ফ্রেন্স লিগ ওয়ানকে ফার্মার্স লিগ বা কৃষক লিগ বলে মজা নেয় বড় লিগ গুলোর সমর্থকরা। এবার সেই ব্যাপারটা নিয়েই উল্টো মজা করলেন লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বুধবার (৭ মে) দিবাগত রাতে আর্সেনালের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয়লাভ করে।দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনালে পিএসজি।

এনরিকে দলকে ফাইনালে তুলেই সমালোচকদের খুব সূক্ষভাবে এখহাত নিলেন। এই স্প্যানিশ কোচ সমালোচনাকারীদের বিদ্রুপের সুরে বলেন, “আমরা কৃষকদের লিগ”। বার্সার হয়ে ট্রেবল জেতা এই কোচ হয়ত বুঝাতে চেয়েছেন দেখো, আমরাই ফাইনালে এখন।

গত সপ্তাহে এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রথম লেগে ১-০ গোলের জয় পাওয়ার পর, বুধবার পার্ক দে প্রিন্সে দ্বিতীয় লেগে ফাবিয়ান রুইজ এবং আশরাফ হাকিমির গোলে জয় নিশ্চিত হয় পিএসজির। বুকায়ো সাকা আর্সেনালের পক্ষে ৭৬তম মিনিটে একটি সান্ত্বনাসূচক গোল করেন।

আরো পড়ুন:

পিএসজির স্বপ্নের ফাইনালের পথে আর্সেনাল বাঁধা হতে পারেনি

‘আর্সেনালকে বুঝিয়ে দিতে হবে পার্ক দে প্রিন্স আমাদের বাড়ি’

ফাইনালে উঠার পথে পিএসজি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলা ও আর্সেনালকে হারিয়েছে! এই কথাটা মনে করিয়ে দিতেই এনরিকে ঠাট্টার সুরে বলেন, “ফার্মারদের লিগ, তাই না? আমরাই তো ফার্মারদের লিগ। আমরা এই ফলাফল উপভোগ করছি। সবাই আমাদের দল, আমাদের মানসিকতা ও খেলার প্রশংসা করছে। এটা দারুণ লাগছে।”

সেমিফাইনালে পিএসজির বিপক্ষে হেরে বাদ পড়ার পর আর্সেনাল বস মিকেল আর্তেতা বলেন, তারাই জয়ের দাবিদার ছিলেব। এই কথাটা মেনে নিতে পারেননি এনরিকে, “মিকেল আর্তেতা আমার ভালো বন্ধু, কিন্তু আমি একমত নই যে, আর্সেনাল জয়ের দাবিদার ছিল। তারা যেভাবে খেলতে ভালোবাসে সেভাবেই খেলেছে। কিন্তু দুই লেগে আমরাই বেশি গোল করেছি এবং সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর্সেনাল ভালো খেলেছে। তবে আমরাও অনেক কষ্ট করেছি, আমরাই ফাইনালে উঠার যোগ্য।”

পিএসজির গোলরক্ষক জেয়ানলুইজি দেন্নারুম্মার এই ম্যাচে বেশ কিছু নিশ্চিত গোলের হাত থেকে দলকে বাঁচান। এই ইতালিয়ানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে এনরিকে বলেন, “তোমার দলে যদি দারুণ একজন গোলরক্ষক না থাকে, তাহলে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতবে কীভাবে? আজ গিগি (দোন্নারুম্মা) অসাধারণ খেলেছে, যেমনটা সে করেছে লিভারপুলের বিপক্ষেও। আজ আমাদের রক্ষণভাগও দুর্দান্ত ছিল।”

চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে প্রথম পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে হেরে, জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়েছিল পিএসজি। কিন্তু ২০১৫ সালে বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো এনরিকে মনে করেন তাদের জন্য টার্নিং পয়েন্ট ছিল জানুয়ারিতেই। প্যারিসে তারা ম্যান সিটির বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয় পায়।

এনরিকে বলেন, “টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচ, যেখানে আমরা ০-২ এ পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু গ্রুপ পর্বে আমাদের পরিসংখ্যান ইউরোপের সেরা দলের মধ্যে ছিল। আমরা ন্যায্যভাবে ফাইনালে পৌঁছেছি।”

আরেক সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান রোমাঞকর দুই লেগেই প্রভাব বিস্তার করে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে। এনরিকে বলেন ফাইনালটি হবে কঠিন এক লড়াই, “ইন্টার আমাদের চেয়ে অভিজ্ঞ, তাদের খেলোয়াড়রা বয়সে বড়। কিন্তু আমরা শিরোপা জিততে চাই এবং সেই মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামবো। এটা (লড়াই) কঠিন হবে, কিন্তু ওদের জন্যও একই রকম কঠিন। খুবই মজার ফাইনাল হবে।”

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসজ চ য ম প য়নস ল গ আর স ন ল আর স ন ল প এসজ র আম দ র ফ ইন ল এনর ক আমর ই

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা

পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”

তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ