ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে সজীব বেপারী নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রবিবার (১৮ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “দণ্ডিত আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ক্ষতিগ্রস্ত ভিকটিম ও তার পরিবারকে দিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।”

আরো পড়ুন:

নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

কুষ্টিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে পল্লী চিকিৎসক কারাগারে

রায় ঘোষণার সময় সজীব ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিল। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, দুই সন্তান নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া ঘোষ ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ২০২০ সালের ৫ মে ভিকটিমের বাবা রিকশা নিয়ে বের হয়ে যান। তার মা অন্যের বাসায় কাজে যান। দুপুর ১২ টার দিকে সজীব ভিকটিমকে এবং তার দুই বছরের ভাইকে বাসার সামনে থেকে একই থানার পিকার স্কুলের পেছনে তার বাসায় নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। শিশুটি কান্নাকাটি করলে তাদের দুইজনকে বাসা থেকে বের করে দেয় সজীব। ভিকটিম বিষয়টি তার মাকে জানায়। পরে তার মা বাবাকে জানান। ১৩ মে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করান। ওইদিন তার বাবা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

মামলা দায়েরের পর সজীবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন একই থানার সাব-ইন্সপেক্টর সঞ্জয় মালো। এরপর সজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত সাত জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

ঢাকা/এম/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’

৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর

শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।

পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম

সম্পর্কিত নিবন্ধ