জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলন নতুন মোড় নিচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর গণঅনশন শুরু করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত ১২টার দিকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

শুধু বর্তমান শিক্ষার্থীরাই নয়, আগামীকাল সকাল ১০টায় আন্দোলনে অংশ নিতে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরাও। এ সময় সেখানে একটি সাধারণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, ১৪ মে দিনটিকে ‘জবি কালো দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ওই দিন সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, মারধর এবং লাঞ্ছনার ঘটনার প্রতিবাদেই এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঘোষিত কর্মসূচিসমূহের মধ্যে রয়েছে: চলমান অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখা, ১৬ মে সকালে সাবেক ও বর্তমান জবিয়ানদের সমাবেশ, জুমার নামাজের পর গণঅনশন, প্রতিবছর ১৪ মে ‘জবি কালো দিবস’ পালন করা।

অধ্যাপক ড.

রইছউদ্দীন বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি তুলে ধরেছিলাম, কিন্তু তার বদলে আমাদের উপর নির্মম হামলা চালানো হয়েছে। ৩৫ ঘণ্টা পার হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য আসেনি।”

তিনি আরো বলেন, “এই রাজপথেই আমরা জুমার নামাজ আদায় করব এবং তারপর শুরু করব গণঅনশন। আমি সকল সাবেক ও বর্তমান জবিয়ানদের আহ্বান জানাচ্ছি— আপনারা সকলে এই আন্দোলনে অংশ নিন, আমাদের ন্যায্য দাবির পাশে দাঁড়ান।”

আন্দোলনকারীরা এ আন্দোলনকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ঢাকা/লিমন/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাধের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাসম্ভব দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কোনো অপরাধের ঘটনা ঘটলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাসম্ভব দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কুমিল্লার মুরাদনগর ও পটুয়াখালীর ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। তারা এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।  

একটি গণমাধ্যমের জরিপের ফলাফল উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এ জরিপের গতকালের প্রশ্ন ছিলো- ‘দেশে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আপনি কি তার সঙ্গে একমত?’ এতে হ্যাঁ-সূচক মন্তব্য করেছেন ৬২ শতাংশ, না-সূচক মন্তব্য করেছেন ৩৫ শতাংশ ও মন্তব্য করেননি ৩ শতাংশ অনলাইন পাঠক। এতেই প্রতীয়মান যায়- সাধারণ জনগণও দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়ে একমত পোষণ করে।

সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছাড়াও জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ১লা জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত জাতীয় কর্মসূচির সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়। উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠন এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি উদযাপন করবে। এসব অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ যাতে স্বতঃস্ফূর্ত, নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে ব্যাপারে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, আইজিপি বাহারুল আলম বিপিএম, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)-এর মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান এনডিসি উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ