তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের বেশির ভাগ এলাকা। জনজীবন অতিষ্ঠ। শুক্রবার (৯ মে) চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে। এ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। রাজধানীতেও চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “তাপপ্রবাহের পরিধি অনেকটাই বেড়ে গেছে। আজ রাজধানীতেও তাপপ্রবাহ চলতি বছরের সর্বোচ্চ। এ অবস্থা অন্তত দুই দিন আরো চলতে পারে। তবে এমন পরিস্থিতি এ মাসের জন্য খুব অস্বাভাবিক নয়।”

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের চেয়ে শুক্রবার তাপপ্রবাহ দেশের আরো বেশি এলাকায় ছড়িয়েছে। আর এ অবস্থা আরো অন্তত দুই দিন থাকতে পারে। আসলে বৃষ্টি না হলে তাপপ্রবাহ কমার তেমন লক্ষণ নেই।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী দুই দিন দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। শুক্রবার বিকেল থেকে রবিবার পর্যন্ত এই তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। তবে সোমবার দেশের তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, ‘আজ বিকেল থেকে দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। শনিবার ও রবিবার এই তাপপ্রবাহ বিরাজ করবে। তবে সোমবার থেকে তা কিছুটা প্রশমিত হতে পারে।’

তিনি জানান, আজ চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটা আরো বাড়তে পারে।

এদিকে আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা স্বাক্ষরিত দুপুরে দেওয়া এক সতর্ক বার্তায় জানানো হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং আজ দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও কোথাও তা তীব্র তাপপ্রবাহ আকারে বিরাজ করতে পারে।

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজারহাট, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, বরিশাল এবং পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে।

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক রব র র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা, কুপিয়ে জখম করে ফেলে দিল খালে

ঝালকাঠির নলছিটিতে এক সাংবাদিককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার পর খালে ফেলে দিয়েছে হামলাকারীরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের জুরকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের অভিযোগ, সংবাদ প্রকাশের জেরে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম খান মাইনউদ্দিন (৪০)। তিনি জুরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা এবং ‘দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন’ পত্রিকার বরিশাল ব্যুরোপ্রধান ও আঞ্চলিক ‘দৈনিক দখিনের কণ্ঠ’ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। আহত অবস্থায় তাঁকে বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাইনউদ্দিনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নের উত্তর জুরকাঠি গ্রামে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত একটি কালভার্ট নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন মাইনউদ্দিন। এর জেরে গতকাল রাত ৯টার দিকে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় ওই এলাকার আবু হোসেন, তার ছেলে ইমরান হাওলাদার, রিয়াজ হাওলাদার, ইব্রাহিম হাওলাদার, নিশাত সিকদার, আলম হাওলাদার, সানি হাওলাদারসহ ১০ থেকে ১২ জন। এ সময় তাদের হাতে রামদা, চাপাতি, ছুরি, লোহার রড, হাতুড়িসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র ছিল। একপর্যায়ে মাইনউদ্দিনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে তারা। মাইনউদ্দিন অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে পাশের খালে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

মাইনউদ্দিনের বাবা আবদুল আজিজ খান বলেন, তাঁর ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যেই কুপিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ