আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে বাধা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর, যা কোনোভাবেই আমার আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়।

শুক্রবার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে। আমি আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই খুনের মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে বাধা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর, যা কোনোভাবেই আমার আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়।’

সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে কেন আটক করা হলো না এই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আদালতের বিচারকদের দায়িত্ব বিমানবন্দর পাহারা দেওয়া না বা কারো চলাচলে বাধা দেওয়া না।’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ নিয়ে আসিফ নজরুল বিরোধিতা করছে এমন কিছু বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওঠে আসার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের সুযোগ রাখার লক্ষ্যে আইসিটি আইনে সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান আইন মন্ত্রণালয়ের খসড়ায় ছিল। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমি নিজে এটা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেছি। আমার উত্থাপিত খসড়ার আমিই বিরোধিতা করবো এটা কীভাবে সম্ভব? উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কোনো উপদেষ্টা কী ভূমিকা রেখেছেন এ নিয়ে আমাকে, ছাত্র উপদেষ্টাদের বা অন্য কাউকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয় তার দায় দায়িত্ব আমাদের প্রতিটি উপদেষ্টার। আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্নে কোনো দ্বিমত নেই। তবে পদ্ধতি নিয়ে সবার নিজস্ব মত থাকতেই পারে।’

এসম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, আইসিটি আইন চাইলেই আমরা কয়েকদিনের মধ্যে সংশোধন করতে পারবো। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস দমন আইন সহ অন্য আইনগুলোও আছে। কাজেই আইন কোন সমস্যা না। রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চাইলে বা বিচারিক আদালত এ সম্পর্কে কোনো পর্যবেক্ষণ বা রায় আসলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইন উপদ ষ ট আবদ ল হ ম দ স ব ক র ষ ট রপত উপদ ষ ট আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

কৌতূহলবশত ট্রাভেল ব্যাগটি খুলতেই বেরিয়ে এল খণ্ডিত মরদেহ

গাজীপুরের টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ট্রাভেল ব্যাগ থেকে এক ব্যক্তির খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে স্টেশন রোডের একটি বিরিয়ানির দোকানের সামনের রাস্তায় ব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন।

নিহত ব্যক্তির বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় আজ সকালে একটি ট্রাভেল ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। কৌতূহলবশত কয়েক ব্যক্তি সেটি খুলে দেখেন, সেখানে খণ্ডিত মরদেহ। পরে খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশ সকাল ৯টার দিকে এটি উদ্ধার করে।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে বেশ কয়েকটি টুকরা করে ব্যাগে ভরে টঙ্গীর ওই স্থানে ফেলে পালিয়ে গেছে। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। ওসি আরও বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ