বৃষ্টি হলো গতকাল, তারপরও ঢাকার বায়ু আজ অস্বাস্থ্যকর
Published: 15th, May 2025 GMT
বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। রাজধানীর বায়ুদূষণ অনেকটা কমে আসে বৃষ্টি হলে। গতকাল রাজধানীজুড়ে ঝুম বৃষ্টি হলো। তবু আজ সকালে ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর। সকাল ৯টার দিকে আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুমান ১৫৭। এ মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়। ৫৮৬ স্কোর নিয়ে দূষণের শীর্ষে আছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি।
বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
গতকাল বুধবার বেলা ৩টার পর রাজধানীতে ২৩ মিলিমিটারের বৃষ্টি হয়েছে। তাতে এই গরমের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি আসে। বৃষ্টি হলে রাজধানীর বায়ুর মানও উন্নত হয়। আজ তারপরও বায়ুর এই হাল।
আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে নগরবাসীকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী। গত মার্চ মাসেও বায়ুর মান ভালো ছিল না।
রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ রোধে হাঁকডাক ও নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।
দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মার্চ মাসেও দূষণ পরিস্থিতি ছিল মারাত্মক।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা মাহফুজের সঙ্গে যা হয়েছে, এর জন্য আপনাদের প্রতি ধিক্কার:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বুধবার (১৪ মে) রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, মাহফুজ আলম শিক্ষা উপদেষ্টা নয়, কিংবা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তারপরও তিনি সেখানে গিয়েছিলেন অভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতার একজন প্রতিনিধি হিসেবে। আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে। তিনি নিজের অফিস কিংবা প্রশাসনিক জায়গায় আপনাদেরকে না ডেকে বের হয়ে রাজপথে আপনাদের কাছে গিয়েছেন।
এরপর তার সঙ্গে যে আচরণ হয়েছে, সেটার জন্য আপনাদের প্রতি ধিক্কার।
তিনি আরো লিখেন, আপনাদেরকে পূর্বে কমিটমেন্ট দেয়ার পরও কেন কাজগুলো বাস্তবায়ন হলো না সেটার জন্য আপনাদের তো শিক্ষা সচিবকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। শিক্ষা উপদেষ্টাকে জবাবদিহি করানো উচিত। সেটা না করে যে আপনাদের কথা শুনতে গিয়েছে আপনারা তাকে আঘাত করেছেন!
আরো পড়ুন:
আ.লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না: সারজিস
একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতি সবার : সারজিস
গতকাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি আমার সাথে যোগাযোগ করে। আমি সাথে সাথে মাহফুজ ভাইকে জানাই। তিনি আজকে রাতে নয়টায় আপনাদেরকে মিটিং এর সময় দেন এবং এটাও বলেন যে আগামীকালকে শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে মিটিং এর ব্যবস্থা করে দিবেন। তারপর তিনি এটাও বলেছেন- এই দুই জায়গায় সমস্যাগুলোর কাঙ্ক্ষিত সমাধান না পেলে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সাথে কথা বলার ব্যবস্থা করে দিবেন। তারপরও আপনারা আপনাদের মতো করে কর্মসূচি করেছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কতিপয় সুশীল উপদেষ্টার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তারা জনগণকে ডিল করতে ভয় পায়। তখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় না হলেও ছাত্র উপদেষ্টাদেরকে পাবলিক ডিলিংস করতে সামনে ঠেলে দেওয়া হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর আগেও একবার মুভমেন্ট করেছে। দাবিগুলো যৌক্তিক। তারপরও কেন আজকে তাদের এই মুভমেন্ট করতে হলো এর জবাবদিহি এই সরকার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে করতে হবে। চাপে পড়লে কাজ করে নাহয় অফিস করে এমন দুর্বল ব্যক্তিত্বের মানুষ অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারে আমরা প্রত্যাশা করি না।
এর আগে তিন দফা দাবিতে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাতে শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয়।
পরে সমঝোতা করতে সেখানে উপস্থিত হন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এ সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি চক্র তার ওপরে আক্রমণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন উপদেষ্টা মাহফুজ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একটি পক্ষ ঢুকে আন্দোলনকে স্যাবোটাজ করার চেষ্টা করছে, তারা কারা তাদের নাম বলতে চাই না।
ঢাকা/রায়হান/ফিরোজ