আজ সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকলেন ইশরাক
Published: 17th, May 2025 GMT
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার আন্দোলনের মধ্যেই জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
ক্ষুদেবার্তায় বলা হয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ইশরাকের হোসেনকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে চলমান সঙ্কট প্রসঙ্গে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন ইশরাক হোসেন।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। এতে নগর ভবনের দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার নগর ভবনের প্রধান দুই ফটকে তালা মারলেও আজ শনিবার সকালেই ভবনে ঢোকার সব কয়টি ফটক আর সিড়িতে তালা ঝোলানো হয়। বন্ধ করা হয় ভবনে উঠানামার সব কয়টি লিফট।
ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে না বসানোর প্রতিবাদে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তার সমর্থক ও অনুসারীরা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা বলেন, তারা নগর ভবনে মোট ৬৫টি তালা লাগিয়েছেন।
ডিএসসিসির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকেই নগর ভবনের কার্যক্রম মূলত বন্ধ। এ ভবনে থাকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও ভবনে ঢুকতে পারছেন না। তাদেরকে আনা-নেওয়ার জন্য গাড়িও করপোরেশন থেকে বের হতে পারছে না। এই দুইদিন ভবনের ফটক থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে। শুধু আঞ্চলিক অফিসের কার্যক্রম আর নগর ভবনের বাইরের কার্যক্রম চলছে।’
এদিকে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সামনে থেকে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ শুরু হয়। লংমার্চের মিছিলটি গুলিস্তান মাজার, জিরো পয়েন্ট, পল্টন ঘুরে জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে সচিবালয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেয় পুলিশ।
পরে নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভকালে ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের সংগঠন ‘ঢাকাবাসী’ প্লাটফর্মের নেতৃত্বে থাকা সাবেক সিনিয়র সচিব মশিউর রহমান হুঁশিয়ারি দেন যে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তার সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করা হবে।
এ সময় তিনি আরও জানান, আগামীকাল রোববারও তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান থাকবে।
এ সময় ইশরাক হোসেনের অনুসারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগুনোর চেষ্টা করেন। বাধা পেয়ে মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে ফিরে আসেন বিক্ষোভকারীরা।
‘আসিফের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘অবিলম্বে ইশরাক হোসেনের শপথ চাই, দিতে হবে’, ‘জনতার মেয়র ইশরাক ভাই, অন্য কোনো মেয়র নাই’ এমন নানা স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। লংমার্চে ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দা অংশ নিয়েছেন।
ইশরাককে মেয়র পদে বসাতে শনিবার নগর ভবন থেকে সচিবালয় পর্যন্ত লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। এরই অংশ হিসেবে আজ সকালে নগর ভবন অবরুদ্ধ করে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তার অনুসারীরা। পরে সেখান থেকে লংমার্চ শুরু হয়।
এদিকে আজকের কর্মসূচিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাধারণ কর্মচারীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। নগর ভবনের সব গেট বন্ধ করে সকাল থেকে কর্মসূচিতে অংশ নেন তারা। এতে অচল হয়ে যায় ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয়। ফলে কোনো সেবাপ্রার্থী ও কর্মকর্তা নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারেনি।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। তারা বলেন, জনতার রায়ে নির্বাচিত ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে জনগণের সঙ্গে বেঈমানি করা হচ্ছে। শপথ না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
যাত্রাবাড়ী থেকে আসা নাসরিন আক্তার বলেন, ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট পাস হলেও তাকে শপথ পড়ানো হচ্ছে না। অনতিবিলম্বে তাকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আমরা সচিবালয় ঘেরাও করতে এসেছি।
পুরান ঢাকার সূত্রাপুর থেকে আসা আরিফুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। ময়লা-আর্বজনা ঠিকমতো পরিষ্কার করা হচ্ছে না। মেয়র না থাকার কারণে নগরবাসীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। গত মেয়র নির্বাচনে ইশরাক হোসেন বিপুল ভোটে বিজয়ী হলে এই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল স্বৈরাচার সরকার। আমাদের স্পষ্ট দাবি, যদি ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়া হয় আমরা রাজপথ ছাড়বো না।
বংশালের বাসিন্দা ফজলুল হক বলেন, ইশরাক জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা তাকে দ্রুত মেয়র হিসেবে দেখতে চাই। তার বিষয়টি কতদিন এভাবে আটকে রাখবে? সরকারের কাছে আমাদের প্রশ্ন, কেন তাকে এখনও শপথ গ্রহণ করানো হচ্ছে না? শপথ যতদিন পড়ানো হবে না, ততদিন আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। যদি এটা নিয়ে কোনো টালবাহানা হয়, আমরা আরও বড় কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসনেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
পরদিন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দাবি করেন, মন্ত্রণালয়ের মতামত দেওয়ার আগেই ইসি ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ করেছে। এরপর ৫ মে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে কিনা বা অন্য কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবে কিনা, দ্রুত সময়ের মধ্যে অবগত করার অনুরোধ জানায় স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে না বলে ১৩ মে স্থানীয় সরকার বিভাগকে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এসস স ইশর ক হ স ন ইশর ক হ স ন র স থ ন য় সরক র নগর ভবন র স গ জ ট প রক শ র নগর ভবন ড এসস স
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদাবাজি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে ‘ট্রাফিক সহায়ক গ্রুপ’ ভেঙে নতুন পথে শিক্ষার্থীদের একাংশ
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর সড়ক নিয়ন্ত্রণে নেমেছিলেন শিক্ষার্থীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুপস্থিতিতে তাঁদের দায়িত্বশীল ভূমিকা তখন প্রশংসিত হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই গত বছরের ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয় ট্রাফিক সহায়ক গ্রুপ (ট্যাগ)। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও সম্মানীর ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এই সংগঠনকে তখন সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর আশার আলো হিসেবে দেখা হয়েছিল।
কিন্তু এক বছরের মাথায় ট্যাগ ঘিরে নানা অভিযোগ জমতে শুরু করেছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ট্যাগের একাংশ নতুন সংগঠন ট্রান্সপোর্ট সাপোর্ট ফোর্স (টিএসএফ) গড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, ট্যাগ কার্যকর নয়। তাই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে তাঁরা এখন টিএসএফ নামে নতুন কাঠামোতে কাজ করবেন। এ ক্ষেত্রে কাজ করবে রিফর্ম বাংলাদেশ–সবার জন্য বুদ্ধিদীপ্ত ও নিরাপদ চলাচল (আরবি–আইএসএমএ)।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ট্যাগের অ্যাডমিন হিসেবে দায়িত্বে থাকা বুয়েটের মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থী দাইয়ান নাফিস প্রধান চাঁদা আদায় করেছেন, ডিএমপির বাইরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সমালোচনাকারীদের বাদ দিয়েছেন।
নাফিস প্রধানের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক আরমানা হকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মিথ্যা প্ররোচনা দিয়ে জিডি করিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, অধ্যাপক আরমানা হক যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীদের তথ্য পাঠাতেন। অথচ এটিকে ‘ডেটার অপব্যবহার (মিসইউজ)’ আখ্যা দিয়ে আরমানা হকের বিরুদ্ধে ১২ থানায় জিডি করান দাইয়ান নাফিস।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শহীদের রক্ত শুকানোর আগেই কেউ কেউ নিজেদের আখের গোছাচ্ছে। এসব অনিয়ম চলতে থাকলে আগামী প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ বার্তা যাবে। তাঁদের মতে, সঠিক নীতিমালা ও কাঠামো থাকলে এসব অপরাধ প্রতিরোধ করা যেত।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, টিএসএফ পুলিশের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। তবে তা পরিচালনা করবে একটি স্বতন্ত্র গভর্নিং বডি। এতে পুলিশ, স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরিবহনবিশেষজ্ঞ ও আট বিভাগ থেকে আটজন ট্যাগ সদস্য যুক্ত থাকবেন।
শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবের মধ্যে নিয়োগ সম্পূর্ণ সরকারি তত্ত্বাবধানে হতে হবে, ন্যূনতম যোগ্যতা এসএসসি পাস, বয়স ১৮ বছর, ছেলেদের উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, মেয়েদের উচ্চতা ৫ ফুট, পাঠ্যপুস্তকে ট্রাফিক নিয়ম অন্তর্ভুক্তি, মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ ইত্যাদি অন্যতম।
এক মাসের মধ্যে এসব প্রস্তাব কার্যকর না হলে শিক্ষার্থীরা কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ট্যাগের সদস্য জাবেদ মুনতাসির রনি বলেন, প্রশিক্ষণ শেষে দায়িত্বে যোগ দেওয়ার পর প্রতিশ্রুত ৫৬০ টাকার বদলে হাতে পেয়েছেন ৪০৫ টাকা। বাকি টাকা উৎসে করের অজুহাতে কেটে রাখা হয়। কয়েক মাস পর বকেয়া কিছু অর্থ মেটানো হলেও পুরো প্রক্রিয়া ছিল অস্বচ্ছ। এ ছাড়া কর্মীদের বাদ দেওয়ার বিষয়ে কোনো লিখিত নোটিশও দেওয়া হয়নি।
ট্র্যাফিক বিভাগে কর্মরত নুসরাত জাহান নামের আরেক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘অ্যাডমিন দাইয়ান নাফিস প্রধান বিসিটিএন নামে একটি সংগঠন তৈরি করে প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৫০ এবং ট্যাগধারীদের কাছ থেকে মাসে ১০০ টাকা ফান্ড হিসেবে আদায় করতেন। তবে এই ফান্ডের কোনো হিসাব কখনো দেওয়া হয়নি।’
আরেক সদস্য তৌকিতুর রহমান অভিযোগ করেন, দাইয়ানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় তাঁকে ট্যাগ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিলের শিক্ষার্থী ও পরিবেশ গবেষক মাহেরা আফরোজ বলেন, ‘আমি কখনোই চাইনি চাকরি করি। এর মধ্যে দাইয়ানের সিন্ডিকেটে পড়ে গেলাম। সে স্বার্থসিদ্ধি করে বিভিন্ন কর্ম করে গেছে, যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেক সময় হেনস্তা-লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে।’
শিক্ষার্থী মোহাম্মদ দিদার আলম অভিযোগ করেন, ৩২ বছরের বেশি বয়সী সদস্যদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ প্রশিক্ষণকালীন সময়ে তাঁদের যোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল।
অভিযোগের বিষয়ে দাইয়ান নাফিস প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করার জন্য এই ট্যাগ সিস্টেম শুরু করা হয়। আমি এটির অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করেছি। এ জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) ট্রাফিক অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ অফিসে অফিস করতাম। আমি অফিশিয়াল ট্যাগ নীতিমালা চেয়েছি। সেটি এখনো ডিএমপি করতে পারেনি।’
চাঁদা তোলার অভিযোগের বিষয়ে নাফিস প্রধান বলেন, শিক্ষার্থীদের জরুরি চিকিৎসা খরচ মেটাতে ফান্ড তৈরি করা হয়েছিল। তাঁর ভাষায়, ‘কোনো শিক্ষার্থী দুর্ঘটনায় পড়লে তাৎক্ষণিক কয়েক হাজার টাকার দরকার হয়। তখন যাতে টাকা জোগাড় করা যায়, এ জন্য আমরা একটা কমন ফান্ড চালু করেছিলাম। এটা ৩০ জুন পর্যন্ত চলার কথা ছিল। পরে অবশিষ্ট টাকা ফেরত দেওয়ার নিয়মও ঠিক করা হয়েছিল।’
এই ফান্ডের জন্য নেওয়া টাকার সব হিসাব আছে বলে জানান নাফিস। তিনি বলেন, ‘কার চিকিৎসার জন্য কখন কত টাকা খরচ হয়েছে, তা লিখিতভাবে সংরক্ষিত আছে।’