সবাই ধরেই নিয়েছিল, আমি পাগল হয়ে গেছি: বিপাশা
Published: 26th, May 2025 GMT
মডেল হিসেবে কাজ শুরু করলেও ২০০১ সালে ‘আজনবি’ সিনেমা দিয়ে রূপালি পর্দায় অভিষেক হয় বিপাশা বসুর। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকতে হয়নি। উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। সম্প্রতি একটি ভিডিও সামনে আসার পর তার চেহারা নিয়ে কটু কথা বলছেন অনেকে। এমন সময় সামনে এসেছে বিপাশার একটি সাক্ষাৎকার, যেখানে ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। সঙ্গে টেনেছেন ‘জিসম’ সিনেমার প্রসঙ্গ।
বিপাশা বলেন, “ক্যারিয়ারের মাঝে সময়ে সবাই বলেছিল প্রাপ্তবয়স্ক ছবিতে এখন অভিনয় করা ঠিক হবে না। অনেকে বলেছেন, হিন্দি ছবির অভিনেত্রীদের মতো হও তুমি। দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছ তুমি ইতিমধ্যেই। ‘জিসম’-এর মত সিনেমায় অভিনয় করা ঠিক হবে না। কিন্তু আমি কারও কথা শুনিনি।”
অভিনেত্রী বলেছেন, ‘যারা আমার বিষয়ে জানেন তারা সবাই ধরেই নিয়েছিল, আমি হয়তো পাগল হয়ে গেছি।’
অভিনেত্রীর মতে, এই ছবিতে কাজ করার সিদ্ধান্তটা তার একেবারেই সঠিক ছিল। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ছবি হলেও তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। তাই ‘জিসম’-এ অভিনয় করার পরে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি বিপাশাকে।
বিপাশার ভাষ্য, “নারীরা নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে পারবেন না- এই সিনেমার সেই ধরনের ধারণা বদলে যায়। খুব গুরুত্বপূর্ণ ছবি এটি।” সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প শ বস
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’