ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

করিমপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ জানায়, নিহত যুবকের বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মরদেহটি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে ছিল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ব্যবহৃত এক জোড়া জুতা, যা থেকে পরিচয় শনাক্তে সহায়তা পাওয়ার আশা করছে পুলিশ। বর্তমানে মরদেহটি করিমপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

এ বিষয়ে করিমপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, ‘মরদেহের পরিচয় শনাক্তের জন্য ফরিদপুর সিআইডি পুলিশের সহায়তায় কাজ চলছে। শনাক্তের পর মরদেহটি তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

পুলিশের পক্ষ থেকে সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে, কেউ যদি মরদেহ বা জুতার ভিত্তিতে শনাক্ত করতে সক্ষম হন, তাহলে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করতে। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।

গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।

খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ