Risingbd:
2025-10-23@09:56:16 GMT

বিএনপি ছেড়ে যোগ দিলেন আ.লীগে!

Published: 23rd, October 2025 GMT

বিএনপি ছেড়ে যোগ দিলেন আ.লীগে!

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের মধ্যে অবাক কাণ্ড ঘটালেন কিশোরগঞ্জের বিএনপির এক নেতা। নিজ দল থেকে পদত্যাগ করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

দল পাল্টানো এই নেতার নাম অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন। গত ৫ অক্টোবর তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ বিষয়টি ফেসবুকে প্রচার করলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। 

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনার ওপর হামলা: সাবেক এমপি হাবিবসহ ৪৪ আসামি খালাস

পিআরের দোহাই দিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে: আমান

বিষয়টি নিজেই স্বীকার করেছেন ফয়জুল করিম মুবিন। গতকাল বিকেলে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন।

এলাকাবাসী জানান, কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী (১৯৭৮-১৯৮২) ডা.

ফজলুর করিমের ছেলে ফয়জুল করিম মুবিন। দীর্ঘদিন তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি জেলা বিএনপির উপ-দপ্তর সম্পাদক, পৌর বিএনপির সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির সম্মেলনে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটির কাজ শুরু হয়। এরপর একদিন ফেসবুকে পোস্ট করে  বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন ফয়জুল করিম মুবিন।

গতকাল বুধবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফয়জুল করিম মুবিনের আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার বিষয়টি ফেসবুকে প্রচার করতে শুরু করেন। পরে ‘ফয়জুল করিম মুবিন’ নামে ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে ২ মিনিট ১২ সেকেন্ড কথা বলেন ফয়জুল করিম মুবিন।

ওই পেজের প্রোফাইল পিকচারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লেখাসহ দলীয় পতাকা দেওয়া আছে।  পেজের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনার ছবিসহ রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। জানা গেছে, নিজের নামে এই ফেসবুক পেজটি অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন নিজেই পরিচালনা করেন।

লাইভে ফয়জুল করিম মুবিন বলেন, “শেখ হাসিনা যেহেতু বলেছেন, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন। আমি রাজনীতি করেছি দেশের জন্য, দলের জন্য নয়। এখন মনে করছি, দেশের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার প্রয়োজন।”

এর আগে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) তিনি আরেকটি লাইভে এসে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার পক্ষে আমি অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন, কিশোরগঞ্জ থেকে ইংরেজি ২১ অক্টোবর অসাংবিধানিক সরকার কর্তৃক জুলাই সনদের তীব্র বিরোধিতা করছি।”

আওয়ামী লীগ কেন যোগ দিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল, ধর্মনিরপেক্ষ দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব। ৫ আগস্টের পর মানুষের যে স্বপ্ন ছিল, চেতনা ছিল, এক বছর পেরিয়ে গেছে। রাষ্ট্র সংস্কারের নামে সম্পদ ভোগ করার চেষ্টা চলছে।
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা চলছে। এজন্যই আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি।”  

কী পদ্ধতিতে বা কার মাধ্যমে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন এ প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি দেননি

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, “বিএনপিতে এখন ফয়জুল করিম মুবিনের কোনো পদ নেই। এছাড়া তার মাথা বা মতামতের কোনো ঠিক নেই। কাজেই তার আওয়ামী লীগে যোগদানেরও কোনো গুরুত্ব নেই।”

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ক শ রগঞ জ ব এনপ র ফ সব ক আওয় ম ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে সোনার দাম কীভাবে ঠিক হয়, কেন ভারত ও দুবাইয়ের চেয়ে দাম বেশি

সোনার ভরি এখন দুই লাখ টাকা ছাড়িয়ে সোয়া দুই লাখের পথে। বাজারে সোনার দর এই পর্যায়ে যেতে পারে, তা ছয় মাস আগেও কেউ কল্পনা করেনি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সোনা এখন অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় দামি ধাতু। ফলে এক রতি সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৬৪ টাকা।

সোনা দামি থেকে অতি দামি হয়ে উঠলেও বাংলাদেশে ধাতুটির দর নির্ধারণের প্রক্রিয়া পুরোপুরি স্বচ্ছ নয়। এ জন্য দেশে বৈধভাবে সোনা আমদানির সুযোগ না থাকাকে বড় কারণ মনে করছেন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা।

দুবাই জুয়েলারি গ্রুপ নামে জুয়েলার্স সমিতির ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গত বুধবার ভ্যাট ও মজুরি ছাড়া ২২ ক্যারেট মানের সোনার ভরির দাম ছিল ৫ হাজার ২৬৯ দিরহাম, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ২৫৪ টাকা। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া দর বলছে, দেশটিতে গতকাল বুধবার সোনার গয়নার প্রতি ভরির দাম ছিল ১ লাখ ৪১ হাজার ৫৩ রুপি। অর্থাৎ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৩ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, গতকাল দেশের বাজারে ভ্যাট ও মজুরি ছাড়া ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা। তাতে দেখা যাচ্ছে, দুবাইয়ের তুলনায় দেশে এক ভরি সোনার দাম ৪২ হাজার ১২৮ টাকা বেশি। আর ভারতের তুলনায় দাম বেশি ২১ হাজার ৭ টাকা। অবশ্য বৈশ্বিক বাজারে সোনার দাম কমে যাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমছে। তাতে ২২ ক্যারেটের সোনার ভরি দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লাখ ৯ হাজার টাকা।

বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে সোনা আমদানি হয় না বললেই চলে। সোনা আসে বিদেশফেরত যাত্রীদের হাত ধরে। ‘যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬’ অনুযায়ী, একজন যাত্রী বিদেশ থেকে আসার সময় ভরিপ্রতি ৫ হাজার টাকা শুল্ক দিয়ে ১০ ভরির মতো (১১৭ গ্রাম) সোনা আনতে পারেন। ভরিপ্রতি ৫ হাজার টাকা শুল্ক আমলে নেওয়ার পরও দেখা যায়, বাংলাদেশে সোনার দাম বেশি। যদিও দেশে অবশ্য অবৈধ পথেই বেশির ভাগ সোনা আসে বলে সন্দেহ করা হয়। এ ছাড়া চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ হয় পুরোনো সোনা দিয়ে।

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে সোনার দাম নির্ধারণ করে আসছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বা বাজুস। বৈশ্বিক বাজারে দাম বাড়লে বা কমলে সমিতির নেতারা তার ভিত্তিতে দর সমন্বয় করেন। তবে দাম বাড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনা বা পিওর গোল্ডের দাম বেড়েছে। তাই সমিতির সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যরা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দাম কমলেও একই কথা বলা হয়।

কীভাবে দাম নির্ধারণ হয়

জুয়েলার্স সমিতির নেতারা সোনার দাম নির্ধারণ করলেও এ ক্ষেত্রে ভিত্তি ধরা হয় পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারকেন্দ্রিক পাইকারি বাজারের সোনার দাম। এই দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ পোদ্দার সমিতি, যা মূলত ব্যবসায়ী পর্যায়ে কেনাবেচা হয়ে থাকে।

একাধিক জুয়েলার্স ব্যবসায়ী জানান, পোদ্দার সমিতি প্রতিদিন বেলা তিনটার দিকে সোনার (পিওর গোল্ড) দাম নির্ধারণ করে। এ ক্ষেত্রে বাজারে ব্যাগজ রুলসে আসা সোনা ও সারা দেশ থেকে আসা পুরোনো অলংকারের সোনার সরবরাহের পরিমাণ বিবেচনায় নেওয়া হয়। একই সঙ্গে কলকাতায় সোনার দাম কত, সেটিও জেনে নেয়। তারপরই সোনার দাম হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোনার দাম সমন্বয় করার জন্য জুয়েলার্স সমিতির একটি কমিটি রয়েছে, যার নাম—বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং। সোনার দাম সমন্বয়ে এই কমিটি প্রথমেই পোদ্দার সমিতির নির্ধারিত পাইকারি সোনার দর বিবেচনায় নেয়। যেমন ১৯ অক্টোবর জুয়েলার্স সমিতি সোনার দাম বাড়িয়েছে। সেদিন পাইকারি বাজারে প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ২ লাখ ২ হাজার টাকা। তার সঙ্গে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের জন্য ৫ হাজার টাকা মুনাফা যুক্ত করে ২১ ক্যারেটের দাম চূড়ান্ত করা হয়। একইভাবে অন্যান্য ক্যারেটের সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়। ক্রেতারা দোকান থেকে অলংকার কিনতে গেলে সোনার দামের সঙ্গে ৫ শতাংশ ভ্যাট ও অলংকার তৈরির মজুরি যোগ হবে।

আগে জুয়েলার্স সমিতির কমিটি পাইকারি বাজারের সোনার (পিওর গোল্ড) দামের ১ দশমিক ২৫ গুণ করে সোনার দর নির্ধারণ করত। সোনার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সেই ব্যবস্থা থেকে সরে এসেছে সমিতি। তার বদলে সোনার দামের বাইরে ভ্যাট ও অলংকার তৈরির মজুরি নেওয়ার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সমিতি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ পোদ্দার সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক বাজারদর, তাঁতীবাজারে সোনার সরবরাহ ও পার্শ্ববর্তী দেশের দাম বিবেচনায় নিয়ে প্রতিদিন দাম নির্ধারণ করে থাকি।’ আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে দাম বেশি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে ব্যাগেজ রুলসে যাঁরা সোনা নিয়ে আসেন, তাঁরা মুনাফা করেন। পাইকারি ব্যবসায়ীদেরও মুনাফার বিষয় আছে। এরপর আবার জুয়েলার্স ব্যবসায়ীদের মুনাফা। এভাবে কয়েক ধাপে দাম কিছুটা বেড়ে যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

দেশে সোনার ব্যবসায় স্বচ্ছতা আনতে ২০১৮ সালে স্বর্ণ নীতিমালা করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তারপর বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯ সালের নভেম্বরে একটি ব্যাংকসহ ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিকভাবে সোনা আমদানির লাইসেন্স দেয়। পরে আরও একটি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পায়। শুরুতে একাধিক প্রতিষ্ঠান কয়েকটি চালানে সোনা আমদানি করেছিল। পরে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, অনুমতি পেতে সময়ক্ষেপণ ও ভ্যাটের কারণে আমদানিতে আগ্রহ হারান ব্যবসায়ীরা।

দাম নির্ধারণ কতটা যৌক্তিক

সোনা বেচাকেনায় বিভিন্ন দেশে ‘কমোডিটি এক্সচেঞ্জ’ চালু থাকলেও বাংলাদেশে নেই। কমোডিটি এক্সচেঞ্জ এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে শেয়ারের মতো পণ্য কেনাবেচা হয়। পণ্য সরাসরি নয়, কাগুজে বা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে কেনাবেচা হয়। আর মূল পণ্য থাকে কোনো গুদামে বা মাঠে। সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর এটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি বা হস্তান্তর হয়।

জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় সোনা কেনাবেচার ব্যবস্থা করলে জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা বৈশ্বিক দরের কাছাকাছি দরে সোনা কিনতে পারবেন। তখন ক্রেতারাও সেই সুবিধা পাবেন।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় যে পদ্ধতিতে সোনার দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে, সেটিকে যৌক্তিক বলতে হবে। কারণ, যতক্ষণ দেশের অভ্যন্তরে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বৈশ্বিক দরে সোনা কেনা যাবে না, ততক্ষণ জুয়েলারি ব্যবসায়ীরাও সেই দামে দিতে পারবেন না। তা ছাড়া আপাতদৃষ্টে সোনার দাম বেশি মনে হলেও ক্রেতারাও কিন্তু যে দামে কিনছেন, সেই দামেই আবার বিক্রি করতে পারছেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, দেশে বার্ষিক সোনার চাহিদা ২০ থেকে ৪০ টন। এর মধ্যে ১০ শতাংশ পুরোনো অলংকার থেকে পূরণ হয়। বাকিটা ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে আসে। অবৈধভাবেও প্রচুর সোনা দেশে আসে।

জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের বাজারে সোনার দামের ওঠানামার সঙ্গে বৈশ্বিক বাজারের সম্পর্ক দুর্বল। ধাতুটির মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ। জুয়েলার্স সমিতি বলে, সোনার দাম নির্ধারণে তারা একটি ফর্মুলা মেনে চলে। তবে সেই ফর্মুলা তারা প্রকাশ করে না। সোনার দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে কার কাছে বেশি মজুত আছে, কতটুকু সোনা বেচাকেনা হয়, আনুষ্ঠানিকভাবে কতটুকু সোনা আসছে, সেগুলো বিবেচনায় নেওয়ার কথা বলা হলেও তা জানা যায় না।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, সোনার মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলকভাবে কাজটি করা হয় না। সে জন্য প্রতিযোগিতা কমিশন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সোনার মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ