলোনার বিপক্ষে 'এল ক্লাসিকো' ম্যাচের পর আনচেলত্তির বিদায়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। ফলে ক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর আগেই শেষ হতে যাচ্ছে তার দ্বিতীয় মেয়াদের রিয়াল অধ্যায়।
এদিকে আনচেলত্তির রিয়াল ছাড়ার পথ খুলে যাওয়ায় তার ব্রাজিল যাওয়ার গুঞ্জনও জোরালো হয়েছে। দ্য অ্যাথলেটিক জানিয়েছে, ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)-এর সঙ্গে ইতোমধ্যে আনচেলত্তির আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে এবং সবকিছু ঠিক থাকলে তিনিই হবেন নেইমার-ভিনিসিয়ুসদের পরবর্তী কোচ।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার কাছে ঘরের মাঠে হার ও নাজুক পারফরম্যান্সের দায়ে সম্প্রতি কোচ দরিভাল জুনিয়রকে বরখাস্ত করে ব্রাজিল। সেই থেকে তারা নতুন কোচ খুঁজছিল। সিবিএফের প্রথম পছন্দ ছিলেন আনচেলত্তিই। এবার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে।
এদিকে রিয়ালের পরবর্তী কোচ হিসেবে জোর আলোচনায় আছেন ক্লাবটির সাবেক মিডফিল্ডার ও বর্তমানে বায়ার লেভারকুসেনের কোচ জাভি আলোনসো। ক্লাব বিশ্বকাপে তিনিই রিয়ালের ডাগআউটে দাঁড়াতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জার্মানিতে বসবাসরত শাবিপ্রবি’র সাবেক শিক্ষার্থীদের পুর্নিমিলনী অনুষ্ঠিত
পুরানো সেই দিনের কথা, ভুলবি কিরে হায়, ও সেই চোখের দেখা প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায় পুরনো দিনের কথা না ভোলা যায়, না ফিরে পাওয়া যায়। স্মৃতিকাতর মানুষ তবুও বারে বারে ফিরে যেতে চায় তাঁর সোনালী অতীতে, ফিরে পেতে চায় কাছের মানুষগুলোকে।
এ আকুলতা আরো তীব্র হয়ে ওঠে যখন মাতৃভূমি হাতের নাগাল থেকে ৮০০০ কিলোমিটার দূরে থাকে। তাই তো জার্মানিতে বসবাস করা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক শিক্ষার্থীরা সুযোগ পেলেই একে অন্যের সাথে পুর্নিমিলিত হওয়ার আকুলতা প্রকাশ করেন।
এ চাওয়াকে সামনে রেখে গত ২রা আগস্ট জার্মানির মিউনিখ শহরে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো জার্মানিতে বসবাসরত শাবিপ্রবি’র সাবেক শিক্ষার্থীদের পুর্নিমিলনী। বেলা দুটোর দিকে দুপুরের খাবারের পরপরই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে জার্মানির বিভিন্ন প্রান্ত হতে ছুটে আসা শাবিপ্রবির অ্যালামনাইদের অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানোর মাধ্যমে শুরু হয় মূল পুর্নিমিলনী।
এ পর্বে মঞ্চে বক্তৃতা রাখেন সংগঠনের বর্তমান কার্যকরী সভাপতি মামুন রশীদ, এবারের পুর্নিমিলনী অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সভাপতি মোঃ মাহাদী হাসান, এবং গতবারের পুর্নিমিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির সভাপতি গোলাম হাফিজ খান।
শুরুতেই শাবিপ্রবি ও এর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এক কিলো’র স্মৃতিচারণের মাধ্যমে শাবিপ্রবি’র সাবেক শিক্ষার্থীরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। শাবিপ্রবিতে কাটানো তাদের সোনালী সে অতীত ফিরে পেতে চাওয়ার ব্যাকুলতার পাশাপাশি উঠে আসে নানা চমকপ্রদ ঘটনাও যা হাসি-কান্নার রোল বইয়ে দেয় অংশগ্রহনকারীদের মাঝে।
এ পর্বের পর ডঃ নিধু লাল বণিক শাবিপ্রবি অ্যালামনাই সমিতির জন্য প্রস্তুত করা নতুন ওয়েবসাইট এবং সংবিধান উপস্থাপন করেন। এ উপলক্ষে তিনি এ দুটি প্রোজেক্টের মাধ্যমে শাবিপ্রবি অ্যালামনাইদের সুসংগঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সংক্ষিপ্ত চা বিরতির পর অনুষ্ঠান পুনরায় শুরু হয়। শুরুতেই অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নতুন অ্যাডভাইজারি ও এক্সিকিউটিভ কমিটির ঘোষণা দেন ডঃ নিধু লাল বণিক।
১১ সদস্যের অ্যাডভাইজারি কমিটিতে নবীন প্রবীনের সম্মীলন ঘটে। আর এক্সিকিউটিভ কমিটির জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল ভোটে পরবর্তী দু বছরের জন্য নাদেরা সুলতানা তানি প্রেসিডেন্ট এবং আদনান আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
নতুন কমিটির সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বরণ করে নেন পুরাতন কমিটির সদস্যগণ। এরপরপরই শুরু হয়ে যায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গেমস। এতে বড়দের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করে শাবিপ্রবি অ্যালামনাইদের শিশুসন্তানেরা।
সকলের উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণে মুহুর্তেই অনুষ্ঠানস্থল আনন্দের এক মহামিলনে রূপান্তরিত হয়। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে সমবেত অতিথিদের মধ্য থেকে দৈবচয়নের মাধ্যমে কিছু অতিথিদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নির্ধারিত কিছু করে দেখাতে।
অতিথিদের পারফরম্যান্স সকলকে নির্মল বিনোদন দেয় যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে দর্শকের ভোটে দুজন অতিথিকে তাদের পারফরম্যান্সের জন্য পুরষ্কৃত করা হয়।
সবশেষে সবাইকে নিয়ে সম্মিলিত গান পরিবেশনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্ব শেষ হয়।
এরপর পরবর্তীপুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ভেন্যু হিসেবে এসেনকে নির্বাচন করা হয় এবং সবাইকে ধন্যবাদ
জ্ঞাপন করে এই বছরের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
২০২৭ এ আবার মিলিত হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে সকল অংশগ্রহণকারী নিজ নিজ ঠিকানায় ফিরে যান।