তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের একসময়কার প্রতিপক্ষ ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে দেশটির ৬৫ জন সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গুলেনকে ২০১৬ সালের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ মনে করা হয়।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনীতে বর্তমানে কর্মরত ৫৬ সেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও সাতজনকে এখনো খোঁজা হচ্ছে। অন্যদিকে হাল্ক টিভি জানিয়েছে, নয়জন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাঁদের বেশির ভাগই ইস্তাম্বুলের।

আনাদোলু জানায়, ইস্তাম্বুলের আশপাশে সক্রিয় সন্ত্রাসী সংগঠন ‘ফেটো’র বিরুদ্ধে অভিযান চলছিল। এ সময় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা ৬৩ জন সক্রিয় সেনার মধ্যে ৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

গুলেনের হিজমেত আন্দোলনকে তুরস্কের সরকার ‘ফেতুল্লাহ টেরর অর্গানাইজেশন বা ফেটো’ নামে উল্লেখ করে থাকে। সংগঠনটি একসময় নেপথ্যে থেকে সরকার এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিল।

আরও পড়ুনএরদোয়ানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টায় ‘অভিযুক্ত’ গুলেন মারা গেছেন২১ অক্টোবর ২০২৪

একজন সরকারি কৌঁসুলির বরাত দিয়ে হাল্ক টিভি জানায়, ইস্তাম্বুলে স্থানীয় সময় সকাল ছয়টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়। এই অভিযানে বিমানবাহিনী, আধা সামারিক বাহিনী, স্থল ও নৌবাহিনীর সদস্যরা অংশ নিয়েছিলেন।

গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে মারা যান ফেতুল্লাহ গুলেন। তিনি একসময় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। তবে পরে দুজনের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হয়। গুলেন ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। সেখান থেকে আর কখনো তুরস্কে ফেরেননি।

গুলেনের মৃত্যুর পরও তুরস্ক বিশ্বজুড়ে তাঁর অনুসারীদের খুঁজে বের করার ঘোষণা দিয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ত রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

ফেতুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে তুরস্কে ৬৫ সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের একসময়কার প্রতিপক্ষ ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে দেশটির ৬৫ জন সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গুলেনকে ২০১৬ সালের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ মনে করা হয়।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনীতে বর্তমানে কর্মরত ৫৬ সেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও সাতজনকে এখনো খোঁজা হচ্ছে। অন্যদিকে হাল্ক টিভি জানিয়েছে, নয়জন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাঁদের বেশির ভাগই ইস্তাম্বুলের।

আনাদোলু জানায়, ইস্তাম্বুলের আশপাশে সক্রিয় সন্ত্রাসী সংগঠন ‘ফেটো’র বিরুদ্ধে অভিযান চলছিল। এ সময় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা ৬৩ জন সক্রিয় সেনার মধ্যে ৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

গুলেনের হিজমেত আন্দোলনকে তুরস্কের সরকার ‘ফেতুল্লাহ টেরর অর্গানাইজেশন বা ফেটো’ নামে উল্লেখ করে থাকে। সংগঠনটি একসময় নেপথ্যে থেকে সরকার এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিল।

আরও পড়ুনএরদোয়ানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টায় ‘অভিযুক্ত’ গুলেন মারা গেছেন২১ অক্টোবর ২০২৪

একজন সরকারি কৌঁসুলির বরাত দিয়ে হাল্ক টিভি জানায়, ইস্তাম্বুলে স্থানীয় সময় সকাল ছয়টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়। এই অভিযানে বিমানবাহিনী, আধা সামারিক বাহিনী, স্থল ও নৌবাহিনীর সদস্যরা অংশ নিয়েছিলেন।

গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে মারা যান ফেতুল্লাহ গুলেন। তিনি একসময় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। তবে পরে দুজনের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হয়। গুলেন ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। সেখান থেকে আর কখনো তুরস্কে ফেরেননি।

গুলেনের মৃত্যুর পরও তুরস্ক বিশ্বজুড়ে তাঁর অনুসারীদের খুঁজে বের করার ঘোষণা দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ