সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট ২৩টি নিয়োগ পরীক্ষা ছিল গতকাল শুক্রবার। রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল ও বিকেলে পরীক্ষাগুলো হয়। এক দিনে এত পরীক্ষা হওয়ায় বিপাকে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। কারণ কেউ কেউ বেশ কয়েকটি পরীক্ষার আবেদন করেছিলেন। কোন পরীক্ষা ছেড়ে কোনটিতে অংশ নেবেন– তা নিয়ে ভোগেন সিদ্ধান্তহীনতায়। ফলে একটি পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে বাকিগুলো ছাড়তে হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা।

তারা বলছেন, অনেকেই একাধিক আবেদন করেছেন। অনেকেই অনেক পরীক্ষা দিতে পারেননি। আবার দেখা যায়, দুটি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ আছে। যানজট কিংবা দূরত্বের কারণে এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্রে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যায়। সব মিলিয়ে এটিকে হয়রানি বলতে হয়। এক দিনে একাধিক পরীক্ষার তারিখ না ফেলে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন প্রার্থীরা।
বরিশাল থেকে পরীক্ষা দিতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম শুভ সমকালকে বলেন, ‘এনএসআইয়ের দুটি পদে পরীক্ষা দিয়েছি। পল্লী বিদ্যুতের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার পদের জন্যও আবেদন করেছিলাম।  একই সময় দুই প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা হওয়ায় পল্লী বিদ্যুতে অংশ নিতে পারিনি। প্রতিটির আবেদনে খরচ আছে। সেই সঙ্গে স্বপ্ন থাকে। এ রকমভাবে পরীক্ষার ডেট দেওয়া আমাদের প্রতি অবিচার।’

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চাকরিপ্রার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘পিএসসি সংস্কার আন্দোলন’ গত সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল, এ ধরনের সিদ্ধান্ত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে তামাশার শামিল। প্রতিটি পরীক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একই দিনে একাধিক পরীক্ষার আয়োজন করাটা তাদের প্রতি চরম অবিচার ও উদাসীনতার বহিঃপ্রকাশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি ন্যায্য আচরণের প্রতিশ্রুতি ছিল। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান ব্যবস্থায় একের পর এক অব্যবস্থাপনা ও তামাশার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার তারিখ পুনর্বিন্যাস করে পরীক্ষার্থীরা যেন প্রতিটি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন, সেই দাবিও জানানো হয়েছিল।
প্ল্যাটফর্মটির সংগঠক ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী সিরাজুস সালেহীন সিয়ন বলেন, ‘একই দিনে এত নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া অন্যায় ও অন্যায্য। এতে অর্থ, সময় ও সুযোগের অপচয় হয়। এক দিনে এত নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার ফলে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার আমাদের যে সাংবিধানিক অধিকার, তা খর্ব হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কোনো কাজ হয়নি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ক ষ চ কর প র র থ দ র ন য় গ পর ক ষ পর ক ষ র ক পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

রোমান্টিক দৃশ্য নিয়ে সমালোচনার ঝড়, মুখ খুললেন নায়িকা

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে কমল হাসান অভিনীত ‘থাগ লাইফ’ ছবির ট্রেলার। মণিরত্নম পরিচালিত এ ছবিতে কমল হাসান ছাড়া আছেন সিলবারাসন, অভিরামী, ঐশ্বরিয়া লক্ষ্মী, তৃষা কৃষ্ণানসহ অনেকে। ‘থাগ লাইফ’ ছবির ট্রেলার মুক্তির পর থেকে তৃষা আর কমল হাসানের মধ্যে রোমান্টিক দৃশ্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ প্রসঙ্গে জবাব দিয়েছেন তৃষা। আর এই দক্ষিণি নায়িকা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে এসব সমালোচনায় তাঁর কোনো যায়–আসে না।

৩৮ বছর পর বড় পর্দায় আসতে চলেছেন ‘নায়কন’ ছবির সেই জাদুকরি জুটি কমল হাসান ও মণিরত্নম। ‘থাগ লাইফ’ ছবির লেখক ও প্রযোজকও কমল হাসান। লেখালেখির কাজে তাঁকে সহায়তা করেছেন মণিরত্নম। ৭০ বছর বয়সী কমল হাসানের সঙ্গে ৪২-এর তৃষার পর্দায় রোমান্স নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এ প্রসঙ্গে তৃষা বলেছেন, ‘যখন উনি (কমল হাসান) এ ছবির ঘোষণা করেছিলেন, আমি তখনই জানতাম, এমন কিছু হতে চলেছে। আর আমি তখন এই ছবির জন্য স্বাক্ষর পর্যন্ত করিনি।’

গতকাল মুম্বাইয়ে ‘থাগ লাইফ’ ছবির হিন্দি ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে তৃষা ও কমল হাসান। এএনআই

সম্পর্কিত নিবন্ধ