সুনামগঞ্জে কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার
Published: 26th, May 2025 GMT
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ওয়েজখালী এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যান থেকে ১ হাজার ৩৪ পিস ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার করেছে বিজিবির সদস্যরা। আজ সোমবার ( ২৬ মে) দুপুরে ২৮ বিজিবির সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা শাড়ি উদ্ধার করেন।
২৮ বিজিবি সূত্রে জানা যায়, দুপুরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ওয়েজখালী ব্রিজ এলাকায় মালিকবিহীন একটি পিকআপ ভ্যানে ১ হাজার ৩৪ পিস ভারতীয় শাড়ি পাওয়া যায়। পিকআপের আনুমানিক মূল্য ১৫ লাখ টাকা এবং শাড়ির মূল্য ৯৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
এই অভিযানে অংশ নেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালায়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান হৃদয়, বিজিবির ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার রফিকুল ইসলামসহ বিজিবির নয় সদস্য।
আরো পড়ুন:
ফেনী সীমান্তে ভারতীয় গরুসহ ৯৬ লাখ টাকার পণ্য জব্দ
এবার খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৫ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির জানান, ভারতীয় শাড়ি সুনামগঞ্জ শুল্ক কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে চোরাচালানি তৎপরতা বন্ধে বিজিবির আভিযান জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/মনোয়ার/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রন শ ড় উদ ধ র স ন মগঞ জ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
পশুর হাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধীর দুই নেতা গ্রেপ্তার
চাঁদাবাজির অভিযোগে কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর পশুর হাটের ‘বৈধ’ ইজারাদার মাহাবুব রহমান ও তাঁর সহযোগী মো. আলমগীর গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রসিদ ছাড়া চাঁদা তোলার সময় যৌথ বাহিনীর হাতে তারা আটক হন। গতকাল বুধবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। সেখানে বৈধতার কাগজপত্র দেখালে শুনানি শেষে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার মাহাবুব রহমান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বেলগাছা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। মো. আলমগীর কুড়িগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক। গত মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে যাত্রাপুর গরুর হাটে রসিদ ছাড়া চাঁদা তোলার অভিযোগ ওঠে। পরে ফেনী জেলার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন আজাদ হাটে টহলরত যৌথ বাহিনীর কাছে অভিযোগ করলে তাদের আটক করা হয়। আলমগীর পুরো ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, ফেনীর ছাগলনাইয়ার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার মঙ্গলবার যাত্রাপুর হাট থেকে ১৭টি মহিষ কেনেন। পরে অভিযুক্তরা তাঁকে (আনোয়ার) গরু-মহিষ বিক্রির রসিদ শেডঘরে নিয়ে যান এবং প্রত্যেক মহিষের জন্য ৫০০ টাকা করে ৮ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এ সময় আনোয়ার তাদের কাছে রসিদ চাইলে তারা তা দেখাতে পারেননি। আনোয়ার বিষয়টি যৌথ বাহিনীকে জানালে এ দু’জনকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ বলেন, ‘মাহাবুব রহমান ওই হাটের ইজারাদার। তিনি চাঁদাবাজ নন। আমার সঙ্গে মাহাবুব রহমানের কথা হয়েছে। তারা কাগজ প্রদর্শনের সময় পাননি। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আটক করে যৌথ বাহিনী। সকালে কাগজপত্র দেখালে তাদের জামিন হয়।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ জানান, মাহাবুব রহমান যাত্রাপুর হাটের বৈধ ইজারা মালিক। তবে ওই সময়ে তাঁর কাছে কাগজপত্র না থাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করা হয়। সকালে থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. আলমগীর বলেন, দুপুরে যথাযথ কাগজ আদালতে দাখিল করে জামিনে মুক্ত হয়েছি। এটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র ছিল।