স্কয়ার ফার্মার উৎপাদন দেখে জাম্বিয়া শিল্প সচিবের প্রশংসা
Published: 15th, May 2025 GMT
স্কয়ার ফার্মার উৎপাদন ব্যবস্থা দেখে প্রশংসা করলেন জাম্বিয়ার ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ক্রুসিভিয়া সি. হিচিকুম্বা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর এলাকায় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানা পরিদর্শন করেন তিনি।
কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, জাম্বিয়ার ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল কারখানা পরিদর্শনে যান। প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান স্কয়ার ফার্মার নির্বাহী পরিচালক নওয়াবুর রহমান, মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সুরজিৎ মুখার্জী ও ব্যবস্থাপক মো.
আরো পড়ুন:
স্কয়ার ফার্মার উৎপাদন দেখে জাম্বিয়া শিল্প সচিবের প্রশংসা
সরকার বাণিজ্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
জাম্বিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহ আহমেদ শফি, জাম্বিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মুসোকুতোওয়ানে সিচিজুয়ে প্রমুখ। কোম্পানির কর্মকর্তারা প্রতিনিধিদলকে পুরো কারখানার উৎপাদন ও কারিগরি কার্যক্রম ঘুরিয়ে দেখান।
স্কয়ার ফার্মার উৎপাদন ব্যবস্থাপনা দেখে প্রতিনিধিদল সন্তোষ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানি ও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে তার সরকারের সহযোগিতার আশ্বাস দেন জাম্বিয়ার প্রতিনিধি দল।
স্কয়ার ফার্মার নির্বাহী পরিচালক নওয়াবুর রহমান বলেন, ‘‘জাম্বিয়ার প্রতিনিধি দলের স্কয়ার ফার্মা পরিদর্শন বাংলাদেশকে বিদেশে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা বড় সুযোগ। এভাবে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানির বড় ক্ষেত্র সৃষ্টি হচ্ছে।’’
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স কয় র ফ র ম ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”
তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী