মডেল হিসেবে কাজ শুরু করলেও ২০০১ সালে ‘আজনবি’ সিনেমা দিয়ে রূপালি পর্দায় অভিষেক হয় বিপাশা বসুর। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকতে হয়নি। উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। সম্প্রতি একটি ভিডিও সামনে আসার পর তার চেহারা নিয়ে কটু কথা বলছেন অনেকে। এমন সময় সামনে এসেছে বিপাশার একটি সাক্ষাৎকার, যেখানে ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। সঙ্গে টেনেছেন ‘জিসম’ সিনেমার প্রসঙ্গ।

বিপাশা বলেন, “ক্যারিয়ারের মাঝে সময়ে সবাই বলেছিল প্রাপ্তবয়স্ক ছবিতে এখন অভিনয় করা ঠিক হবে না। অনেকে বলেছেন, হিন্দি ছবির অভিনেত্রীদের মতো হও তুমি। দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছ তুমি ইতিমধ্যেই। ‘জিসম’-এর মত সিনেমায় অভিনয় করা ঠিক হবে না। কিন্তু আমি কারও কথা শুনিনি।”

অভিনেত্রী বলেছেন, ‘যারা আমার বিষয়ে জানেন তারা সবাই ধরেই নিয়েছিল, আমি হয়তো পাগল হয়ে গেছি।’

অভিনেত্রীর মতে, এই ছবিতে কাজ করার সিদ্ধান্তটা তার একেবারেই সঠিক ছিল। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ছবি হলেও তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। তাই ‘জিসম’-এ অভিনয় করার পরে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি বিপাশাকে।

বিপাশার ভাষ্য, “নারীরা নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে পারবেন না- এই সিনেমার সেই ধরনের ধারণা বদলে যায়। খুব গুরুত্বপূর্ণ ছবি এটি।” সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প শ বস

এছাড়াও পড়ুন:

আপনি কি পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করছেন

একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য ঠিক কতটা প্রোটিন প্রয়োজন, তা তাঁর ওজনের ওপর নির্ভর করে। ধরা যাক, একজনের ওজন ৫০ কেজি। তাহলে তাঁর জন্য প্রতিদিন ৫০ গ্রাম প্রোটিন দরকার। সহজে, সাধারণভাবে হিসাব করা যায় এভাবে—আপনার ওজন যত কেজি, প্রতিদিন তত গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে বলছিলেন ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান

কোন খাবারে পাবেন প্রোটিন

যাঁর ৫০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন, তিনি ৫০ গ্রাম মাংস খেলেই যে তাঁর দেহের চাহিদা মিটে যাবে না, সে তো বুঝতেই পারছেন। কারণ, কোনো খাবারই কেবল একটি পুষ্টি উপাদান দিয়ে তৈরি নয়। প্রতিটি খাবার থেকেই নানা পুষ্টি উপাদান পাই আমরা। আবার সব প্রাণীর মাংস থেকে যে একই পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়, তেমনটাও নয়। তেমনিভাবে বিভিন্ন ধরনের মাছ, ডিম ও দুধের প্রোটিনের পরিমাণও আলাদা হয়। এসবের বাইরেও উদ্ভিজ্জ উৎস, যেমন ডাল, সয়া, তোফু, বাদাম ও অন্যান্য বীজ থেকে প্রোটিন পাওয়া যায়।

প্রাণিজ প্রোটিন সবচেয়ে বেশি জরুরি বাড়ন্ত বয়সে এবং অন্তঃসত্ত্বা নারী ও স্তন্যদানকারী মায়ের জন্য। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে অধিকাংশ প্রোটিন গ্রহণ করলে ক্ষতি নেই। তবে কোন খাবার থেকে ঠিক কতটা প্রোটিন পাবেন, তা কড়ায়–গন্ডায় হিসাব করা সবার জন্য জরুরি নয়; বরং সুষম খাদ্যভ্যাস গড়ে তোলার প্রতি জোর দেওয়া প্রয়োজন। তবে নির্দিষ্ট রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অবশ্য এই হিসাব-নিকাশটাই জরুরি হয়ে দাঁড়ায়, সেই হিসাব করে তৈরি করা খাদ্যতালিকাই তাঁদের মেনে চলতে হয়।

আরও পড়ুনকোন প্রোটিন খাব, কতটা খাব১১ জুলাই ২০১৭পর্যাপ্ত প্রোটিন না পেলে

প্রোটিন আমাদের দেহের রোজকার ক্ষয়পূরণ করে। শক্তিও জোগায়। সার্বিক সুস্থতার জন্যই প্রোটিন আবশ্যক। পর্যাপ্ত প্রোটিন না পেলে দেহে কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন—

প্রায়ই জীবাণু সংক্রমণ হওয়া, সহজে ক্ষত নিরাময় না হওয়া।

অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বল অনুভব করা, পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরও ক্ষুধা অনুভব করা।

চুল ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, চুলের গঠন পাতলা হয়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়া।

নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, নখের ওপর খাঁজ সৃষ্টি হওয়া।

পায়ে পানি আসা।

পেশিক্ষয়, ওজন কমে যাওয়া।

আরও পড়ুনকম খরচে পুরো পরিবারের প্রোটিন বা আমিষের চাহিদা মেটাবেন যেভাবে০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫যা করবেন

এ ধরনের উপসর্গ অনেক কারণেই দেখা দিতে পারে। পায়ে পানি আসা, পেশিক্ষয় বা ওজন কমে যাওয়ার মতো সমস্যার ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে প্রথমে সুষম খাদ্যাভ্যাসের প্রতি গুরুত্ব দিন। প্রোটিন ও প্রয়োজনীয় অন্য সব উপাদান গ্রহণ করতে চেষ্টা করুন খাবার থেকে। তাতে উপকার না মিললে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক কারণটি খুঁজে বের করবেন এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দেবেন।

আরও পড়ুনডিমের চেয়ে বেশি প্রোটিন মিলবে চেনা–পরিচিত যে ১৩ খাবারে১২ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইইউ দেশগুলোয় শিশু সুরক্ষার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে চার প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে
  • আপনি কি পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করছেন