আইকনিক পোজে মেট গালায় শাহরুখের অভিষেক
Published: 6th, May 2025 GMT
ছবি: এএফপি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দাসপ্রথা থেকে ফ্যাশন আইকন
আজ ৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে চারটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত হয়ে গেল ফ্যাশনজগতের সবচেয়ে জমকালো আয়োজন মেট গালা। দুনিয়ার সব ফ্যাশনিস্তা অপেক্ষায় থাকেন এই আয়োজনের জন্য। মে মাসের প্রথম সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টে আসর বসে দুনিয়ার সেরা তারকাদের।
মেট গালা অবশ্য যে সে আসর নয়; বরং তারকা থেকে শুরু করে তাঁদের পোশাক, সবকিছু থাকে আতশি কাচের নিচে। আভিজাত্য ও এক্সক্লুসিভিটিই যার মূল লক্ষ্য। কয়েক মাস আগেই জানিয়ে দেওয়া হয় মেট গালার থিম। সব তারকাই নিজের পোশাক তৈরি করেন সেই থিম মেনে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ বছরের মেট গালার থিম ছিল ‘সুপারফাইন: টেইলরিং ব্ল্যাক স্টাইল’।
প্রতিবছর মেট গালার থিম নির্ধারিত হয় সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাম্প্রতিক পটভূমির ওপর ভিত্তি করে। এবার থিম ঠিক করা হয়েছে কৃষ্ণাঙ্গদের ফ্যাশন কেন্দ্র করে। এবারের অতিথিদের জন্য পোশাক কোড ‘টেইলরড ফর ইউ’। দাসপ্রথা–পরবর্তী কৃষ্ণাঙ্গদের ফ্যাশন যেভাবে পুরো আমেরিকায় প্রভাব বিস্তার করেছে, নতুন জোয়ার সৃষ্টি করেছে, তার প্রদর্শনীই হবে এবারের মূল লক্ষ্য।
উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে আব্রাহাম লিংকনের প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিরতরে নিষিদ্ধ হয় দাসপ্রথা। যদিও তার প্রায় ৬০ বছর আগে থেকে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আফ্রিকা থেকে দাস আনা নিষিদ্ধ হয় যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু দাসপ্রথা নিষিদ্ধ হলে কী হবে, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বিরূপ মনোভাব তখনো বেশ ভালোভাবে বিদ্যমান ছিল। নিজেদের অধিকার ফিরে পেলেও সমাজে তখনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি কৃষ্ণাঙ্গরা। ফ্যাশন থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক কার্যক্রম, সমাজের প্রতিটি পদে মুখোমুখি হতে হয়েছে বর্ণবাদের। সমাজের নিচু স্তরে ছিল তাঁদের অবস্থান।
ব্ল্যাক ড্যান্ডিইজম কীফ্যাশন–বিশেষজ্ঞরা উপলব্ধি করেছিলেন, সমাজের এই অচলাবস্থা থেকে বের হতে চাইলে সবার আগে প্রয়োজন অর্থনৈতিক মুক্তি, অতঃপর ফ্যাশনের মুক্তি। কথায় আছে, প্রথমে দর্শনদারি এরপর গুণবিচারি। ফ্যাশনের দিক থেকে যদি শ্বেতাঙ্গদের টেক্কা দেওয়া সম্ভব হয়, তবেই সমাজে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করা সম্ভব।
'ব্ল্যাক ড্যান্ডিইজম' মুভমেন্টের সূচনালগ্ন ছিল চার্চ। ছবি: ইন্সটাগ্রাম