হজযাত্রী গ্রাহকদের জন্য ইস্টার্ন ব্যাংকের ‘সুখী’ অ্যাপ
Published: 13th, May 2025 GMT
হজ পালনকারী ইবিএল গ্রাহকরা গ্রামীন ডিজিটাল হেলথকেয়ার সল্যুশন্স এর উদ্ভাবিত ‘সুখী’ অ্যাপের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এর সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করবে ইবিএল।
সোমবার ঢাকাস্থ ইবিএল প্রধান কার্যালয়ে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এতদসংক্রান্ত একটি পার্টনারশীপ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে এটি এজাতীয় প্রথম উদ্যোগ। এর লক্ষ্য হলো, হজ পালনকালে গ্রাহকদের মানসিক স্বস্তি এবং অত্যাবশ্যকীয় মেডিকেল সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা।
ইবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই পার্টনারশীপ গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা আরও সুখকর করতে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশের বৃহত্তর স্বাস্থ্যসেবা ইকোসিস্টেমে অর্থপূর্ণ ভূমিকা রাখতে ইবিএল এর অঙ্গীকারের প্রতিফলন।’
পার্টনারশীপ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথকেয়ার সল্যুশন্সের প্রধান নির্বাহী ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হজয ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”
তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী