নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট সময় জানান: গয়েশ্বর
Published: 24th, May 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় বলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কোন পার্টি ক্ষমতায় আসবে তা নয়, একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে জুন, এটা তো সময় হয় না। ছয় মাস পর হলে ছয় মাস পরে কন (বলেন), তিন মাস হলে তিন মাস পরে কন, একবারে কথা বলে দেন না।’ তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ দিলে সবাই নির্বাচন নিয়েই কথা বলবে।
আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক গোলটেবিল বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথাগুলো বলেন। ঢাকা সাউথ ডেভেলপারস ফোরাম এ বৈঠকের আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ব্যর্থ হোন, কেউ চায় না। প্রধান উপদেষ্টা চলে যান, সেটাও কেউ চায় না। আর বর্তমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য রাজনীতিবিদেরাও দায়ী নন।
কোনো রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক বা কোনো সেক্টর কেউ প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি; বরং সব রাজনৈতিক দল নির্বাচন চেয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। যতটুকু সম্ভব সংস্কার করে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে নিজ সম্মানার্থে একটি নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান।
মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আমরা সাফার করছি কি নিয়া, গত ১৬ বছর ধইরা একটা ভোটাধিকার নিয়া, একটা ভালো নির্বাচন নিয়ে। এইটাই তো।’
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা প্রশ্ন রাখেন ‘সে (মাহফুজ) কি সরকারের মুখপাত্র।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?