আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধ (ব্লকেড) কর্মসূচি চলছে।

শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দেখা যায়, শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখা হয়েছে। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ রোগী বহনকারী যানবাহনগুলোকে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ চত্বরে বিজ্ঞাপন বোর্ড–সংলগ্ন জায়গায় অস্থায়ী এলইডি স্ক্রিন বসিয়ে তাতে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বিভিন্ন ভিডিও দেখানো হচ্ছিল।

সড়কে বসে উত্তাল সে সময়ের ভিডিও দেখছিলেন আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যেই তাঁরা একটু পরপর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। তখন থেকে আট ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত আছে। শাহবাগ ব্লকেড শুরু হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ করছিলেন আন্দোলনকারীরা।

শুক্রবার রাতে শাহবাগ চত্বরে বিজ্ঞাপন বোর্ড–=সংলগ্ন জায়গায় অস্থায়ী এলইডি স্ক্রিনে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ভিডিও দেখছেন আন্দোলনকারীরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ হব গ অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

দেশবাসীকে ধৈর্য, সতর্কতা ও ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জামায়াত আমিরের

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলায় তাকে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। 

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে দেশবাসীকে ধৈর্য, সতর্কতা ও ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ আজ এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। নানা রাজনৈতিক উত্তাপ, সামাজিক অস্থিরতা ও দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার মাঝে আমাদের জন্য জরুরি হলো—ন্যায়বিচার, সত্য এবং জনগণের অধিকারকে সবচেয়ে উঁচু আসনে প্রতিষ্ঠা করা।

আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একটি দেশ তখনই সত্যিকার অর্থে অগ্রসর হয়, যখন সেখানে বৈধতা, ন্যায়, স্বচ্ছতা এবং জনগণের মতামত সর্বাধিক মর্যাদা পায়। ব্যক্তিনির্ভর রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে, নীতিনির্ভর রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করাই আজ সময়ের দাবি।

এই সংকটময় সময়ে আমি আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই—আমাদের সংগ্রাম কারো বিরুদ্ধে নয়; আমাদের সংগ্রাম ন্যায়, অধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে সব নাগরিক নিরাপদে মত প্রকাশ করতে পারে, যেখানে বিচার হবে নিরপেক্ষ, এবং যেখানে পরিবর্তন আসবে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উপায়ে।

আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—ধৈর্য, সতর্কতা ও ঐক্য বজায় রাখুন। আমাদের লক্ষ্য হোক শান্তি, ন্যায় ও জাতীয় পুনর্গঠন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের দেশকে সত্য, ন্যায় ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করুন।”

আজ একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ