একই দিনে ২৩টি নিয়োগ পরীক্ষা, ক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের
Published: 23rd, May 2025 GMT
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট ২৩টি নিয়োগ পরীক্ষা ছিল গতকাল শুক্রবার। রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল ও বিকেলে পরীক্ষাগুলো হয়। এক দিনে এত পরীক্ষা হওয়ায় বিপাকে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। কারণ কেউ কেউ বেশ কয়েকটি পরীক্ষার আবেদন করেছিলেন। কোন পরীক্ষা ছেড়ে কোনটিতে অংশ নেবেন– তা নিয়ে ভোগেন সিদ্ধান্তহীনতায়। ফলে একটি পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে বাকিগুলো ছাড়তে হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা।
তারা বলছেন, অনেকেই একাধিক আবেদন করেছেন। অনেকেই অনেক পরীক্ষা দিতে পারেননি। আবার দেখা যায়, দুটি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ আছে। যানজট কিংবা দূরত্বের কারণে এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্রে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যায়। সব মিলিয়ে এটিকে হয়রানি বলতে হয়। এক দিনে একাধিক পরীক্ষার তারিখ না ফেলে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন প্রার্থীরা।
বরিশাল থেকে পরীক্ষা দিতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম শুভ সমকালকে বলেন, ‘এনএসআইয়ের দুটি পদে পরীক্ষা দিয়েছি। পল্লী বিদ্যুতের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার পদের জন্যও আবেদন করেছিলাম। একই সময় দুই প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা হওয়ায় পল্লী বিদ্যুতে অংশ নিতে পারিনি। প্রতিটির আবেদনে খরচ আছে। সেই সঙ্গে স্বপ্ন থাকে। এ রকমভাবে পরীক্ষার ডেট দেওয়া আমাদের প্রতি অবিচার।’
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চাকরিপ্রার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘পিএসসি সংস্কার আন্দোলন’ গত সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল, এ ধরনের সিদ্ধান্ত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে তামাশার শামিল। প্রতিটি পরীক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একই দিনে একাধিক পরীক্ষার আয়োজন করাটা তাদের প্রতি চরম অবিচার ও উদাসীনতার বহিঃপ্রকাশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি ন্যায্য আচরণের প্রতিশ্রুতি ছিল। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান ব্যবস্থায় একের পর এক অব্যবস্থাপনা ও তামাশার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার তারিখ পুনর্বিন্যাস করে পরীক্ষার্থীরা যেন প্রতিটি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন, সেই দাবিও জানানো হয়েছিল।
প্ল্যাটফর্মটির সংগঠক ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী সিরাজুস সালেহীন সিয়ন বলেন, ‘একই দিনে এত নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া অন্যায় ও অন্যায্য। এতে অর্থ, সময় ও সুযোগের অপচয় হয়। এক দিনে এত নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার ফলে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার আমাদের যে সাংবিধানিক অধিকার, তা খর্ব হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কোনো কাজ হয়নি।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ক ষ চ কর প র র থ দ র ন য় গ পর ক ষ পর ক ষ র ক পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
টাঙ্গাইলের ৭ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে টাঙ্গাইলে ৮টি আসনের মধ্যে ৭টিতে বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। তবে, টাঙ্গাইল-৫ আসনের প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজার-১ আসনে ধানের শীষের কাণ্ডারী সালাহউদ্দিন
বিএনপির মনোনয়ন পেলেন নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে ওবায়দুল হক নাসির, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ারে) আসনে উপজেলা বিএনপির সদস্য রবিউল আউয়াল লাভলু, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী এবং টাঙ্গাইল-৮ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর টাঙ্গাইলের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীর সর্থকদের উল্লাস করতে দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের ৮টি আসনের মধ্যে সব আসনে বিএনপির একাধিক মনোনয়নপ্রার্থী ছিল। এর মধ্যে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল ব্যাপক গণসংযোগে করেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের ধারণা ছিলো, টুকু ও ফরহাদের মধ্যে একজন টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন।
ঢাকা/কাওছার/রফিক