মাগুরার আলোচিত সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যার রায় আজ
Published: 17th, May 2025 GMT
মাগুরার আট বছরের শিশুর ধর্ষণ ও হত্যার আলোচিত মামলার রায় আজ। ঘটনার মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মাথায় এই মামলার রায় দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালত রায় ঘোষণা করবেন।
জেলা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, “আলোচিত এই মামলায় রায় ঘোষণা উপলক্ষে আদালত চত্বর ও এর আশপাশে আজ সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
গত ৬ মার্চ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শিশুটি তার বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়। সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতারে মারা যায় শিশুটি।
১৩ এপ্রিল মাগুরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.
মামলা চার আসামি হচ্ছেন- শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, মেয়ে জামাই সজীব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা জাহেদা বেগম। তারা কারাগারে আছেন।
হিটু শেখ ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, “ধর্ষণের কারণে যে শিশুটি মারা গেছে তা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছে। আমরা আশাবাদী, আদালত ন্যায়বিচার করবে। হিটু শেখের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। অন্যদেরও যার যার অপরাধ অনুযায়ী সাজা হবে।”
১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়।
১ মার্চ শিশুটি নিজ বাড়ি থেকে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় হেলিকপ্টারে মরদেহ মাগুরায় আনা হয়। জানাজার পর উত্তেজিত জনতা শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
ঢাকা/শাহীন/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চন্দনাইশে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে এনজিও কর্মকর্তা নিহত
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন (৩৩) নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তাঁর সহকর্মী জাবেদ হোসেন (২৮)। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার হাশিমপুর বাইন্যাপুকুর এলাকায় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইকবাল হোসেন টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার সবুজ শিকদারের ছেলে। তিনি এনজিও সংস্থা ‘ব্যুরো বাংলাদেশ’-এর চন্দনাইশ শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রামমুখী ঈগল পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে দোহাজারীমুখী মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইকবাল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত জাবেদ হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় ইকবাল হোসেন ও জাবেদ হোসেন এনজিওর কাজে মোটরসাইকেলে করে দোহাজারীতে যাচ্ছিলেন। বাসটি বর্তমানে হাইওয়ে থানা–পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এর আগে একই দিন দুপুরে ওই এলাকার মহাসড়ক পার হওয়ার সময় কক্সবাজারগামী একটি বেপরোয়া হায়েস গাড়ির ধাক্কায় নিখিল পাল (৪৫) নামের এক পথচারী নিহত হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম।