বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধে শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীদের আহ্বান
Published: 11th, May 2025 GMT
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগ দাবিতে সোমবার থেকে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা সোমবার থেকে ক্লাসে পাঠদানে বিরত থাকার জন্য খোলা চিঠিতে শিক্ষকদের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা গেছে, টানা তিনদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে নতুনভাবে আন্দোলনে নামছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার উপাচার্যসহ সকল দপ্তরে তালা মেরে প্রশাসনিক শাটডাউন কর্মসূচি পালন করে আসছিল। সোমবার থেকে একাডেমিক কার্যক্রমও বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা যেকোনো উপায়ে ২৫টি বিভাগের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য শিক্ষকদের কাছে খোলা চিঠি পৌঁছে দিয়েছি। উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান উন্মেষ রায় জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খোলা চিঠি পেয়েছেন। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষকরা এরই মধ্যে সংহতি জানিয়েছেন।
এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রোববার রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে মশাল মিছিল করেছেন। ফ্যাসিবাদী বিরোধী মঞ্চের ব্যানারে প্রতিবাদ মিছিলটি হয়। এরপর ববির গ্রাউন্ড ফ্লোরে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তৃতা করেন শিক্ষার্থী সুজয় শুভ, ভূমিকা সরকার, রাকিন খান, ওয়াহিদুর রহমান, মোশাররফ হোসেন, নিশাত মালিহা ঐশী, শাহেদুর রহমান শাহেদ প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স মব র থ ক
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”
তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী